বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

খালার বাড়ির ভূত।#পর্বঃ-১

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Asadullah Al Galib (০ পয়েন্ট)

X লেখকঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব ~~~~~~~~~~~~~~ তখন আমার বয়স বোধ হয়৭-৮ বছর হবে।২য় শ্রেণীতে পড়ি।তো বার্ষিক পরিক্ষা দেয়ার পর শীতের ছুটিতে আমরা সপরিবারে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায় উল্লেখ্য যে আমার নানার বাড়ি আর বড় খালার বাড়ি খুব কাছাকাছি নানার বাড়িতে যেতে হলে খালার বাড়ি পার হয়ে যেতে হয়।নানার বাড়ি যাওয়ার পর শুনি পার্শ্ববর্তী গ্রামে ওয়াজ মাহফিল আমার মামাত ভাইয়ের কাছে এই খবর শুনে তো আমি বড্ড খুশি। আহা! মাহফিলে গেলেই বিরিয়ানি খেতে পারব আর সাথে তো ঝালমুড়ি, পুচকা আছেই। আমার যে মামাত ভাইয়ের কথা বলছি তার বয়স ও তেমন হবে না বেশি হলে ১১ বছর।অবশ্য যে মাহফিলে যাবার নিয়ত করেছি সেটা আমার নানার বাড়ি থেকে মোটামুটি ১ -২ কিলোমিটার দূর হবে তাই আম্মু আমাকে নিষেধ করে না যাওয়ার।দুজন ছোট ছোট ছেলে একা একা এত দূরে যাবে সেটা আম্মু মানতে পারলো না কিন্তু আমার মামাত ভাই গ্রামে থাকে গ্রামের আলো বাতাস খেয়ে সে বড় হয়েছে।তার সাহস তো অনেক বেশি। যাই হোক শেষ-মেষ আম্মুকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করে আমরা মাহফিলে যায়।আমি কোনসময় ১-২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যায়নি তাই কিছুদূর যেতেই আমি হাঁপিয়ে পরি।তবু কষ্ট-বিষ্ট করে আমার ভাইয়ের কাধেঁ কোলে উঠে কোনমতে মাহফিলে গিয়ে পৌঁছি।আমি তো গিয়েই ধপাস করে মাটিতে বসে পরি।খুব ক্লান্ত লাগছিল আমাকে কিন্তু আমার ভাইয়ের শরীরে তো কী তেজ মনে হয় সে আরো ৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে পারবে।আমাকে এত দুর্বল দেখে সে তাড়াতাড়ি করে গিয়ে এক গ্লাস পানি আনল।আমি পানিটুকু এক ডুবে খেয়ে পেলি।তারপর আমার ভাই আমাকে বলে- "আজকে বুঝতে পারলাম শহরের ছেলেরা কেমন দুর্বল" "আর কথা বলোনা আমাকে তুমি আজ একেবারে মেরে ফেলেছো একটা রিক্সা করে আসলে কী টাকা সব ফুরিয়ে যেত" "আচ্ছা বুঝছি যাওয়ার সময় তোকে রিক্সা দিয়ে নিয়ে যাব যা এখন চল কিছু খেয়ে আসি।" এই বলে সে আমার হাত ধরে ঝালমুড়ির দোকানের কাছে নিয়ে যেতে লাগল আম্মু তাকে বলে দিয়েছিল যে সে যেন আমার হাত না ছাড়ে সবসময় তার কাছে রাখে তাই সে একমুহূর্তের জন্যও আমাকে হাত ছাড়া করল না।যাই হোক আমরা ঝালমুড়ির দোকানে গিয়ে ঝালমুড়ি খেলাম।আহ!কী মজা। আমি বাড়ি থেকেই বাইনা ধরেছিলাম আমি মাহফিলে গিয়ে পুচকা খাব।তাই আমাকে ২০ টাকার পুচকা কিনে দিল।পুচকা খেতে খেতে শুনি মাহফিলের প্রধান অতিথি স্টেজে উঠে গেছে।আমি তো তাড়াহুড়ো করে একসাথে ৩ টা পুচকা মুখে দিয়ে পানি খায়।তারপর তাড়াতাড়ি করে স্টেজের দিকে যায়।আমি কী মাহফিলে বক্তব্য শুনতে গিয়েছিলাম?শুধুমাত্র আনন্দের জন্য গিয়েছিলাম।তাই কীসের ওয়াজ শুনা?আমি স্টেজে বসে বসে বাদাম খায় আর আমার ভাই তো কী গভীর মনোযোগে ওয়াজ শুনে মাঝে মাঝে আমাকে বলে- "কীরে কী করছ?একটু শুন কী কী সুন্দর ওয়াজ পড়ছে।" আমি কী আর তার কথার পাওা দেয় নাকি?আমার কাজ আমি করি।যাই হোক এসব করতে করতে রাত ১২ টা বেজে যায় আমি আগে কোনসময় এত রাত জাগিনি কিন্তু এদিন জাগলাম শুধু বিরিয়ানি খাবার লোভে কিন্তু ১২ টা বাজার পর আমি আর আমার চোখ খুলতে পারি না তাই আমার ভাইয়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি।আমার এত ঘুম পাচ্ছিল যে এত শব্দের ভিতরেও আমি গভীর ঘুমে ডুবে যায়। হঠাৎ করে আমার ভাই আমাকে ডাক দেয়- "কীরে গালিব উঠলি না ওয়াজ শেষ এখন বিরিয়ানি দিচ্ছে।" আমি তো বিরিয়ানির কথা শুনে একলাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসে পড়ি।তাড়াহুড়ো করে আমার ভাইকে জিজ্ঞেস করি এখন কয়টা বাজে সে বলে- "২.৩৫ চল তাড়াতাড়ি বিরিয়ানি শেষ হয়ে যাচ্ছে।" "চল।" তারপর গিয়ে দেখি সত্যিই বিরিয়ানি শেষ পর্যায়ে।অনক মানুষের ভিড় ঠেলে ভিতরেে ঢুকে ২ টা বিরিয়ানির প্যাকেট নিই।১ টা আমার আর একটা আমার ভাইয়ের।তারপর ভিড় ঠেলে আবার বাইরে এসে খাওয়া শুরু করি তখন আমরা ২ জনের কারো মাথাতেই ছিল নাযে রাত অনেক হয়ে গেছে। আমরা খাওয়ার পর টিওবয়েলে গিয়ে পানি খায় সেখানে যাওয়ার পরই আমার মনে হলো অনেক রাত হয়ে গেছে।তখন আমরা স্টেজে গিয়ে দেখি প্রায় সবাই বাড়িতে চলে গেছ। তখন আমার জানি কেমন ভয় ভয় লাগছিল।কিন্তু আমার ভাই আমাকে সান্তনা দিয়ে বলে- "ভয়ের কিছু নেই।" কিন্তু আমার খুব ভয়....... (চলবে) [ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অতি তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাআল্লাহ]


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৮২ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • রামিশা নূর রাওহা
    User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে
    আরে ধ্যাততততততত!!!! এই পর্বে তো ভয়ের কিছুই নাই!!! শুধু শুধু না পড়েই ভূতের গল্পের নাম শুনে চিল্লাচিল্লি করে এ্যানার্জি খরচ করলাম!!!

  • রামিশা নূর রাওহা
    User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বে
    ওওওওওওওওওওওওও ভূওওওওওওওওওওওওতততত আসতেছে!!!! weep

  • Asadullah Al Galib
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ইনশাআল্লাহ।

  • Asadullah Al Galib
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ।নেক্সট পার্ট কালকে দিব ইনশাআল্লা।

  • Mofizul
    Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    সুন্দর.. … gj নেক্সট?

  • Asadullah Al Galib
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ জনাব।

  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ভাল লাগল পরের পর্ব শিঘ্রই দাও।