ফুটবল নিউজ ⚽ (STD with MR) - 2

X আসসালামু আলাইকুম গল্প:- ফুটবল নিউজ⚽ (STD with MR) - 2 জ্ঞান ফিরলো বা ঘুম ভাঙলো যাই বলি না কেন চোখ খুলতেই দেখলাম আমাদের স্পেসশিপটা একটা বড় গাছের উপর আটকে গেছে। রনি ভাই তখনও ঘুমোচ্ছে। ওনাকে ডেকে তুললাম। তারপর গাছ থেকে নেমে লোকালয়ের উদ্দেশ্যেi হাটা দিলাম। পথে দেখা হলো একজন বয়স্ক লোকের সাথে আরে ইনিতো আকিতা ভাবির বাবা। মানে রনি ভাইয়ের শশুর। উনি বললেন(ওনাকে আমি আঙ্কেল বলি) আঙ্কেল:- আরে জামাই বাবা আর তুমি মনে হয় সিয়াম এখানে হঠাৎ? রনি ভাই:- আরে আব্বা এখানে আসছি নিউজ সংগ্রহ করতে ফুটবলারদের। পথে ক্রাশ করে জঙ্গলে ঢুকে পড়ছি। কপাল ভালো গভীর জঙ্গলে ক্রাশ করিনি। আঙ্কেল:- ও তাহলে চলো খাওয়া দাওয়া করে যাবে। রনি ভাই:- ঠিক আব্বা চলেন তারপর আমরা দুজন আঙ্কেলের সাথে গেলাম তাদের এলাকায়। রনি ভাই জামাই মানুষ সবাই পেটপুরে খাওয়াচ্ছে। আমারও খাতির যত্ন কম হচ্ছে না। যাইহোক খাওয়া দাওয়ার পর আমরা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পেলে দাদুর বাড়ির দিকে চলতে শুরু করলাম। পেলে দাদুর বাড়িতে চলে আসছি। তো দর্শক এই মুহুর্তে আমি অর্থাৎ STD ও MR আছি পেলে দাদুর বাড়িতে । ওনার নাম পেলে হলেও এতদিন কি পেলেন ? আর কি ভাবেই পেলেন সেটা জানবো।। পেলে দাদুর বাড়িতে ঢুকতেই পেলে দাদুর সামনে পড়লাম রনি ভাইয়ের ক্যামেরাটা চালু ছিলো। আমি বলে ওঠলাম পেলে দাদু পেলে দাদু:- নাতিইইই। আমি: কেমন আছেন পেলে দাদু? পেলে দাদু:- নাম আমার নাইস তাই এই বয়সেও আছি নাইস। আমি:- আচ্ছা দাদু আপনার নাম কেন পেলে হলো? পেলে দাদু:- জীবনে ফুটবল খেলে কত কিছুই তো পেলাম। ধর তিনটা কাপ পাইছি তিনটা পিরিচ(মেডেল) আর ১২০০ + গোল।ওর জন্যই আমার নাম পেলে। আমি:- দাদু কান পাতেন কথা বলবো। পেলে দাদু:- কি কথা বল? আমি:- আপনে ১২০০+ গোলের ভিতর কয়টা গোল অফসাইড ছাড়া করছেন। দাদু এবার কেদে দিলো। বলল দাদু:- হায়রে নাতি কোথায় কুড়াল মারলি। শোন জিবনে তিনশ গোল অফসাইড ছাড়া করছি বাকিগুলো যেকি সেই মানে অফসাইড। আমি:- তাই । তা সেই তিন কাপ আর পিরিচ থুক্কু মেডেল দিয়ে করছেন? দাদু:- ওগুলো দিয়ে চা খাই আমি:- বাহ। কাপগুলোর যথেষ্ঠ মর্যাদা করছেন তাইলে দাদু যাই এখন। বের হয়ে আসলাম। তো দর্শকরা আপনারা এই দাদুর কিচ্ছা শুনলেন । এখন আমরা যাবো বাশ দিয়ে বাশ খাওয়া এবং ফুটবলে ২০১৮ সালের সেরা প্রতিবন্ধী নেইমারের কাছে তো দর্শকরা এখন আমরা নেইমারের বাড়িতে আছি। আমি:- রনি ভাই এবার ক্যামেরাটা আমাকে দেন আপনি প্রশ্ন করেন। রনি ভাই:- দে তাহলে। আমি মাইক দিলাম হাতে। রনি ভাই:- তা নেইমার ভাই আপনি ২০১৮ বিশ্বকাপে এত পড়ছিলেন কেন? আপনার পড়া দেখে আমাদের মঙ্গলগ্রহের একটা চিকনা এলিয়েনের মানসম্মান শেষ। আপনে এতবার পড়ে ওর রেকর্ড ভেঙেছেন। নেইমার ভাই:- আরে ভাই বইল্লেন আর প্রাকটিস করতে যাইয়া টেবিরের পায়ার লগে বাড়ি খাইছিলাম। কি করমু কন। মুই হইলো দুর্বল প্লেয়ার মাটিতে তো পড়মুই। আর আমি বাংলাদেশিদের একটা গান শুনছি ➡ ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।। মুই এই গান শুইন্না একটু এই গানের বাস্তব প্রোয়গ করলাম আর কি। রনি ভাই:- আরে বেটা আপনে তো মাথা ফুলা। ওই গানের মানে অন্য। যাকগে আপনে বার্সোলনা ২ বছরের চুক্তি কইরা থাকলি ছয় মাস হেরপর আবার যাওয়ার সময় বোনাছ চাইলি। এটা কেমন কথা? তারপর নাকি মামলাও করলি তা কি হলো মামলার? নেইমার:- ভাই মামলা হাইরা গেছি । এহন কোড কইছে উল্টা আমাকেই জরিমানা দিতে হবে। রনি ভাই: ঠিক হইছে। আপনার সাক্ষাত নেওয়া শেষ। তাইলে যাই। স্পেসশিপটা ঠিক করে পৌছে গেলাম আর্জেনটিনা। তো দর্শকরা আমরা এখন আছি ম্যারোডনা চাচার বাড়ির ছাদে। নিচে নামতেই দেখলাম ম্যারোডনা চাচা হাত পা ছড়িয়ে মদ্য পান করছে। ডাক দিলাম ম্যারাডোনা চাচাআআআআ। ম্যারোডনা চাচা লাফাই উঠলো বললো কে কে ও তোমরা যাক ভালো। আমি:- ভালো আছেন চাচা। আর এত মদ খান কেন কোন দুঃখ আছে নাকি/ ম্যারাডোনা চাচা:- আরে ভাতিজা কি করমু ক মোর ৮+ বৌ। হেরপর আবার ১৪+ ছেলেপেলে। এতজনের খাওয়াপরার দায়িত্ব আমার । এই বুড়োটার। দেখ না এই কাল বাজারে গেলাম মাছ কেনতে। তখন একটা ছেলে আইয়া কইলো আপনি মোর বাবা। হ্যা আপনিই আমার বাবা। মুই আর কি করমু নিলাম মেনে। আমি:- আহারে কি দুঃখ। তা চাচা এখন যাই। আপনার সাক্ষাত শেষ। দর্শক আপনারা দেখলেন ম্যারাডোনা চাচার সন্তান বৌয়ের পাতি হাস। এখন আমরা যাবো স্পেন আর ইটালিতে । বেচে থাকলে দেখা হবে। বাই বাই। বিঃদ্র:- কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না। জগিং করবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,