বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

আজ বুশোর বিয়ে

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Sayyid (০ পয়েন্ট)

X স্নেহা বাড়ির উঠোনে খেলছে।এখন রাত এগারটার কাছাকাছি।পাশের রুমে মা শুয়ে আছেন,উনার শরীর খারাপ।ডায়াবেটিকস হুট করে তেরো থেকে বিশ হয়ে গেছে।ডাক্তার মনিরুজ্জামান ডায়াবেটিকস মাপার পর আমার দিকে তাকিয়ে এমনভাবে হাসলেন যেনো মা'র ডায়াবেটিকস বাড়ার পেছনে সব কৃতিত্ব আমার।ডাঃ মনিরুজ্জামানের হাসিকে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে আমি মা'র দিকে তাকিয়ে সামান্য হাসার চেষ্টা করলাম কারণ সন্ধ্যাবেলায়ই তিনি আমাকে দেখিয়ে জিলাপি খেয়েছেন।ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে বলি 'আরো খাও,বিশ তো আর বেশি নয়,স্বাভাবিকের চেয়ে বারো বেশি মাত্র।' মাটিতে বিছানা পেতে শুয়ে আছে মা।মাঝে মাঝেই গোঙানোর মতো শব্দ করছে। চাচি ছুটে এসেছেন।এসে হকচকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন। বাবা তোমার মা কই? পাশের ঘরে শুয়ে আছে। মার শরীর খারাপ আর তুমি এই ঘরে শুয়ে আছো? জ্বী! তিনি কিছু একটা বলতে যেয়ে আটকে গেলেন।নিজেকে সামলে নিয়ে সামান্য হাই তুলে আল্লাহ কে স্বরণ করলেন।অল্প সময়ের জন্য মনে হলো তিনি আমার উপর নারাজ।অবশ্য আমার এখন উনাকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করছেনা।পরে সময় করে ভাবা যাবে। আমার এই চাচির নাম পারভীন।খুব হাসিখুশি মানুষ।কয়েকমাস যাবৎ মা'র সবচেয়ে কাছের বান্ধবি।অমুকের কথা তমুকের কাছে কিংবা কারো সামালোচনায় তার কোন জুড়ি নেই।আমার প্রায়ই কোন এক অজ্ঞাত কারণে কেনো যেনো মনে হয় তারচেয়ে শুদ্ধতম নারী আর নেই।গুছিয়ে মিথ্যে বলতে পারাটাও একটা আর্ট।আমার মাঝে মাঝেই ইচ্ছে হয় উনার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলি Well done my girl! রোগা গলায় মা ডেকে উঠলেন,স্নেহা!এই স্নেহা! মা স্নেহাকে ডাকছেন।এই মুহুর্তে স্নেহা যাদের সাথে খেলছে তাদেরকে উনার পছন্দ না।উনি কিছুতেই চায়না ছোটচাচার মেয়ের সাথে স্নেহা খেলুক।এর পেছনে অবশ্য উনার অজস্র জোড়ালো যুক্তি আছে কিন্তু তবুও আমি এর ঘুর বিরোধী। স্নেহা ডাক শুনা সত্বেও জবাব না নিয়ে আবার ডাকার অপেক্ষা করছে।ছোট ছেলেমেয়েরা কোন পছন্দসই কাজে থাকলে মায়েরা ডাকলে প্রথমবার না শুনার ভান করে পরেরবারের জন্য অপেক্ষা করে। অল্প সময় পর মা চিৎকার করে উঠলেন। স্নেহা,এই কুত্তার বাচ্চা।ডাকতেছি কান দিয়ে যায় না? আসতেছিতো! এতক্ষনে আমার ঘরের দরজা থেকে স্নেহার মুখ দেখা যাচ্ছে।ওর যখন ভীষণ মন খারাপ হয় তখন ও ঠোট বাকা করে কাদে।মুখটা কালো হয়ে যায়। একদম।আজও ঠিক তেমনি হচ্ছে।মুখটা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগছে।এর অন্যতম কারণ হচ্ছে স্নেহা যখন কাদে তখন ওর মুখে একটা অন্যরকম ঘটনা ঘটে।ওর গালে টোল পড়ে।হাসলে শুধু এক গালে কিন্তু কাদলে দুটো গালেই টোল পড়ে,মনে হয় জগতের সব মায়া ওর মুখের উপর ভর করেছে।ঠিক এই কারণে আমি প্রায়ই ওকে ইচ্ছে করে কাদাই। স্নেহা আমার দিকে কাদো কাদো চোখে তাকিয়ে আছে।আমি জানি ও এখন কি চাচ্ছে।ও চাচ্ছে আমি যেনো ও'কে এখন খুব মায়া করে ডাক দিই।ওর চোখের ভেতরটা পানিতে টলটল করছে।যেকোন মুহুর্তে টুপ করে পড়বে একেকটা ফুটো। আয় এদিকে আয়। ও কোন উত্তর না দিয়েই চুপচাপ এসে আমার বুকের উপর শুয়ে পড়লো।ওর শরীর থেকে তীব্র ঘামের গন্ধ বের হচ্ছে।ঘেমে ওর চুল ভিজে গেছে।অসহ্য লাগছে কিন্তু আমি কিছু বললে ওর কান্না এখন থামানো যাবেনা।কাদানোর কোন ইচ্ছেও আমার নেই। আম্মুর উপর তোর অনেক রাগ হয়? হু! অনেক বেশি? না! তাহলে কি কম? না! মাঝামাঝি? হু! ভাইয়া,একটা কথা বলি? হ্যা বল!জিজ্ঞেস করার কি আছে? তোমার কি মনে হয় আম্মু আমায় ভালোবাসে? বাসবে না কেন? বলইনা! হ্যা!খুব মনে হয়। তাহলে আমায় এত গালি দেয় ক্যান?চিল্লাচিল্লি না করলে হয়না আমার সাথে? এই প্রশ্নের জবাব আপাতত আমার কাছে নেই।স্নেহা কাদছে।চোখের পানিতে বুক ভিজে যাচ্ছে আমার।ভীষণ অস্বস্তি লাগছে।ইচ্ছে করছে উঠে যাই।কিন্তু পারছি না।এই বোনটাকে আমি খুব ভালোবাসি।আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।মুহুর্তের ব্যবধানে আমার এখন খুব কান্না পাচ্ছে। স্নেহা,কান্না বন্ধ কর।আমার মোটেও ভালো লাগছেনা। স্নেহা নাক মুছতে মুছতে কাদতে কাদতেই বললো আচ্ছা আর কাদছিনা। পর্ব-১ চলবে..


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৩১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ আজ বুশোর বিয়ে
→ আজ বুশোর বিয়ে

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Sayyid
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    আগেই পড়েছেন কোথায়?এটাতো আমার লেখা।আর এখানেই কেবল পোস্ট করা হয়েছে!

  • SHUVO SUTRADHAR
    Golpobuzz ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    এটি আমি আগেও পরেছি এখন পড়েও ভাল লাগল। অসাধারণ উপন্যাস।

  • Rubaiya Islam
    User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    ভালো লাগলgj