বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

♥ আইসক্রিম ♥

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Siam 2.0 (০ পয়েন্ট)

X ছেলেবেলায় কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো "বড় হয়ে কি হতে চাও?"। আমি বিনা সংকোচে একগাল হেসে উত্তরে বলতাম " আইসক্রিমওয়ালা"। সে সময় এর চেয়ে বড় এইম ইন লাইফ আর কিছুই ছিলো আমার কাছে। ভরপুর কোঁড়ানো নারকেলে ঠাসা দুধেল আইসক্রিম মানে ছিলো একটা ভাঙতে না চাওয়া মিষ্টি স্বপ্ন। ঠেলা ভ্যানের ওপর বরফ বোঝাই করা একটা গাব্দা বাকসো। আর তার ভেতরে থরে থরে সাজানো দুধ আর মিস্টি নারকেল এ মোড়ানো মজাদার আইসক্রিম। রাস্তা দিয়ে বেশির ভাগ ভরদুপুর বেলায় ঐ আইসক্রিম ওয়ালা যখন তার গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে যেত। বাচ্চারা দৌড়াতে দৌড়াতে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো তার পিছু নিত। আর আইসক্রিম ওয়ালা জোরে জোরে বাকসের ঢাকনা দিয়ে ধড়াম ধড়াম করে বাড়ি মারতো, আর হাঁক দিত, "মা - লা - ই - আ -স -কি - রি- ম"। কারো হাতে হাতে থাকতো দুমড়ানো মোচড়ানো স্টিলের প্লেট। কারো হাতে সিলভারের পুরোনো ব্যাঁকা ত্যাঁড়া পাতিল, ভাঙ্গা টিনের পট। আবার কারো কারো হাতে কুরবানীর গরুর হাঁড়। কারন? কারন আর কিছুই না। টাকা বা পয়ঁসার পাশাপাশি ঐ সব ফেলে দেয়া জিনিসের বিনিময়েও আইসক্রিম পাওয়া যেত। আর টাকায় কিনলে আট আনা,এক টাকা দাম। সেই সময় ঐ এক টাকা,আট আনাকে ও যক্ষের ধনের মত প্যান্টের কোচড়ে জমা করে রাখতাম। শুধু রোজ দুপুরে একটা বরফ শীতল আইসক্রিম খাওয়ার লোভে। আইসক্রিম ওয়ালা মামা সেই জাদুর বাকসো খুলে হাতে ধরিয়ে দিতো বাঁশের কাঠিতে গাঁথা এক টুকরো ধবধবে সাদা বরফ। জিভ ছোঁয়াতেই নারকেল আর মালাইয়ের মিষ্টি স্বাদে ডুবে যেতে মনে হতো এরচে অমৃত খাবার বোধকরি আর একটিও নেই পৃথিবীতে। দৌড়ঝাপ করে বৌ ছি খেলে আসা আমার সারা গায়ে লেপ্টে থাকা নোনা ঘাম যেনো ম্যান্থলের বাস্পে ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে যেতো বাতাসে। চোখ বুঁঁজে চেটেপুটে খেতে খেতেই মনস্থির করতাম, যে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবেনা। যত সময় নিয়ে খেতে পারা যাবে ততই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যাবে এর মোহনীয় স্বাদ। তাতানো গরমে বরফ গলে আমার হাত পরনের জামার ঝালর রসে মাখামাখি হয়ে যেতো। সেদিকে তোয়াক্কা করার সময় বিন্দুমাত্র সময় নেই আমার! ঠান্ডা বাঁধালে মায়ের বকুনির চিন্তাটাকেও তখন একপাশে ঠেলে সরিয়ে রাখতাম। আহা ! কত দুর্দান্ত আনন্দের ছিল এক একটা দুপুর। কত বেহিসেবি আহ্লাদের ছিল প্রতিটা মুহুর্ত! আসলে জীবনের স্মৃতিময় সব দিনের মাঝে কেবলমাত্র শৈশবের দিন গুলোই ঝলমলে আসর জমিয়ে রয়েছে মগজে। লাভ - ক্ষতির ক্যালকুলেটর ছিলোনা বিধায় খুশির জোয়ারে কানায় কানায় ভরে ছিলো মন। আজ সেখানে সময়ের পলি জমে খাঁ খাঁ প্রান্তর। কত নামী দামি আইসক্রিমই তো খাওয়া হয় হর হামেশা। কিন্তু সেই স্বাদ সেই অনুভূতি কোথায় যেনো ক্রমশ উধাও হয়ে গেছে। তাকে আর ফিরে পাবোনা কখনো! আইসক্রিম লেখা ~ Noor Helen


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২০৯৪৩ জন


এ জাতীয় গল্প

→ একটা আইসক্রিম ও দুজনের ভালোবাসা
→ চোখের জলের আইসক্রিম
→ আইসক্রিমের কাঠি যখন পাপেট
→ একটা আইসক্রিম ও দুজনের ভালোবাসা
→ একটা আইসক্রিম ও দুজনের ভালোবাসা
→ আইসক্রিম স্টিক-এ তৈরি ফটোফ্রেম
→ একটা আইসক্রিম ও দুজনের ভালোবাসা

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now