বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
#তোমার_ডায়রির_ভাঁজের_ধুলা
#পর্ব_০২
#WriteraYeD CHy
দূর্জয়ের মনে আছে সেদিন দূর্জয় দিপ্তি থেকে তার মোবাইলটা নিয়ে চেক করতে তার মোবাইলটা আস্তে করে তার থেকে চুরি করে নিলো
আজে বাজে ফটো ঘেরা পুরো গ্যালারি।তাই কনটেক লিস্টে গেল।যেখানে নিজের নাম্বার ডার্লিং নামে সেভ করা দেখে দূর্জয় আনমনে হেসে উঠলো।
দিপ্তি দূর্জয়ের হাতে ফোন দেখে চমকে দৌড় দিল ফোনটা বাচাতে।মুখটা এমন ভাব করে বলল তুই আমার ফোন নিয়ে করছিস খবরদার তুই যদি আমার ফোন ধরছ।
-কেন তোর জামাইয়ের ফটো আছে?
-থাকলেও তোকে দেখাবো না!
-তাই বুঝি!
-হুমম!
-তাহলে তুই মর তোর জামাইয়ের সাথে আমার রান্না করতে হবে।
দূর্জয় আবার ফ্লেশ বেক ফিরে এল।আবার পড়া শুরু করলো।
"তুমি দেখেছো কিনা জানি না! মন থেকে তুমার নামটা মনে সেভ করেছিলাম।তুমি যাওয়ার পর অনেক হেসেছিলাম"
দূর্জয় পরের পৃষ্ঠা উল্টালো একটা ব্রেশলেট দূর্জয়ের মনে পড়লো এটা তার সে ব্রেশলেট যেটা হারিয়ে গিয়েছিলাম তার মনে পড়লো দূর্জয় দিপ্তি পাশে বসে মোবাইল টিপছিল তখন তার নজর গেল মায়ের দেওয়া ব্রেশলেট তার হাতে নেই অনেক খুজেও পাইনি মানে দিপ্তিই চুরি করেছিল।
দূর্জয় ব্রেশলট হাতে মোটে রেখে ডায়রিটা আবার পড়া শুরু করলো।পরের পৃষ্ঠা উল্টালো দূর্জয়।
"ব্রেচলেটটা পুরো রাত হাতে নিয়ে দেখে ছিলাম।আর তুই হারামিকে মেসেজ আর কলও করেছিলাম।
সেদিন প্রচুর বৃষ্টি দূর্জয়ের মায়ের সেদিন প্রচুর খারাপ ছিল তাই দূর্জয় তার মা কে দেখতে গেছিল।মোবাইলের চার্জ ছিল না আর কারেন্ট ও কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল কিন্তু দূর্জয় পরের দিন দিপ্তিকে বলছিল।
পরের পৃষ্ঠা উল্টালো" হুমম পরেরদিন ঠিক তুই আমাকে সব বলছিলি কিন্তু তোকে ঘরে দাওয়াত দিতে চেয়েছিলাম নিজের হাতে রান্না করেছিলাম কিন্তু তোর মায়ের কথা শুনে কিছু বলিনি।
দূর্জয় ভাবছে তো দিপ্তি আমাকে বললেই পারতি আমি কামোকা এত রাগ করলো কেন?
দূর্জয় ভাবলো পরেরদিন দিপ্তি খাবার নিয়ে তার মাকে দেখতে গিয়েছিল।
-কিরে তুই এখানে?
-হুমম মাকে দেখতে আসছিলাম!
-তো তুই জানলি কেমনে আমার মায়ের এড্রেশ?
-তোর বন্ধু কে পিটায়ে সব কথা বের করছি!
-কে?রিদয়???
-হুমম!হারামজাদাটাকে একটু মাইর দিলে আমার সব খবর বের করে দিবে!
-আচ্ছা আমি খাবার আনছি আন্টির জন্য তুমিও খেতে পারো!
-হুমম অনেক ক্ষিধা পেয়েছে!
"সেদিন তোকো খাওয়ানোর জন্য গিয়েছিলাম।রাত ১২টা পর্যন্ত আম্মুকে দিয়ে রান্না করেছিলাম।অনেক খুশি হয়েছিলাম।যখন বলেছিলি রান্না অনেক ভালো হয়ছিল তখন রান্না শিখার জন্য ক্লাসও করেছিলাম।
দূর্জয়ের মনে পড়লো তার রান্না করা প্রথম জিনিস দূর্জয়কে খেতে হয়েছিল কি জাল!!তবুও সহ্য করে খেয়েছিল পরের দিন তার অসুস্হ হয়ে পড়েছিল।
" তো তুই পারিসনি কেন? যে খাবার জাল হয়েছিল হারামজাদা তুই নিজে বলিসনি আবাট আমাকেও দোষ দিয়েছিলি।"
তোর প্রথম রান্না খারাপ কিছু বললে তোর কনফিডেন্স কমে যাবে বলিনি!ভালো করলেও দোষ।
দূর্জয় হাসতে হাসতে কথাটা ভাবছে!!!
পরের পৃষ্ঠা উল্টালো একটা ফটো!!!!ঠিক করে বুঝা যাচ্ছে না।দূর্জয় মনে করার চেষ্টা করলো।
দূর্জয়ের মনে পড়লো দিপ্তি তার ঘুমে ফটো নিয়েছিল।সেদিন দূর্জয়ের অনেক খারাপ ফিল করছিল তাই দিপ্তির রুমেই রেস্ট নিচ্ছিল।
"হুমম সেদিন তোর এ কিউট ফটোটা পেয়েছিলাম।তাই সেটা অনেক কফি বানিয়ে রেখেছি"
পরের পৃষ্ঠা খুলতে লাগলো......
চলবে,,,,,,
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now