বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখক:কাল্পনিক হৃদয় [MH2]
[১]
" আব্বু ঈদ কবে আসবে??? আর কয়দিন আছে???"
" এই তো বাবা,আর দু সপ্তাহ পরে ঈদ।"
"দু সপ্তাহ যায় না কেন??? দু সপ্তাহ মানে তো ১৪ দিন তাই না আম্মু???"
" হ্যা, আব্বু আর ১৪ দিন পরে ঈদ".
"আমায় কিন্তু অনেক সালমি দিতে হবে।না হলে আমি ঈদে যাব না"
"আচ্ছা, আব্বু সালমি দিব"
রাহিন এভাবে তার বাবা মাকে প্রতিদিন সকাল বিকাল জিজ্ঞেস করে ঈদ আর কয়দিন আছে। ঈদুল আযহা সামনে,তাই তার আনন্দও কম নয়।রাহিনের বয়স মাত্র ৪ বছর। তার বাবা রফিক এবং মা নওরীনের একমাত্র ছেলে ও। সকলের আদরের, আর খুব কিউট একটা বাচ্চা ও।তাই সকলে খুব আদর করে ওকে।
[২]
ঈদুল আযহার দিন সকাল সকাল নওরীন তার ছেলে রাহিনকে ডাকতে গেল।
নওরীন:রাহিন আব্বু ঘুম হতে উঠো।
রাহিন:আম্মু আরেকটু ঘুমাতে দাও।
নওরীন: আজ তো ঈদ।নামাজ পড়তে যাবে না???
রাহিন ঘুম হতে দ্রুত উঠে বসে।
রাহিন: আজ ঈদ। দাড়াও আমি এক্ষুনি ফ্রেস হয়ে আসছি।
অন্যদিন রাহিনকে জোর করে ব্রাশ করাতে হয়, আর সবসময় নওরীন রাহিনকে লক্ষ্য রাখে,কারণ টুথপেস্ট মিষ্টি মিষ্টি লাগে বলে রাহিন টুথপেষ্ট খেয়ে ফেলে।কিন্তু আজ অন্যদিনের মতো রাহিন এসব করল না।কারণ আজ তো ঈদ।
দ্রুত গোসল করে নিল রাহিন। নওরীন তার ছেলেকে নতুন কেনা পাঞ্জাবী -পায়জামা এবং নতুন জুতা পড়িয়ে দিল।রাহিন তারপর নতুন পোষাক পড়ে তার আম্মু আব্বুকে সালাম করল,তারাও খুশি হয়ে সালামি দিল এক হাজার টাকা করে।
রাহিনের খুশি দেখে কে??? খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাইরে গেল।রাহিনে এক চাচা চাচী তাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে।রাহিন তাদের কাছ থেকে সালমি আনতে গেল।
এভাবে সকলের কাছ থেকে সালামি আদায় করল ও প্রচুর।
নওরীন:আব্বু তোমার কাছে তো এখন প্রচুর টাকা।আমায় কিছু টাকা দিবে???
রাহিন: না দিব না।
নওরীন: কেন দিবে না আব্বু??? তাহলে আমি আইস্ক্রিম কী করে খাব???
রাহিন:আচ্ছা আম্মু এই যে নাও টাকা।
নওরীন: না আব্বু লাগবে না আমার।হি হি হি
বলে রাহিনের কপালে একটা চুমু দিল নৌওরীন।রাহিনও নওরীনের কপালে চুমু দিল বিনিময়ে।
এবার রাহিন তার বাবার সাথে নামাজ পড়তে যাবে।কিন্তু সেখানে ঘটল বিপত্তি।কারণ দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় তারাহুড়া করতে গিয়ে রাহিন দরজার সাথে ধাক্কা খেল।কপাল ফুলে গেল ওর। প্রচুর কান্না করতে লাগল রাহিন। নওরীন আর রফিক মিলেও সে কান্না থামাতে পারল না।শেষে চকলেটের লোভ দেখিয়ে কান্না থামাল ও।
ঈদের নামাজ পড়ে আসার পর খাবার খেতে বসল সবাই।
রাহিন: আব্বু দাদু বাড়ি যাব কখন???
রফিক:তোমার দাদা এবং অন্য চাচারা কুরবানি করায় ব্যাস্ত।বিকালে আমরা সেখানে যাব।
রফিক বড় একটা চাকরি করে।তাই ঈদে যেতে দেরী হয়ে যায়।তার ভাগের কুরবানির টাকা আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে।শেষে ঈদের দিন বাড়ি যায়।
রাহিনকে নিয়ে তারা রাহিনের দাদু বাড়ি আসল।সকল চাচাতো ভাই বোনের সাথে রাহিন প্রচুর দুষ্টুমি করতে লাগল।এভাবেই ঈদের দিনটা প্রচুর মজার সাথেই কাটে রাহিনের।
[৩]
এখন রাহিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ে।আগের সেই বাচ্চা নয় সে। কারও কাছ থেকে সালামি নেওয়ার বদলে এখন তার ছোট বোন সারাকে সালামি দিতে হয়।আবার দাদু বাড়িতে গেলে সেখানের পিচ্ছিগুলোকেও সালমি দিতে হয়।আর কুরবানির প্রচুর কাজ করতে হয়। আগের মতো আর ঈদের মজা পায় না সে।আয়নায় যখন তার কপালে ওইদিন বাড়ি খাওয়ায় হালকা উঁচু হয়ে থাকা অংশটা দেখে তখন ছোটবেলার ঈদের কথা বারবার মনে পড়ে রাহিনের। আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটা কথাই বলে,,,
"সত্যিই ছোট বেলার ঈদ প্রচুর মজার ছিল।বড় হওয়ার সাথেসাথে এখন ঈদের মজাও শেষ।"
[ঈদ মোবারক।ঈদুল আযহার শুভেচ্ছাhug:। কেমন লাগল??? আশা করি একটু হলেও আনন্দ দিতে পেরেছি।ভুল নজরে এলে বলবেন]
বি.দ্র.: যথেস্ট সময় আর শ্রম ব্যায় করে গল্প লিখি।আর আমার প্রোফাইলে সব গল্প আমার নিজের হাতে লেখা,তাই দয়া করে কপি করবেন না।
আল বিদা,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now