বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সেই হারানো দিনগুলি

"জীবনের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Saif sayed (০ পয়েন্ট)

X স্কুল লাইফটাকে আমরা সবাই খুব মিস করি।যখন স্কুলে পড়তাম আর ভাবতাম ইস কবে যে কলেজ যাবো।দেখতে দেখতে কিভাবে যে স্কুল লাইফটা পার হয়ে গেল টেরই পেলাম না।একদম ছোট্ট বেলায় যখন আম্মু স্কুলে ভর্তি করে দিল তখন জানালা দিয়ে বাইরে আম্মুর দিকে তাকিয়ে কান্না করে দিতাম।মনে হতো এ কোন জেল খানায় বন্দি করে দিল আমাকে।আস্তে আস্তে যখন আমার অনেক গুলো বন্ধু হলো তখন বুঝতে শিখলাম স্কুল যাবার মজা।সকাল সকাল স্কুল গিয়ে বন্ধুদের সাথে কানামাছি আরো কত কি খেলা খেলতাম।তারপর প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে গেলাম হাই স্কুলে।সেখানেও নতুন নতুন অনেক বন্ধু পেলাম।তাদের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত এখনো মনে পরলে কখনো কান্না কখনো বা হাসি পায়। সকাল সকাল প্রাইভেট যাওয়া।স্যারের কড়া কড়া কথা শুনে কখনো ভয় পেতাম কখনো বা মুখের হাসি চেপে রাখতাম।সবার আগে ক্লাসে ঢুকার সে কি চেষ্টা।প্রিয় বন্ধু গুলোর জন্য বই দিয়ে জায়গা দখল করে রাখা,অন্য কেউ বসলে তার সাথে ঝগড়া করা কখনো বা স্যারের চোখের আড়াল হয়ে বন্ধুর সাথে গল্প করার জন্য ইচ্ছে করে পেছনের সিটে বসা। প্রিয় বান্ধুটা স্কুলে না এলে সবার মাঝ থেকে ফাকি দিয়ে তার প্রেসেন্ট দিয়ে দেয়া,পুরো ক্লাস না করে টিফিনের ঘন্টায় বাসায় চলে যাই। টিফিনের খাবার গুলো ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে একটা অদ্ভুত তৃপ্তি ছিলো।আমার খাবার তুই খা তোর খাবার আমি।বোতল থেকে পানি খাওয়ার আগে প্রমিস করিয়ে নেয়া,মুখ লাগিয়ে খাস না দোস্ত তাইলে আর কথা নাই কিন্তু। বন্ধুর কলমের ক্যাপ ভেঙ্গে দিলে তার গোমরা মুখ দেখে একটা দুষ্ট হাসি দিয়ে সরি বললে যেনো সব রাগ এক নিমিষে গলে বরফ হয়ে যেতো।স্যারের লেকচার শুনতে শুনতে হঠাৎ বন্ধুর চুল ধরে টান দিয়ে অন্য দিক তাকিয়ে কিছু না বোঝার ভান করা,ছুটির পরেও কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে তারপর বাসায় যাওয়া এগুলো এখন বড্ড মিস করি। আর এখন কলেজ ক্যাম্পাসটাকে খুব মিস করতেছি। কিন্তু কলেজ জীবনটা এখনও শেষ হয় নাই। তবু ক্যাম্পাসে কাটানো দিনগুলা মনে পড়ে। সকাল ৮ টা ক্লাস করাটা ঘুমের জন্য বিরক্তিকর ছিল। বন্ধুগুলারে খুব মিস করতেছি। বন্ধুকে বলতাম যে আমার ব্যবহারিক খাতাটা লিখে দিস। সেই দিনগুলা আজ হারিয়ে গেছে। আজ কলেজ ড্রেসটা নিস্তব্ধতায় কোন একটি দিনের অপেক্ষায় আছে। কবে সেই কালো মেঘের এক কোণে সোনালী রোদের আভা ফুটবে?


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪৬৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now