বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্পঃ-ডিয়ার শাশুড়ি মা
পর্বঃ-৫
লেখাঃ-সানিয়াত আহম্মেদ
শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার জন্য গল্পটি দিতে একটু দেরি হয়ে গেলো দুঃখিত।
ইমতি গাড়ির দেখে সামনে এলো৷ ইমতির সাদা শার্টে চায়ের দাগ। সাদা শার্ট তাই নজর শার্টের দিকে। ইরা চোখ বাঁকিয়ে বললো,
- তুই কি তাঁরছেঁড়া নাকি..
অদ্রি বললো,
- তারই নেই হয়তো আপু।
অদ্রির কথা দুজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি অদ্রির দিকে। ইমতি চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বললো,
- নিন। চার চামচ চিনি।
ইরা আবারো বললো,
- তোর ব্লেজার কই! তার উপর শার্টে কিসের দাগ। তুই জানিস আমার শ্বাশুড়িরা আসছে। আমার ননদের হ্যাজবেন্ড আসবে। তাছাড়া তোর কলিগ গুলো! তাও তুই এইভাবে আছিস।
- আমায় বকবি না, তোর ছেলে দুটো যে বিচ্ছু। বিচ্ছু খাবো বিচ্ছু খাবো বলেই যাচ্ছে, পরে চা খাওয়াচ্ছি। খেতে গিয়ে উপরে ফেলে দিলো। তুই চা খাবি, আজ চা ওয়ালার চা পুরোটা খরচ আমি দেবো পাঁচ হাজার টাকার কন্ড্রাক্ট। যত মন চায় খা।
- প্রিনয় চা খাচ্ছে!! কয় কাপ খেয়েছে।
- পাঁচ ছয় কাপ তো ভালোভাবে।
ইরা গাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে নামলো। প্রচুর রেগে আছে সে। প্রিনয় এর খোঁজ দিতে ইমতি উপরের দিকে দেখালো। প্রিনয় উপরে আছে। ইরা কয়েক পা গিয়ে ফিরে এসে বললো,
- আমি বরণ ডালা নিয়ে আসবো। কয়েকজন ওড়না ধরবে। তোরা হেটে আসবি পুরোটা। মনে আছে তো যেভাবে হাটা শিখিয়েছি। নতুন বউ, তোমায় বলছি।
অদ্রি হেসে বললো,
- আপু আরেক কাপ চা দিতে বলবে, তাহলে আমি ঐভাবে হাটবো।
ইরা বললো,
- মানে কি, তোমাদের জীবনের সুন্দর মুহুর্ত আমি সাজিয়ে দিচ্ছি। কত ভিডিও দেখে ভেবেছি আমি জানো?
- সুন্দর মুহুর্ত সাজানোর জন্যে এইগুলো নয়, এইগুলো তো ছবি। কিন্তু ভাবুন না যদি খাবারের সাথে এক কাপ করে চা খেয়ে এইভাবে সবাই খায় সবাই মনে রাখবে।
ইরা হাতের সানগ্লাস ইমতির দিকে ছুঁড়ে বললো,
- যা মন চায় কর।
ইমতি বললো,
- চায়ের সাথে বিস্কুট পাঠাবো?
অদ্রি হেসে বললো,
- নাহ থাক।
- জলদি শেষ করুন। আপনার বোন বিশ বার ফোন করে ফেলেছে আমায়।
- করুক গা, আমি যাবোনা।
- কেন?
- বিয়ে দিলে কেন! দরকার ছিলো কি?
- বাদ দিন। চা খান।
- আপনি এত চা খাওয়াতে চাচ্ছেন কেন বলুন তো? কাল ঘুমিয়েছি, আজ যাতে ঘুম না আসে, তাই!
ইমতি গলা শুকিয়ে এলো কথাটায়। অদ্রির চোখের দিক থেকে সরিয়ে জমকালো বাতির গুলোর দিকে তাকালো। অদ্রি বললো,
- কি হলো বলুন।
- না, ভাবলাম চা ভালোবাসেন।
- তো? বিড়ালের ছানা এনে দিয়েছেন এরপর চা খাওয়াচ্ছেন এর মানে এই না যে আপনাকে আমি ভালোবাসি।
- কেন বাসেন না।
- আপনি কি ভালোবাসতে বলছেন?
ইমতি মাথা নিচু করে দাঁড়ালো। অদ্রি সহজ কথার এতো কঠিন মানে কিভাবে খুঁজে বের করে! অদ্রি হেসে বললো।
- শুনুন তিন বার কবুল বললেই হয় না। একটু পাগলামি করতে হয়। নাহয় বাচ্চাদের কি গল্প শোনাবেন, এরেঞ্জ ম্যারেজ ছিলো, কথাই বলি নি, কথা কি অদ্রি দিকে তাকায়নিই। আপনি না কাল আমার বাবার হাত ধরে বললেন আমি সব দায়িত্ব নিলাম। তো দায়িত্ব ভালোবাসা এক নাকি। আমার কথা শুনেছেন একটাও? বলুন, জিজ্ঞেস করেছেন!
- আপনি বলুন, কি চান?
- যা চাই দিতে পারবেন না।
- বলে দেখুন।
- সিউর?
- হু!
- হ্যাঁ।
- চলেন পালিয়ে যাই।
- কোথায়?
- সারা জীবন তো আপনাকে নিয়ে সংসার করা লাগবো, কিন্তু রোজ আমি তানা দেবো, গাড়িতে বসে ছিলাম, গাড়িতে চাবি আছে৷ আর আমার ছোট্ট একটা ইচ্ছে৷ একটু পালিয়ে যাবো৷ আর আপনি নিলেন না৷
ইমতি অদ্রির চোখের দিকে তাকালো অদ্রি মজা করার ছলে নয়। ইমতি জমকালো বাড়ির দিকে তাকালো। ভেতরে গান উচ্চ স্বরে বাজছে, অদ্রি গাড়িতে বসে চায়ে চমুক দিলো। ইমতি চিন্তিত। চারপাশে তাকাচ্ছে, কিংকর্তব্যবিমুঢ় কাকে বলে ইমতিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে।
#চলবে
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now