বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অভিমান

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান ★mAhIrA★ (০ পয়েন্ট)

X -রিয়া?? -বলো! -চুপ করে আছো যে? এই কথা বলে হাত ধরতে চায় সুমন। এক ঝটকায় হাতটা সরিয়ে দেয় রিয়া। শেষ বিকেলের সোনারঙা আলো ওর চোখেমুখে এসে পড়ছে। তাতে ওর চুলগুলো কেমন জ্বলজ্বল করছে। ফর্সা গালদুটো লাল হয়ে আছে। রাগে। খুব রাগ করেছে ও। এবং যথারীতি সুমন তার রাগ ভাঙাতে হিমশিম খাচ্ছে। -আমি কি করলাম রিয়া? -সারাদিন কোন রাজকার্য করছিলে যে একটু খোঁজ নেয়া গেল না? সুমন চুপ হয়ে যায়। আজ দিনটা খুব ব্যস্ততার মাঝে গেছে। সকালে বাজার করা,দুপুরে টিউশনি করানো,কোচিংয়ে যাওয়া- সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততা ছিল। এর মাঝে রিয়াকে ফোন দেয়ার সময়ই পায়নি সে। -আজ সত্যিই অনেক ব্যস্ত ছিলাম। জানোই তো আমার রুটিন। -হ্যাঁ জানবো না কেন? তোমার রুটিনে তো সবই থাকবে কেবল আমিই নেই। -এটা কি বললা??? -ঠিকই বলেছি। এই বলে ভেংচি কেটে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখে ও। সুমনর প্রচন্ড খারাপ লাগতে থাকে। অভিমানী মেয়েটা কি বোঝেনা যে ওর ছোট্ট মনে কেবল রিয়ারই পায়েল পড়া পায়ের আনাগোনা, কেবল রিয়ারই মায়াময় ঐ মুখ। ছোট্ট এক ফুলওয়ালী এগিয়ে আসে।ভাইজান ফুল নিবেন? -নাতো। বিরক্ত করিস না, যা। -আপামণিরে দেন। নেন ভাইজান। -বললাম তো নিব না। যা এখান থেকে। ফুলওয়ালী চলে যায়। খানিকপরে আবার আসে। -ভাইজান নেন না একটা ফুল। আপামণি রাগ কইরা আছে দেখা যায়। ফুল দেন। খুশি হবে। সুমন বেলীর মালা কেনে। রিয়ার দিকে ঘোরে। মেয়েটা এখন ফুঁপিয়ে কাঁদছে। সুমন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কাঁদলেও যে কখনো মানুষকে এত সুন্দর লাগে ও জানেনা। মনের গভীরে কোথাও যেন বদ্ধ আর্তনাদ হাহাকার করে ওঠে সুমনর। ভালবাসার মানুষটিকে কাঁদতে দেখলে কারই বা ভালো লাগে? -কাঁদছো কেন? -অনেক সুখ যে আমার তাই। -পাগলি একটা। এভাবে কাঁদলে চোখের কাজল সব গালে মেখে যাবে। -যাক তাতে তোমার কি? -পরীর মতো সুন্দর মেয়েটাকে তখন যে পেত্নীর মতো দেখাবে। এই বলে গোলগোল চোখে রিয়ার দিকে তাকায় সুমন। রিয়া হেসে ফেলে। কি সুন্দর ঐ হাসি! মুক্তোদানার মত। শেষ বিকেলের আলোয় পরীর মতো সুন্দর ভালবাসার মানুষটার প্রাণখোলা হাসি সুমনকে প্রচন্ড এক ভালো লাগায় আচ্ছন্ন করে। সন্ধ্যা হয়ে যায়। রাস্তার নিয়নবাতি গুলো জ্বলে ওঠে। রিয়ার হাতে বেলীর মালা। সুমন ওর পাশাপাশি হাঁটছে। হাত ধরার চেষ্টা করতেই রিয়া চেঁচিয়ে ওঠে। -হাত ধরবা না। এটা তোমার শাস্তি। -আজব! আবার কি করলাম? -এতক্ষণ যে একসাথে ছিলাম তখন একটাবারের জন্যেও কেন বলোনি আই লাভ ইউ? সুমন দাঁড়ায়। রিয়াও দাঁড়িয়ে যায়। রাস্তার এ জায়গাটায় আলোআঁধারীর খেলা। অন্ধকার কোণে কোনো এক প্রেমিকযুগলের বাড়াবাড়ি চোখের কোণায় ধরা পড়ে। সেদিকে পাত্তা দেয়না দুজনের কেউই। রিয়ার চোখের দিকে তাকায় সুমন।কয়েক মূহুর্ত কেবলই পলকহীন অপেক্ষা। তারপর সুমন বলে ওঠে -ভালোবাসি তোমায় রিয়া। -এই কথাটা এতক্ষণে বললেন উনি। হুহ। -আবার? রিয়া প্লিজ আজকের মতো অভিমান বাদ দাও। -আমি যা করি তাতেই তুমি বিরক্ত হও। সুমন কথা বাড়ায় না। ওর খারাপ লাগতে থাকে। হাঁটতে থাকে দুজন। রিয়া আলতো ছোঁয়ায় সুমনর হাতটা ধরতে যায়। সুমন থমকে দাঁড়ায়। রিয়া সুমনর চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগমাখা কণ্ঠে বলে ওঠে- “ভালবাসি তোমায়।” (copied)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪০৭ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অভিমানে আছো তুমি
→ "রাগ-অভিমান"
→ অভিমান
→ ❤️রাগ-অভিমান❤️
→ এক টুকরো অভিমান
→ স্কুল লাইফের অভিমান!
→ অভিমানী বউ
→ দুষ্টু মিষ্টি অভিমানে ঘেরা ভালোবাসা
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৯ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৮ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৭ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৬ষ্ট পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৫ম পর্ব
→ বেষ্টফ্রেন্ডের অভিমান ৪র্থ পর্ব

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • A.Anika
    User ৩ বছর, ২ মাস পুর্বে
    jajakallahu khoiran hridoy and nanda

  • A.Anika
    User ৩ বছর, ২ মাস পুর্বে
    tomar nam mane???@nanda

  • হৃদয়
    GJ Writer ৩ বছর, ২ মাস পুর্বে
    ভালো লাগল অনেক gjgjgj

  • রুবাইয়া ইসলাম
    User ৩ বছর, ২ মাস পুর্বে
    ওই আমার নাম নিলা কেন ফাইন দিতে হবেgj ভালো হইছে@Nightstick gjgjgj