বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

দূরে থেকেও সে কাছে(২য় পর্ব)

"স্মৃতির পাতা" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান সাফায়েত হোসেন (০ পয়েন্ট)

X স্নেহার সাথে এক্টুর জন্য দেখা হলো না এই জন্য আমি মনিরের উপর রাগ দেখালাম।কারণ ওহ কেনো স্নেহা একটু অপেক্ষা করে যেতে বললো না।পরে আবার ভাবলাম মনিরের উপর রাগ দেখিয়ে এখন কি বা লাভ।আমার দেরির জন্যই তো আবার হারিয়ে ফেললাম স্নেহা কে।তারপর কলেজের ফাকে একটু সময় বের করে স্নেহা কে ফোন দিলাম।ফোন দিয়ে ওরেহ বললাম যে কেন এসে চলে গেল এভাবে।আমার কথা শোনার পর উল্টে স্নেহাই আরো আমায় অপমান করলো কারণ আমি কেন দেরি করে আসছি।আর আমায় অনেক বার ফোন দিছিলো কিন্তু আমি ধরি নি।এসব বলে ওহ ফোন রেখে দেয়।এতে আমার অনেক খারাপ লাগে।আর আমি বাসের মধ্যে ছিলাম ফোন তখন দিছিলো স্নেহা তাই আমি শুনতে পাই নি।তাই সব দিক দিয়ে দেখলে দোষটা আমার ই বলা যায়।তো এসব ভাবনা আর মন খারাপ এ দিনটা আমার খুব খারাপ যায়।অবশ্য ওইদিন রাতেই আমাদের মান অভিমান সব দূর হয়ে যায়।স্নেহা ম্যাসেজ এ আমায় বলে যে ওর অনেক রাগ হয়েছিল আমার উপর তাই আমায় অপমান করছে।আর আমাকে সরিও বলেছে।তারপর আমার একটু মন ভালো হয়।আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুর সাথে মান অভিমান দূর হয়ে গেছে এতেই আমি অনেক খুশি।তারপর আরো কয়েকদিন পর স্নেহা আমায় জানালো সে কলেজে আসবে ক্লাস করতে তাই এবার দেখা হবেই।তো যেদিন স্নেহার কলেজে আসার কথা ওইদিন আমি তো অনেক উত্তেজিত ছিলাম কারণ দুই মাসের ও বেশি দিন পর আবার স্নেহার সাথে দেখা হবে আমার।তো ওইদিন যথারীতি ক্লাস করছিলাম আমি আর আমি জানতাম না যে স্নেহা আসলে কোন সময় আসবে।তারপর প্রথম কি দ্বিতিয় ক্লাস শেষ হওয়ার পর স্যার চলে যাওয়ার পর দেখি অনেকের সাথে স্নেহা ক্লাসে প্রবেশ করছে।প্রায় দুই মাসের ও বেশি সময় পর আবার দেখলাম স্নেহাকে।কি যে ভালো লাগছিল আমার সেদিন।তো স্নেহা আমার কাছে আসার পর আমরা দুজন একে অপরের সাথে হাত মিলাই। তারপর ওরেহ আমি জিজ্ঞেশ করি কখন আসলি? স্নেহা বলে এই তো একটু আগেই আসছি। তারপর স্নেহা ওর জায়গায় গিয়ে বসে আর আমরা ক্লাস করি।এরপর কলেজ শেষে কলেজের বাইরে কলেজের মেইন গেটের বাইরে রাস্তার পাশে আমি স্নেহার জন্য কেনা শো পিচ এবং হেয়ার ব্যাণ্ড ওরেহ দেই।আসলে স্নেহা আসবে দেখে আমি ব্যাগে করে গিফটগুলো নিয়ে আসছিলাম যাতে ওরেহ দিতে পারি।আমি হেয়ার ব্যাণ্ডটা নিজেই ওরে পরিয়ে দি।আর শো পিচটা দেখে স্নেহা অনেক খুশি হয় আর অনেক ভাল হয়েছে দেখে প্রশংসা করে।তারপর স্নেহা তার বাসার দিকে চলে যায়।অবশ্য এবার আর ওরেহ বেশিদিনের জন্য না দেখে থাকতে হবে না। স্নেহা আবার কাল আসবে কারণ কাল আমাদের এইচ.এস.সি রেজিষ্ট্রেশনে আমাদের পরিচয় আর বিষয় ঠিক আছে কি না সেটা দেখা হবে। তারপর কাল আবার কলেজে এসে রেজিষ্ট্রেশনে সব ঠিক আছে কি না দেখার জন্য একটা রুমে এসে বসলাম।তার কিছুক্ষণ পর স্নেহাও আসলো।স্নেহা এসে আমার একটু পিছনে বসলো।আর পিছে বসে আমাদের ক্লাসের একটা ছেলের সাথে গল্প করা শুরু করে দিয়েছে।আমায় যেন ওহ পাত্তাই দিচ্ছে না।এতে আমার অনেক রাগ হলো।অভিমান জাগলো মনে।এরপর আমার ডাক আসলো রেজিষ্ট্রেশন ঠিক আছে কি না দেখার জন্য।আমি গিয়ে দিখলাম তারপর দেখার পর একটা সই করা লাগবে আমি সই করলাম।সই করে আমার সিটে গিয়ে আবার বসলাম।এর মধ্যে স্নেহা এবার আমার পাশে এসে বসলো।আমায় ডাকলো আঙ্গুল দিয়ে গুতালো কিন্তু আমি ওর সাথে কথাই বললাম না।তারপর আমি ওর সাথে কোনো কথা না বলেই বাসার দিকে রওনা দিলাম।বাসায় যাওয়ার সময় আমার মনে এতই রাগ আর অভিমান জমেছে যে আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে স্নেহার সাথে আর কখনো কথাই বলবো না আর ফ্রেণ্ডশিপটা এখানেই শেষ করে দিব।তারপর রাগ নিয়েই বাসায় আসলাম। ওই দিন সন্ধ্যায় আবার স্নেহা আমায় ম্যাসেজ দিলো যে কেন আমি ওর উপর রাগ করছি। আমি বললাম কেন তুই ওই ছেলের সাথে এত কথা বললি।আমাকে তো দেখেও যেন না দেখার ভান করলি। স্নেহা বললো আরেহ ওই ছেলে আমাদের এখানে বাসা।আর তুই তো জানিস এখন আমি আমার অন্য বাসায় অন্য জেলায় থাকি।তাই অনেকদিন পর দেখা হওয়াতে আমার খোজ খবর নিচ্ছিলো আরকি। স্নেহার এই কথা শোনার পর আমার রাগ অভিমান সব গলে যেন পানি হয়ে গেলো।আমিও আমার এমন রাগ দেখানোর জন্য ওরেহ সরি বললাম।তারপর ম্যাসেজে আমরা আরো কথা বললাম। গল্পের বাকি অংশ শেষ পর্বে জানানো হবে। [শেষ করতে চেয়েও করলাম না শেষ।গল্পের বাকি অংশ জানতে আরো একটা পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।]


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৭১ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now