বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
লেখকঃ মোঃ আনিছুর রহমান ( নিজ )
প্রকাশনাঃ হ্যামক ট্যুরিজম বিডি
শ্রেণীঃ উপন্যাস
প্রকাশকালঃ ২০১০
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
♥পর্ব-১০♥
আমি একটি চিঠি লিখেছি। চিঠিটি পাঠিয়ে দিলাম ডাকযোগে। চিঠিটি পেয়ে অপরাজিতা হাসবে নাকি রাগ বুঝতে পারছি নে। চিঠিটির প্রতিটি লাইনে আছে-এক একটি স্পন্দন, পড়ে স্থির থাকতে পারবে কিনা জানি নে। তবুও শঙ্কা জাগে এই ভেবে তার মনটা কি আসলেই স্পন্দিত হবে?
হঠাৎ অপরাজিতার কাছ থেকে চিঠিটির উত্তর আসে। এটি ছিল একটু বেদনাদায়ক যেন আমার বুকে কাঁটা বিধছিল। তার কথাগুলো ছিল যৌক্তিক, আমার পক্ষে কতটা যৌক্তিক হবে সেটা সে উপলব্ধি করতে পারেনি। চিঠিতে অপরাজিতা বলেছিল এই যে,
" আমি সে রকম মেয়ে নই, কারোর ভালবাসা খর্ব করার অধিকার আমার নেই। ভালবাসা তো মহান যা যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে। আপনার ভালবাসাও অম্লাণ হয়ে থাক। "
এরপর চিঠিতে যুক্ত ছিল বেদনাদায়ক শব্দ চয়ন। পড়ে স্থির থাকতে পারি নি। দেখা করা আবশ্যক। চিঠিটি পড়ে আমি অবাক হয়ে যাই কারণ সে আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছে। দেখা করতে যাচ্ছিলাম। ভাগ্যটা মনে হয় প্রসন্ন ছিল না। সড়ক দূর্ঘটনা।
হাসপাতালে ভর্তি আমি। ফোনটা অকেঁজো। হাসপাতালের ফোনে অপরাজিতাকে কল করি।
- হ্যালো, আমি আনিছুর বলছি।
- আপনার জন্য আমি অপেক্ষা করছি যে, আপনি তো আচ্ছা মানুষ, কথা দিয়ে আসলেন না।
- দুঃখিত, সড়ক দূর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আমি।... কি করছো নার্স? আমি ব্যথা পাচ্ছি তো।
- আপনার আঘাতটা কি গুরুতর?
- ও কিছু না। সামান্য কেটে গেছে।
- আমি না বুঝে আপনাকে অনেক কিছু বলে ফেলেছি। সরি। আমার জন্যই এসব হলো। কেন আমি আপনাকে আসতে বলেছিলাম।
_ আমার কারণে তোমার হওয়ার কারণ নেই। আসলেই আমি ঠিক আছি।
- আমি কি আসব?
- না, আসতে হবে না। বিকেলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করবে।
- গতকাল কুরিয়ারে আমি আমার লেখা উপন্যাস পাঠিয়েছি। পেলে জানাবে কিন্তু। এখন রাখছি অপরাজিতা। বাই বাই। . আল্লাহ হাফেজ।
- আল্লাহ হাফেজ।
ঐ দিনই হাসপাতাল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে চলে এলাম। কিছুদিন কেটে গেলে। অপরাজিতাকে ফোনে কল দিলাম।
- হ্যালো, অপরাজিতা।
- হ্যা, আনিছ ভাইয়া, কেমন আছেন আপনি?
- আলহামদুলিল্লাহ ভাল। তোমার জন্য যে উপন্যাস পাঠিয়েছিলাম সেটা পেয়েছো কি?
- দু'দিন আগে পেয়েছি সেটা। পড়াও শেষ। তবে এটা বলুন যে, এটা মনে হয় আমাকে নিয়ে লিখেছেন, তাই নয় কি?
- ঠিকই ধরেছো। এটা তোমায় নিয়ে লেখা।
- দারুন লেখেন তো আপনি।
- না, লেখা চলে আর কি।
- তাই।
- তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে পারবে?
- অবশ্যই। বলুন কোথায় দেখা করতে পারি?
- জাবির চারুকলা ভবনের সামনের লেকে।
- ভালোই তো! প্রকৃতির সাথে ভাব জমানো যাবে।
অপেক্ষা করছিলাম। প্রকৃতির সাথে অপরাজিতাকে কল্পনা করছিলাম। হঠাৎ দেখি, উন্মুক্ত কেশে মলয় দিচ্ছে দোলা, কাজল কালো আঁখিতে বিস্ময়, নীল নীল রঙের শাড়ীতে অপরাজিতাকে মায়াবী লাগছিল।
- কি? ওমন ভাবে কি দেখছো?
- তোমাকে। তুমি যেন প্রকৃতির সাথে মিশে গেছো।
- তাই? তুমি আমাকে কেন দেখা করতে বললে?
- আমার উপন্যাসটি পড়ে বুঝো নি তুমি? কেন ডেকেছি আমি?
- বুঝেছি। এটা সম্ভব নয় আনিছ। তুমি ফিরে যাও। আমি অন্য জন্যকে.........
- না। তুমি তা পারো না। আমি তোমার ভালবাসা অমর্যাদা করব না। আমাকে বিশ্বাস করো। তোমার হাতটি ধরি।
- না। তুমি তা পারবে না।
- আমি জানি তুমিও আমায় ভালবাসো। কেন তুমি এমন করছো। আমি চলে যাচ্ছি। আমার ভালবাসায় কোন পাপ ছিল না।
❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
ESHRAT JAHAN
Golpobuzz ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেহৃদয়
GJ Writer ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে