লিচু গাছের ভূত

X বাবার চাকরি সূত্রে ছোটো থেকেই বাহিরে থাকতাম।গ্রামের বাড়িতে খুব বেশি যাওয়া হয় না।তবে গ্রামের বাড়ি গিয়ে আমার একটি ভুতুড়ে অভিজ্ঞতা আছে।আমার বয়স যখন ৬ অথবা ৭ ছিল তখন বাবার ছুটি হওয়াতে বাড়ি গিয়েছিলাম।আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ি অর্থাৎ খুব কাছের প্রতিবেশী পরিবারের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক আমাদের, তাই বাড়ি গেলে তাদের বাড়িতে ও যেতাম।সেইবার গিয়ে যতদূর মনে পরে বেশ কিছু দিন ছিলাম বাড়িতে।গ্রামীণ এলাকায় লোকজন হয়তো একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরে তাই ৮ টা ৯ টা তেই স্তব্ধ হয়ে যায় চারপাশ।তবে কুকুরের বিকট শব্দে ডাক শোনা যায় মাঝে মধ‍্যে।গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্রচুর গাছপালা থাকে।আমাদের বাড়ি এবং তাঁর পাশের বাড়িতেও গাছপালা ছিল অনেক।কিছু ভুতুড়ে গাছ ছিল তেঁতুল গাছ,বাঁশ গাছ আর লিচু গাছের মতো(এখনো আছে) একদিন রাতে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম একাই।ছোটো বেলায় ভূতে ভয় পেতাম না অথবা ঐ মুহূর্তে ভূতের কথা মনেই আসেনি।লোডশেডিং এর কারনে চারদিকে অন্ধকার ছিল।ঐ বাড়িতে ও অন্ধকার ছিল আর তাদের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল।আমি দরজা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ঐ বাড়ির ফুফুকে ডাকছিলাম।অনেকবার ডাকার পরেও কেউ সাড়া দিলো না।সেখান থেকে চলে আসব ঠিক সেই মুহূর্তেই।বাড়ির উঠানের লিচু গাছটার কাছে কেউ দাঁড়িয়ে আছে মনে হলো।আমি ভেবেছিলাম বাড়ির কেউ হয়তো,তাই বললাম ওখানে কে।কোনো উত্তর দিলো না।কয়েকবার জানতে চাওয়ার পরেও বললো না কিছু, কিন্তু মনে হচ্ছিলো সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে তখন একটু ভয় ভয় লাগলো।খুব কাছেই যখন চলে আসছে মনে হলো আমি দৌড়ে বাড়ি চলে আসলাম।সেদিন আর কাউকে কিছু বলিনি।তবে পরের দিন ঐ বাড়ির ফুফুকে জিজ্ঞাসা করলাম আগের দিন রাতে তারা কোথায় ছিল ঐ সময়।ফুফু বললো আমি তো ঘরেই কোরআন পড়তেছিলাম আর ফুফু ছাড়া ঐ দিন নাকি বাড়িতে অন্য কেউ ছিলো না। ফুফুকে আর আমার ভয় পাওয়ার কথা জানাইনি এমনকি অন্য কাউকেই বলিনি ঐ দিনের কথা।অনেক বছর পরে বলেছিলাম বাবা মাকে।ঐ লিচু গাছটাতে নাকি অনেকেই কিছু একটা অনুভব করেছে তবে ঐ গাছটি এখন আর নেই এখনো জানিনা সেইদিন আসলে কি দেখেছিলাম তবে ভয় পেয়েছিলাম ভীষণ।