বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
আত্মার ক্রেতা [পর্ব ২]
"রহস্য" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান হৃদয় (০ পয়েন্ট)
X
লেখক:রহস্যময় হৃদয়[MH2]
অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠার কারণে আমার শরীর প্রচুর খারাপ লাগছে।ভাগ্য ভালো যে আজ অফিস নেই।তবে অফিসের চিন্তা আপাতত আমি করছি না,আমার এখন একটাই চিন্তা,আমি আমার আত্মা স্কন্ধকাটাকে বিক্রি করব না,কিছুতেই না।তাই একটা পদক্ষেপ নিতে হবে, কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু এইসব বিষয়ে কী করতে হয় তা আমি জানি না,কারণ আজীবন ভূত প্রেতে অবিশ্বাস করে এসেছি,আর আমার সাথেই এরকম হবে বলে কখনও ভাবিই নি,ফলে করণীয় কী তা জানি না।
কী করা যেতে পারে ভাবতে ভাবতে আব্বু আম্মুকে ফোন করব ঠিক করলাম।কিন্তু আব্বু আম্মুকে কিছু বললে ওরা তো প্রচুর চিন্তা ভাবনা করবে।কিন্তু বাবা মা কে না বললে আর কোনো উপায় আপাতত মাথায় আসছে না।তাই অপারগ হয়ে বাবা মাকে ফোন দিলাম। একটু সময় রিং হবার পর আম্মু ফোন রিসিভ করলেন,,,
আমি : আসসালামু আলাইকুম আম্মু।কেমন আছ???
আম্মু:ওয়ালাইকুম সালাম।আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তুমি কেমন আছ???
আমি:আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
আম্মু:কিন্তু তোমার কন্ঠ কেমন যেন মনে হচ্ছে।কিছু কি হয়েছে???
জানতাম আমার কথা শুনে মা বুঝে যাবেন কিছু একটা হয়েছে আমার সাথে।কারন মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক হয় সবচেয়ে গভীর, সন্তান কিছু না বললেও মা ঠিকই বুঝে যায়।কিন্তু আম্মুকে এখন কিছু বলা ঠিক হবে না।আম্মুকে না বলে বরং আব্বুকে বলতে হবে।তাই আম্মুকে বললাম,,,
"আম্মু আমার কিছু হয় নি।আব্বু কোথায়??? ওনাকে একটু ফোনটা দিবে???" আমি নিজের কন্ঠকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে বললাম।
"তোমার আব্বু পাশে আছে,দাড়াও দিচ্ছি",আম্মু চিন্তিত কন্ঠে বললেন।
আব্বুকে ফোন দেওয়ার পর আব্বুকে সব বললাম।আব্বু অনেক চিন্তিত হয়ে বললেন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামে যেতে।সেখানে আব্দুর রহমান নামে এক কবিরাজ আছে।ওনাকে দেখাতে হবে। আমিও ঠিক করলাম গ্রামে যাব।তাই অফিস থেকে ছুটি নিলাম পরের দিন।সাতদিনের ছুটি নিয়েছি।
অফিস থেকে বের হয়েই সোজা গ্রামের পথে রওনা দিলাম।বাস থেকে নামার পর অনেকটা পথ ভ্যানে করে যেতে হয় বাড়ি পৌছানোর জন্য।ভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছি, সেই চিরচেনা সবুজে ঢাকা আমাদের গ্রাম।গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে ভ্যান যাচ্ছে,দুপাশে ধানের জমি।মাঝেমাঝে উঁচুনিচু পথের কারণে হালকা ঝাকুনি খাচ্ছি,তবে এখন এই ঝাকুনিটাও উপভোগ করছি।প্রায় ৩০ মিনিট ভ্যানে চড়ার পর বাড়ি আসলাম।অনেকদিন পর বাড়ি এসেছি,তাই বাবা মা চাচা চাচি ভাই বোন অনেকেই দেখতে আসছে।সবার সাথে কথা বলতে হচ্ছে বলে বাবার সাথে জরুরি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে অনেক দেরী হয়ে গেল।সবার সাথে কথা বলা শেষ করতে করতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল।আব্বুর সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গেলাম। আব্বু বারান্দায় চেয়ার নিয়ে বসেছিল, প্রচুর গরম পরেছে আজ, আর লোডশেডিং, ফলে গ্রামের প্রায় সবাই ই এভাবে বসে থাকে।আব্বুর সঙ্গে হালকা কথা বলার পর প্রসঙ্গে চলে আসলাম।আমার সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনল আব্বু,খুবই চিন্তিত হয়ে গেলেন তিনি।তবে স্বাভাবিক গলায় বললেন," দেখ, আজ তো সন্ধ্যা হয়ে গেছে, কবিরাজ সাধারণ মঙ্গলবারে বিকালের দিকে ঝাড়ফুঁক করে।কাল তো মঙ্গলবার।কাল বিকালে নিয়ে যাব।"
আব্বুর সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলার পর রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। চিন্তা করতে লাগলাম,আজ তো ঘুমাব ঠিক ই, কিন্তু ও যদি আজও স্বপ্নে চলে আসে।তাহলে তো আমার বড় বিপদ হয়ে যাবে।তবুও ঘুমিয়ে পড়লাম।তবে সে রাতে আশ্চর্য হয়েছিলাম।কারণ আমার একদম বাধাহীন ঘুম হয়েছে,কোনো স্বপ্নও দেখি নি। আমার মনে আবারও আগের সেই অবিশ্বাস জন্ম নিতে আরম্ভ করল। ভাবলাম হয়তো বাড়ির কথা আর নানান চিন্তায় থাকি বলে হয়তো ওইরকম দুঃস্বপ্ন দেখতাম।আর এখন বাড়িতে আছি,ফলে চিন্তাও নাই,তাই হয়তো স্বপ্নও দেখছি না।তবে মনকে শান্ত করতে পারলাম না।কারণ মন হলো সবচেয়ে অশান্ত বস্তু, মনের মাঝে যা একবার ঢুকে যায়,শত চেষ্টায় ও তা বের করা যায় না।বিকালে আব্বুর সাথে কবিরাজের কাছে গেলাম।লোকটাকে চেনা চেনা লাগছিল, লাগবারই কথা,কারণ একই গ্রামে থাকি, তবে অনেকদিন পর আসার কারণে ঠিকভাবে চিনতে পারি নি।
কবিরাজকে দেখলাম সাদা পাঞ্জাবী পায়জামা পড়া,লাল দাড়ি, আর হাতে তবজি নিয়ে বসে আছেন।মুখে পান নিয়ে চিবুচ্ছেন।সালাম দিলাম,সালামের উত্তর নিলেন তিনি।কবিরাজরা তো সাধারণত একটু অন্যরকম বেশে থাকেন,এই লোককে হুজুরদের মতো লাগল।সময় নষ্ট না করে ওনাকে আমার সমস্যার কথা সবটা বললাম। ওনি দোয়া পড়ে আমার মাথায় ফুঁ দিয়ে দিলেন।তারপর একটা কাগজে কিছু আরবি হরফ লিখে সেটাকে তাবিজের ভিতরে দিলেন,বাইরে দিয়ে মোমের প্রলেপ দিয়ে দিলেন।তারপর সেটাকে আমার গলায় লাগিয়ে দিলেন।বরাবরই এইসব তাবিজে অবিশ্বাসী আমি,তবে আজ আমার সমস্যার কারণে এইসব বিশ্বাস করতে হচ্ছে।কবিরাজ বলে দিলেন তাবিজটা যেন কখনও না খোলি,যদি কখনও তাবিজটা না থাকে,তাহলে হয়তো আবার স্কন্ধকাটা ফিরে আসবে। কবিরাজকে কিছু টাকা দিয়ে তারপর চলে আসলাম।
বাড়িতে এর পর আরও কয়েকদিন ছিলাম,একদিনও সমস্যা হয় নি।নিশ্চিন্তে ঘুমাতে লাগলাম।"ঘুম ঠিক তো সব ঠিক" কথাটার মর্ম বুঝতে পারলাম।কারণ এতোদিন কম কম ঘুমানোর কারণে আমার শরীর দুর্বল হয়ে গিয়েছিল,আর শুকিয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু ঠিকঠাক ঘুমের কারণে শরীর আবারও ঠিক হয়ে গেল।ছুটি শেষ হওয়ার কারনে বাড়ি থেকে চলে আসলাম।অফিস থেকে বাসায় এসে ঘুমানোর পরও স্বপ্নে বা বাস্তবে আর স্কন্ধকাটাকে দেখতাম না।ফলে আবারও আগের মতোই স্বাভাবিক দিন কাটাতে লাগলাম।তবে সুখ বেশিদিব কপালে থাকে না।সুখের পরই আসে দুঃখ।আর তা প্রমাণ করার জন্যই হঠাৎ রাতের বেলায়,,,
[কেমন লাগল??? পরের পর্বে শেষ করব গল্পটা।দেরীতে গল্প দেওয়ার জন্য দুঃখিত।]
বি.দ্র.: অনেক সময় আর শ্রম নিয়ে গল্প লিখি,তাই দয়া করে কপি করবেন না।
চলবে,,,
আল বিদা,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
ALLI HOSSAIN
User ৩ বছর, ২ মাস পুর্বেALLI HOSSAIN
User ৩ বছর, ২ মাস পুর্বে꧁ঔৣ ༒THE @J.D ༒ঔৣ꧂
User ৩ বছর, ২ মাস পুর্বেইফতেখার হাসান মাহিন
Golpobuzz ৩ বছর, ৫ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৫ মাস পুর্বেইফতেখার হাসান মাহিন
Golpobuzz ৩ বছর, ৫ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৫ মাস পুর্বেপেন্সিলে আকাঁ পরী(শিখা)
User ৩ বছর, ৫ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেলাকি
User ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেলাকি
User ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেডি.এল মাহমুদ হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেডি.এল মাহমুদ হোসেন
Golpobuzz ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেarfan suvo
User ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বেarfan suvo
User ৩ বছর, ৬ মাস পুর্বে