বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
আজকে ভার্সিটিতে প্রথম দিন। কেমন আপসেট লাগছে । নিজেকে সান্তনা দিচ্ছি আর বলছি বি স্ট্রং রাজিব। আপসেট হয়ো না। বাবা মাকে ফোন দিয়ে দোয়া নিলাম।
তারপর কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম। কিন্তু পথে পড়লাম জ্যামে। এবারতো দেরি হয়ে যাবে পৌছতে। যাইহোক কিছুক্ষন পর জ্যাম কমলো তাড়াতাড়ি চলে আসলাম ভার্সিটিতে ঢুকে সোজা ঢুকতে গেলাম ক্লাসে। ক্লাসে স্যার চলে আসছেন।
আমি স্যারকে বললাম স্যার আসতে পারি?
স্যার বলল ও হ্যা এসো এসো মাইবয়। ১ম দিনেই দেরি। জাতি তোমাকেই চায়।
ক্লাসের সবাই হেসে উঠলো আমার বন্ধুরা বাদে। যাইহোক বসার জন্য জায়গা খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না। তখনই একটা মেয়ে বলল
এইযে শুনছেন এখানে আমার পাশে বসতে পারেন। আমি ঘুরে তাকালাম আহা সে কি রুপ। মায়াবি চোখ, মিষ্টি কন্ঠ। আমি কিছুক্ষন চেয়ে রইলাম।
মেয়েটা বলল এইযে শুনছেন বসেন এখন।
আমার ঘোর কাটলো। আমার চেয়ে থাকা দেখে মেয়েটাও মনে হয় একটু লজ্জা পেলো।
আমি বসলাম ক্লাস চললো। ক্লাস শেষ হলো। বাইরে বেড়িয়ে ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম সেই মেয়রেটা যাচ্ছে। আমার আবারও ঘোর লাগলো।
এবার ঘোর ভাঙলো বন্ধু সিয়ামের ডাকে। ও বললো কিরে দোস্ত ওই মেয়েটার দিকে এমন তাকিয়ে ছিলি কেন? কিছু কিছু চলে নাকি?
আমি বললাম ধুর যেমন তোরা তেমন তোদের চিন্তা।
এরপর বাকি ক্লাস গুলোও করলাম। কিন্তু ওই মেয়েটাকে আর দেখলাম না। এরপর ক্লাস শেষে মেসে ফিরে খাওয়া দাওয়া করে পড়তে বসলাম। তখন খালি মেয়েটার কথা মনে পড়ছিলো । মেয়েটার মুখ টা কেমন একটা তন্ময় সৃষ্টি করে।
পরেরদিন ভার্সিটিতে ক্লাস করা শেষে বের হচ্ছি তখনই সেই কন্ঠটা শুনলাম। সেই মেয়েটা আমাকে ডাকলো।
মেয়েটা বললো ভার্সিটিতে আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের সাথেই পরিচিত হয়েছি শুধু আপনার সাথেই হয় নি।
আমি বললাম হ্যা পরিচিত হওয়াই যায়। চলুন হাটতে হাটতে আলাপ করি ক্যাম্পাসের।
মেয়েটা বললো চলুন তাহলে
আমরা হাটতে হাটতে পরিচিত হচ্ছি।
আমি বললাম অনেক কথা হলো আমাদের মধ্যে নামটাই এখনো জানা হলো না আপনার নাম?
মেয়েটা বললো আমার নাম ঝুমা আপনার নাম?
আমার নাম রাজিব।
ও ভালো নাম। আচ্ছা আপনিতো অনেক ভালো গান করেন তাই না?মেয়েটা বলল
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম হ্যা তবে আপনি কিভাবে জানলেন?
ক্যাম্পাসে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে গান করছিলেন। তখন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনেছি।
ওহ তাই বলেন। আমি বললাম
ঝুমা বললো একটা গান গাইবেন। শুনবো
আমি বললাম হ্যা অবশ্যই । কোন গান গাইবো। রবিন্দ্রসঙ্গিত চলবে?
ঝুমা বলল হ্যা চলবে রবিন্দ্রসঙ্গিত আমার অনেক পছন্দ।
আমি তখন "আমারও পরানো যাহা চায়" গানটা গাইলাম।
গান শেষ হলে ঝুমা বলল: বড় ভালো গলা আপনার আরও শুনাবেন কিন্তু।
আচ্ছা আচ্ছা শুনাবো।
ঝুমা বলল তারপর, বন্ধু হবেন আমার?
আমি বলল হ্যা হওয়াই যায় আজ থেকে আমরা বন্ধু।
ঝুমা বলল তাহলে আর আপনি আপনি করে বলার দরকার নেই তুমি করে বলবেন এখন থেকে।
আচ্ছা আচ্ছা এবার থেকে তুমি করেই বলবো আপনাকে। আমি বললাম
আবার আপনি করে বলছো
ওকে ওকে তুমি করে বলবো ।
ঝুমা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল আচ্ছা তাহলে কাল দেখা হচ্ছে বিদায়।
আমি ওর হাসি দেখে আবারও মুগ্ধ। বললাম বিদায় ।
এরপর মেসে চলে আসলাম
চলবে,,,,,,,,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now