বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Omar (০ পয়েন্ট)

X মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক Writer-Md. Omar Part-08 একদিন রাতে বাসায় ফিরতেছি,,এমন সময় কয়েকটা ছেলে এসে আমার গাড়ি আটকালো,, আমি গাড়ি থামানোর সাথে সাথে একটা ছেলে চুরি বের করে বলল,, ছেলে-----এই গাড়ি থেকে নেমে সুজা চলে যা,, আমি--কেন ভাই গাড়ি থেকে নামবো কেন,, ছেলে--যদি ভালো চাস তো বাগ,, নাহয় এটা তুর পেটে ঢুকিয়ে দিবো, আমি---এখন তুদের ভালো চাইলে তুরা বাগ,,, -----কিহহ তুর এত বড় সাহস,,এই ধর বেটাকে মেরে নদীতে ফেলে দেয় যখনি আমাকে গাড়ি থেকে নামাতে যাবে অমনি কোমরে গুজে রাখা চুরি টা বের একটার হাতে ঢুকিয়ে দিলাম,, ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে আমি সিটের নিজ থেকে লাম দা টা বের করলাম,,, আমি--নে আমাকে মারবি তাই না,, তারপর বাকি ছেলে গুলো চুরি বের করল,, একজনে আমার দিকে ছুরি ছুড়ে মারলো,, কিন্তু আমি সরে যাই,, ছুড়ি টা গিয়ে আমার পিছনে থাকা ছেলেটার বুকে লাগে,,, ওরা যখন আমার দিকে এগিয়ে আসতে যাবে তখনি,, লাম দা দিয়ে এককাকে কুপিয়ে দিলাম,,, সাথে সাথে ছেলেটি লুটিয়ে পড়লো,,, আমি--আই আমাকে মার, আমি হু হু করে হাসতে লাগলাম,, তখনি কে যেন ছুরি দিয়ে আমার হাতে আগাত করলো,, সাথে সাথে আমার হাত দিয়ে রক্ত পড়তে লাগলো, মাথায় চরম রাগ উঠে গেল,, লাম দা দিয়ে একটা গর্দান এ এমন ভাবে মারলাম যার কারণে মাথা আর গা আলাদা হয়ে গেল,, এভাবে একে একে সবাইকে মেরে,, লুটিয়ে দিলাম,, তারপর সবাইকে রাস্তার মাঝখানে এনে এক জায়গায় করে শুয়ে দিলাম,, তারপর একটা ভয়ংকর হাসি দিলাম,, এ হাসির মানে একটাই,,সেটা হচ্ছে প্রতিশোধ এর আগুন,,, তারপর সুজা বাসায় চলে আসলাম,, বাসায় এসে লাম দা আর ছুরি টা ভালো করে ধুয়ে নিলাম,, তারপর গোসল করে নিলাম,, বিছানায় বসে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া কথা গুলো ভাবলে লাগলাম,, ভাবতেই আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে,, যে কিনা কোনদিন মানুষের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি,, সে আজ পাঁচ পাঁচ টা খুন করলো,,, আজ থেকে আমি খুনিদের খাতায় নাম লিখালাম,, আজ থেকেই আমি খুনি,, দরকার হলে আরো খুন করবো,,, তবুও অপরাধিদের বাঁচতে দিবো না,, তারপর আর না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম,, পরদিন ফোনের শব্দে ঘুম উদাও হয়ে গেল,, মোবাইল হাতে নিয়ে দেকি লামিয়া ফোন করেছে,, আমি--হ্যালো,, লামিয়া--তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো,, আমাদের নিয়ে যাবে না,,,আমরা সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি,, আমি---সরি সরি,,আমি ১০ মীনিট এর ভিতর আসতেছি,,, তারপর ফোন কেটে তাড়াতাড়ি উঠে চাবি নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম,, ওদের এখানে যেতে যেতে ১১ মিনিট লেগে গেল,,, আমি--সরি একটু দেরি হয়ে গেল,, লামিয়া--আজ না আসলেও পারতে,,, তারপর তারা তিন জন উঠে পড়লো,, টেক্সটিং চলতেছে আপন মনে,, নিলা---এই কিছু কি শুনেছিস,, সাইরা--না কি শুনবো,, নিলা--ঐ যে বখাটে আছে না,,নাম রতন নাকি কি,,,রাস্তা ঘাটে মানুষের থেকে ছিনতাই করে,, লামিয়া--হ্যা তো,, নিলা--ওদের কাল‌ রাতে কে জানি মেরে দিছে,,নির্মম ভাবে,, একজনের তো মাথা আলাদা করে দিছে,, পুলিশ অগ্যাতনামা খুনি কে খুঁজেছে,, ()আমি নিরব দর্শকের মতো শুনে যাচ্ছি,, নাহ ওদের জানতে দেওয়া যাবেনা,,() লামিয়া---যে করছে সে ভালো করছে,,এসব আবর্জনা এলাকায় না থাকাই ভালো,, সাইরা--হুম,,, নিলা--কিন্তু এত বড় সাহস কার হয়েছে যে,,, ওদের মতো ভয়ংকর লোকদের মেরে দিলো,,তাও কোন প্রমাণ ছাড়া,, লামিয়া--ওকে যদি একবার দেখতে পারতাম,, আমি---চলে এসেছি,,,,(গাড়ি ব্রেক মেরে,,) তারপর ওরা নেমে কলেজে ঢুকে পড়লো,, আমি--নাহ আমাকে আরো সতর্ক হতে হবে,,,(মনে‌ মনে) তারপর একটা চায়ের দোকান ঢুকলাম,নাস্তা করতে,,, কিন্তু এখানেও একি কথা,,, আমি চুপচাপ নাস্তা করে টাকা দিয়ে বেড়িয়ে গেলাম,, তারপর ১২ টা পর্যন্ত ভাড়া মেরে কলেজের সামনে চলে আসলাম,, ওদের নিয়ে যাওয়ার জন্য,, কিছুক্ষণ পর ওরা বের হলো,, তারপর ওদের নিয়ে জায়গা বরাবর নামিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম,, এভাবে আরো কয়েকদিন চলে গেল,, এখন পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়েছে,,,, এখন আমার নেক্সট টার্গেট আংকেলের খুনিদের আস্তানা বের করা,, খুঁজ শুরু করে দিলাম,, ৩ দিন পর রাতে ওদের পেয়ে গেলাম,, রাস্তায় মাতাল অবস্থায়,, তাই আমিও এই সুযোগে এদের মেরে দিলাম,, তারপর ওদের রক্ত আমার গায়ে মেখে বাঘের মতো গর্জন করতে লাগলাম,, আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম,,, +++আংকেল তুমি কি শুনতে পাচ্ছ,, আজ‌ তোমার খুনিদের আমি নিজ হাতে মারলাম,,দেখো ওদের ও তোমার কাছে পাঠিয়ে দিলাম,,,, আংকেল তুমি খুশি হয়েছো তো,, তারপর ওদের ও রাস্তার মাঝখানে শুইয়ে দিয়ে আমি চলে আসলাম বাসাই,,, গোসল করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম,, পরদিন একটা দোকানে নাস্তা করতেছি এমন সময়,, চোখ গেল টিভির দিকে,,, ((ব্রেকিং নিউজ---আবারো রাতের আঁধারে খুন,, তিন দিন পর আবারো একি স্টাইলে খুন,,কে এই খুনি,,,আর কেনই বা খুন‌ করছে,, পুলিশ তদন্ত করছে,, পরবর্তি সংবাদ জানতে চোখ রাখুন আই টিভির পর্দায় ()) আমি মনে মনে হাসতেছি,,, চুপচাপ খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম,,, ------------------- আজ আমি বড় ধরনের গ্যাং স্টার,,((অবশ্য এই পর্যন্ত আসতে আমার কত কিছুই না করতে হয়েছে,,বড় বড় সন্ত্রাস দের খতম করে ওদের সবকিছু দখল করে নিয়েছি,, এগুলো দিয়ে গরিবদের সেবা করি,,)) এখন একটা ভয়ের নাম হচ্ছে ইমরান,,বড় বড় নেতারা আজ আমার পায়ের নিচে,, আমি যেখানে যাই সেখানে সবার মধ্যে ভয় কাজ করে,,এখন আমার দলে ৫০ জন কাজ করে,,, এখন আর টেক্সি চালাই না,, আমার বাড়ি গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স কিছুর অভাব নাই,, লামিয়ারা ও জানে এ বিষয়ে,,,,তারাও আমাকে সাপোর্ট করে,, ওদের আনা নেওয়ার জন্য একটা ড্রায়বার দিছি,,, এই তো কিছুদিন আগের কথা লামিয়া দের কিছু ছেলে বিরক্ত করতো,, তাই আমি কলেজে গেলাম,, আমি--বল চুলের কে বিরক্ত করে,, লামিয়া-----এই বদমাইশ গুলো,,(কিছু ছেলে কে দেখিয়ে) আমি-----এই তুদের ঘরে মা বোন নেই,,, -----এই তুই কে রে,,,যা বাগ,,, আমি--আমি বাগবো না,,একটু পর তুরা বাগবি,, ---তূই কে যে তুকে দেখে আমরা বাগব, আমি---ইমরান‌ কে চিনিস,, ---হ্যা চিনিতো,,, একজন বড় মাফিয়া,, আমি---ভালো,,ও কি কি করতে পারে সেটা নিশ্চয় জানিস,, ----দিন দুপুরে মানুষ খুন করে,,,,,, আমি--তুরা ইমরান কে কখনো দিগেছিস,,? ---না,,ও সহযে কারো সামনে আসেনা,, আমি---এখন‌ যদি ইমরান চুলের সামনে আসে তাসলে তুরা কি করবি,, ----সেটা তুকে বলব কেন,,?তুই কে,,?বাগ শালা,, আমি---এই লামিয়া তুরা এদিকে আইতো, লামিয়া--হ্যা ভাইয়া বল,, ----আরে জানু,,এই ছেঁড়া টা তুমার ভাই নাকি,,আসো তোমার ভাইয়ের সামনে তুমাকে একটা পাপ্পি দাই,, আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল,, আমি ফোন করে আমার লোক দের আসতে বললাম,, কিছুক্ষণ পর ওরা ২০ জন মতো আসলো,, সবার হাতে একটা করে রাইফেল,, সমিক,,(আমার সব লোককে ও মেনটেইন করে)--স্যার বলুন কি করতে হবে,, আমি--এদের তুলে নিয়ে যাও,,আর ভালো করে আমার পরিচয় টা দিয়ে দিও,, ছেলেগুলো তো ভয়ে প্যান্ট নষ্ট করার অবস্থা,, আমার লোকেরা ওদের সবাইকে কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেল,,,, আমি--তুরা ক্লাসে যা,,আর কেউ কিছু বললে আমাকে জানাবি,, ---ধন্যবাদ ভাইয়া,,(একসাথে) আমি--আরে দূর,,ভাইকে ধন্যবাদ দিতে হয়না,, আমার বোনের দিকে কেউ চোখ তুলে থাকলে তাকে জ্যান্ত পুতে ফেলবো,, তারপর ওদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম,, আমার আস্তানায়,, এসে দেখি ওদের সবাইকে বেঁধে রাখা হয়েছে,, সমিক--এদের কি মেরে দিবো,,? আমি---কি তুদের ওপারে পাঠিয়ে দিবো নাকি,,? ----ভাই আমাদের ভুল হয়ে গেছে,,দয়া করে আমাদের মারবেন না,, আমি--ইমরান কে চিনেছিস তো এবার,, &---হ্যা হ্যা,,, আমাদের ভুল হয়ে গেছে,,আমরা আর কখনো কোন অন্যায় করবো না,, আমি-----এই ওদের বাঁধন খুলে দাও,, তারপর ওদের বাঁধন খুলে দিলো,,, আমি--সবাই এক সারি হয়ে দাঁড়া,, আমার কথা মতো সবাই দাঁড়ালো,, আমি--এখন শপথ কর,,যে কখনো কোন অন্যায় করবি না,, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দিবি না,,আর কোন মেয়েকে কখনো অসম্মান করবি না,,সবাইকে নিজের বোনের মতো দেখবি,, আমার কথা মতো শপথ নিলো,, আমি---যা এখন তুরা যাহ,, ---ধন্যবাদ,, আপনি আসলেই খুব ভালো মানুষ,, আমি----আরে শুন আমার পরিচয় যাতে কেউ না জানে,,তাহলে ঐ দিনি তুদের শেষ দিন,, ---না না আমাদের মনে থাকবে,, আমি--হুম যা এবার,, তারপর ছেলেগুলো চলে গেল,, বসে আছি এমন সময় সাইরার ফোন আসলো,, আমি--হ্যালো,, সাইরা--ভাইয়া তুমি কোথায়,, আমাদের নিতে আসবে না,, আমি--ওকে তুরা দাঁড়া আমি এক্ষুনি আসতেছি,, তারপর গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম,, কিছুক্ষণ পর ওদের এখানে চলে গেলাম,, তারপর ওরা গাড়িতে উঠলো,, লামিয়া--ভাইয়া ছেলেগুলো আমাদের কাছ থেকে মাফ চাইলো,, আমি----আরে জীবনেও বেয়াদবি করবে না,, সাইরা--ভাইয়া আজকে সবাই আমার বাসায় চল,, আমি--কেন,,? সাইরা--আম্মু তোমাকে দেখতে চাইছে,, আমি---ওওওও আচ্ছা,,আন্টিকে ভালো ভালো রান্না করতে বল,, তারপর সবাই সাইরার বাড়িতে গেলাম,, আন্টি আমাকে দেখে খুব খুশি,, তারপর খাওয়া দাওয়া করে বাসাই চলে আসলাম,, এসে সুয়ে পড়লাম,,, হঠাৎ------- Waiting for next,,, ভুল‌ ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,, ,,,,


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১১৭৩ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক
→ মন্ত্রীর ছেলে যখন টেক্সিচালক

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Omar
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    Donnobad

  • রাজকন্যা
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ভালো হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

  • SIAM The Deadman☠
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    n next part pleasegjgj

  • Mehedi Hasan Prova
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    এটা তো পুরো থ্রিল...... যদিও হালকা সিনেমাটিক। তবে খুব ভালো লাগলো।gj

  • Diamond Roy.[Dev]
    User ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    খুব ভালো চলবে The very nice story ভাইয়া চালিয়ে যাও।

  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ভাল লাগল।