বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হাসতে হাসতে জান্নাতে পৌঁছাবে যে আমল

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান K.M.Tafsirul Islam Rakib (০ পয়েন্ট)

X রহমতের দ্বিতীয় দিনে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে রহমতপ্রাপ্তির গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনা করব। সব মুসলমানের ধ্যান-জ্ঞান একটা-ই হওয়া উচিত-আল্লাহকে পাওয়া। তাকে পেতে হলে ওঠতে-বসতে, নিদ্রায়-জাগরণে, সকাল-সন্ধ্যা, দিন-রাতে, ঘরে-বাইরে একমনে একধ্যানে পরম ভালোবাসায় দয়ালু মাওলাকে ডাকা উচিত। আর আল্লাহকে ডাকার নাম-ই হচ্ছে জিকির। কেন জিকির করব? কারণ জিকির মনের শান্তি ও আত্মার তৃপ্তি। মহান আল্লাহ বলছেন, যারা মুমিন (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী) তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; আর জেনে রেখ– আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায় [সুরা রা’দ, আয়াত নং ২৮] এ আয়াত থেকে কী বুঝলাম? মুমিন মুসলমানের যদি আত্মার প্রশান্তি দরকার হয়, তা হলে নিরিবিলি পরিবেশে চুপচাপ এক মনে আল্লাহর জিকির করতে হবে। আচ্ছা! অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, আমি তো নামমাত্র মুসলমান, আমাকে কি আল্লাহ স্মরণ করবেন? অবশ্যই, তোমাকে আল্লাহ স্মরণ করবেন। শর্ত হলো– তুমিও আল্লাহকে স্মরণ করবে। কথাটি আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলেছেন। আল্লাহপাক বলেন, সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ (জিকির) কর, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়োনা [সুরা বাক্বারা, আয়াত নং ১৫২] জিকিরের উপকারিতা ১. জিকিরের ফজিলত সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করে আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো। {বোখারি শরিফ, হাদিস নং ৬০৪৪} ২. রাসুলে আরাবি (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ'লা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’ বলবে, সে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব লাভ করবে, তার নামে ১০০টি সওয়াব লেখা হবে ও তার আমলনামা হতে ১০০ গুনাহ মুছে ফেলা হবে। আর সে সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকবে। কেয়ামতের দিন কেউ তার থেকে ভালো আমল আনতে পারবে না, একমাত্র সেই ব্যক্তি ব্যতীত যে তার থেকে বেশি নেক আমল করেছে {বোখারি শরিফ, হাদিস নং ৬০৪০} আল্লাহর জিকিরে কী লাভ কোরআন ও হাদিসের আলোকে তা যখন জানলেন, তখন চুপচাপ বসে থাকার সুযোগ আছে? সিদ্ধান্ত আপনার, আমলনামাও আপনার। যেমন কর্ম তেমন ফল। জিকিরের মাধ্যমে যদি আল্লাহকে পাওয়া যায়, তখন আর কবর, হাশর, পুলসিরাতের ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হবে না ইনশাআল্লাহ। হাসতে হাসতে জান্নাত। আবার রমজানের মতো বোনাসের মাস! নির্বোধ ছাড়া এ সুযোগ কেউ হাতছাড়া করবে বলে মনে হয় না। মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন, ইবাদাত, জিকির, তিলাওয়াত, দোয়া, তওবা, ইস্তেগফার, কান্নাকাটিতে রাঙিয়ে তুলুন আপনার মূল্যবান সময়। মনে রাখতে হবে, বেশি বেশি জিকিরের একমাত্র প্রতিধান হলো হাসতে হাসতে জান্নাত


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬১৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • কোথাও কেউ নেই [মফিজুল]
    Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    wow জেনে অনেক ভালো লাগল gj

  • Tanjin Akter Tasmiha
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    very nice

  • K.M.Tafsirul Islam Rakib
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    পড়ার জন্য আপনাকে ও ধন্যবাদ

  • MeLiSA
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ । পোস্টটি ভালো লাগলো লাগলো খুব। gj

  • MeLiSA
    User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বে
    ধন্যবাদ । পোস্টটি ভালে লাগলো লাগলো খুব। gj