বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
অমীমাংসিত তদন্ত
"রহস্য" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Nira anam (০ পয়েন্ট)
X
- +
অপরাধী যত দক্ষই হোক, অগোচরে তার অপরাধের
কিছু না কিছু প্রমাণ সে রেখে যাবেই। এই প্রমাণ খুঁজে
বের করাই তদন্তকারীদের কাজ। পৃথিবীতে অসংখ্য
রহস্যজনক কেস আছে যেগুলো এখনো রয়ে
গেছে অমীমাংসিত। আলোচিত এমন কয়েকটি কেস
নিয়ে লিখেছেন পরাগ মাঝি
জোডিয়াক কিলার
পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে একের পর এক হত্যাকা-
ঘটিয়ে যাচ্ছিল গত শতাব্দীর আলোচিত খুনি জোডিয়াক
কিলার নামে এক রহস্য মানব।
বিগত ৫০ বছরেও তার পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে ১৭ বছর বয়সী ডেভিড
ফ্যারাডে ও তার ১৬ বছর বয়সী প্রেমিকা বেটি লু
জেনসেনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয় ক্যালিফোর্নিয়ার
ভ্যালেজো শহরের লেক হারম্যানের পাশে নিরিবিলি
একটি জায়গা থেকে। ওই ঘটনার সাত মাস পর ডারলিন ফেরিন
নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণী ও তার ১৯ বছর বয়সের
প্রেমিক মাইক ভ্যালেজো শহরের আরেকটি নিরিবিলি
জায়গায় গাড়িতে বসে গল্প করার সময় ফ্লাশলাইট হাতে
তাদের দিকে এগিয়ে আসে এক ব্যক্তি এবং গুলি
ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ডারলিন। গুরুতর আহত হয়
মাইক। ওই ঘটনাগুলোর রহস্য উন্মোচনে ব্যর্থ হয়
পুলিশ।
১৯৬৯-এর আগস্ট মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার তিনটি নামকরা
পত্রিকায় একই রকম হাতের লেখায় তিনটি চিঠি পাঠায় এক
অজ্ঞাত ব্যক্তি। চিঠিতে ব্যক্তিটি লিখেন, ‘লেক হারম্যানে
দুই কিশোর-কিশোরীকে আমিই খুন করেছি। ’
চিঠিগুলোতে খুনের বিবরণ এমনভাবে দেওয়া হয়, যা
একমাত্র খুনির পক্ষেই দেওয়া সম্ভব।
প্রতিটি চিঠির শেষে ছিল বৃত্তের মধ্যে আঁকা একটি
ক্রসচিহ্নের প্রতীক। সঙ্গে ছিল সাংকেতিক ভাষায় লেখা
একটি নকশা। এই চিঠি নিয়ে অনেক তদন্ত হলেও ফলাফল
ছিল শূন্য। কিছুদিন পর একটি পত্রিকা অফিসে আবারও চিঠি
আসে যেখানে তার পরিচয় উদ্ধার ও সংকেত ভাঙায়
পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে বিদ্রƒপ করেন ওই ব্যক্তি। তবে
কয়েকদিনের মধ্যেই সংকেতটি ভাঙতে সক্ষম হন
ডোনাল্ড হারডেন নামে এক শিক্ষক ও তার স্ত্রী।
সংকেতের শুরুতে লেখা ছিল, ‘আমি মানুষ খুন করতে
পছন্দ করি। কারণ এতে খুব মজা। ’ কিন্তু সংকেত ভাঙার পরও
হত্যাকারী ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। শুধু তাই নয়, একের
পর এক হত্যাকা- ঘটেই যাচ্ছিল এবং চিঠির মাধ্যমে এগুলোর
দায় স্বীকার করে নানা তথ্যপ্রমাণও পাঠাচ্ছিলেন অজ্ঞাত
ব্যক্তিটি।
একটি খুনের ঘটনাস্থল থেকে তাকে পালিয়ে যেতে
দেখেছিল কয়েকজন সাধারণ মানুষ। তাদের দেওয়া বর্ণনা
থেকে খুনির একটি স্কেচ আঁকতে সক্ষম হয় পুলিশ। এই
স্কেচ থেকেও খুনিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তারা।
১৯৭৪ সালে হত্যাকান্ড ও তার দায় স্বীকার করে নিয়মিত চিঠি
প্রেরণ হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে, পুলিশের
তদন্ত চলতেই থাকে। দ্য জোডিয়াক কিলার
ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ৩৭ জনকে হত্যা করেন। রহস্যময়
ওই খুনির প্রকৃত পরিচয় উদ্ধারের জন্য অসংখ্য তদন্ত
চললেও এখন পর্যন্ত তা অমীমাংসিত।
সংগৃহিত
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
SIAM The Deadman
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেRoshni hima
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বে