বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ইন্টারনেট দুনিয়ার ভালো-মন্দ

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান K.M.Tafsirul Islam Rakib (০ পয়েন্ট)

X ইন্টারনেট এ সময়ের শক্তিশালী প্রচারমাধ্যম। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো দেশে বিপ্লব হচ্ছে। কোথাও বা সরকারের গদি টলে যাচ্ছে। আবার এর মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীরা সহজেই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। অশ্লীলতা ও নগ্নতার প্রসার ঘটছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে ইন্টারনেট আজ মাদকের মতোই ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার ইন্টারনেটে মানবকল্যাণকর চিন্তা ও উপকারী বার্তাও শেয়ার করে নেকি অর্জন করছে ধর্মপ্রেমিকরা। ইন্টারনেটে যারা অযৌক্তিকভাবে ইসলাম-কোরআন এবং নবীজি (সা.)-এর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে মুসলিম মেধাবী তরুণরা সেসবের যৌক্তিক জবাবও দিয়ে যাচ্ছে। এক কথায় ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভালো-মন্দ, সাদা-কালো- দুটো দিকই আছে। এখন আপনাকেই বেছে নিতে হবে আপনি কেন ও কীভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজ করবেন। ইসলামের সৌন্দর্য হল- নিরর্থক বিষয়ে না জড়ানো। যেসব কথা ও কাজে দুনিয়া বা আখেরাতের কোনো উপকার নেই তা না করা। ইন্টারনেটে যে স্ট্যাটাস দিয়ে দুনিয়া-আখেরাতের কোনো উপকার হয় না তা না করাই একজন মুসলিমের কর্তব্য। আফসোস! অনেকেই বেহুদা বিষয়ে লেখালেখি করেন আবার সেসব লেখায় লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করতেও দেখা যায় অনেককে। সবচেয়ে দুঃখের কথা হল, ইন্টারনেট জগতে এমন মানুষও দেখেছি যারা ভিন্নমতকে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেন না। যৌক্তিক লেখায়ও অযৌক্তিক কমেন্ট এবং বিশ্রী গালাগাল করতে দেখা যায় তাদের। অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমার অপছন্দনীয় বিষয় এড়িয়ে যাও। শয়তান তোমাকে রাগিয়ে তুলতে চাইলে আল্লাহর কাছে পানাহ চাও’। (সূরা আরাফ, আয়াত-২০০)। কেউ গালি দিলে বা অন্যায় আচরণ করলে বিনিময়ে ক্ষমা করা অথবা এড়িয়ে যাওয়ার শিক্ষা দেয় ইসলাম। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘একদিন এক ইহুদি নবী করিম (সা.) কে বলল, ‘আসসামু আলাইকা’। অর্থাৎ আসসালামু না বলে আসসামু বলেছে। যার অর্থ- তুই মরে যা। আম্মাজান আয়েশা (রা.) এটি শুনে খুব রেগে গেলেন। বললেন, তুইও মরে যা। রাসূল (সা.) বললেন, আয়েশা! তুমি কাজটি ঠিক করনি। আল্লাহতায়ালা সব কাজেই নম্রতা পছন্দ করেন। হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি শুনেননি সে কী বলেছে? হুজুর (সা.) বললেন, আমি শুনেছি। কিন্তু আমি তো তাকে খারাপ বলতে পারি না। আমি শুধু বলব- ‘আলাইকা’ অর্থাৎ তোমার ওপরে তাই নেমে আসুক, যা আমাকে বলেছ। (মিশকাতুল মাসাবিহ)। এ হাদিস আমাদের শেখাচ্ছে, কেউ আমাকে খারাপ বললেও আমি তাকে খারাপ বলব না। অথচ আজকাল আমাকে আর খারাপ বলতে হয় না। কারও কথা বা মত আমার মতের সঙ্গে মেলেনি। ব্যাস! তাকে এমন ভাষায় গালাগাল শুরু করে দিই, যা একজন মুসলমানের মুখে কখনই শোভা পায় না। মিশকাত শরিফের এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনও গালিবাজ হয় না।’ গালি দেয়া সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়। অভ্যাসের বশে অনেকেই কথায় কথায় গালি দেয়। আবার অনেকে হাসি-ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দিয়ে বসে। এসবের কোনোটিই ঠিক নয়। গালি সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘এমন দু’ব্যক্তি যারা একে-অপরকে গালি দেয়, গালির পাপ সে ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হবে, যে প্রথমে গালি দিয়েছে। যে পর্যন্ত না দ্বিতীয় ব্যক্তি সীমা ছাড়িয়ে যায়।’ অন্য হাদিসে আছে, ‘মুমিন কখনও অভিশাপকারী, অশ্লীল ও গালিবাজ হয় না। (জামে তিরমিজি, হাদিস নম্বর-২০৪৩)। আচ্ছা বলুন তো দেখি, কাফেররা যে আমাদের নবীজিকে কত কষ্ট দিয়েছে, গালি দিয়েছে বিনিময়ে নবীজি কি একদিনও কাফের-মুশরিকদের পাল্টা গালি দিয়েছেন? তাহলে সেই নবীর উম্মত হয়ে কীভাবে আপনি অন্যকে গালাগাল করেন? একজন মুসলমানকে গালি দেয়া সম্পর্কে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানকে গালি দেয়া চরম পাপ কাজ।’ (বোখারি ও মুসলিম)। ইন্টারনেটে অনেকেই না বুঝে অন্যের পোস্ট শেয়ার করে ফেলেন। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রয়োজনও মনে করেন না। এটিও ঠিক নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি এ পোস্টের সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত না হব ততক্ষণ পর্যন্ত এ পোস্ট শেয়ার করা আমার জন্য গোনাহ। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, সে যা শুনে সত্যতা যাচাই না করে তা-ই বিশ্বাস করে।’ (মুসলিম)।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪০৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now