বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
এক্সাম শেষ হলো।।লম্বা ছুটি তাই চাচ্চুর বাসায় গেলাম বেড়াতে।।আমার চাচাতো বোন ওয়ানে পড়ে।।ও আবার আমার খুব ভক্ত।।এমনি তেও বাচ্চারা আমার খুব ভক্ত হয়।।সারাদিন শুধু বুবু।চব্বিশ ঘন্টা আমার সাথে থাকবে।। খাবে আমার সাথে,ঘুমাবে আমার সাথে,,গোসল করবে আমার সাথে।।।এখন ওর আবদার হলো ওর সঙ্গে আমাকেও ওর স্কুলে যেতে হবে না হলে সে স্কুলে যাবেনা।।তাই বাধ্য হয়ে ওকে নিয়ে স্কুলে গেলাম।।।সাবা(আমার কাজিন) সবাইকে বলতে লাগলো দেখো আমার বুবু এসেছে।।।বাচ্চাগুলো আমাকে দেখে ভিষন খুশি।।নানা প্রশ্ন করতে লাগলো।।। ।ওকে ক্লাসে দিয়ে বাইরে গিয়ে দাড়ালাম।। আমার বাচ্চাদের খুব ভালো লাগে।। আমি বাচ্চাদেরকে খুব আদর করি।।আবার রাগাতেও খুব ভালো লাগে।। আরেকটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হলো ছোট বাচ্চাদের প্যান্ট খুলে দিয়ে দৌড় দেয়া।(প্লিজ কেউ খারাপ ভাবে নেবেন না) ।।কারন এটায় বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি রেগে যায়।।।আসলে এটা আমার আপুর অভ্যাস।।সেখান থেকে আমার যদিও এখন আর নেই।।।জীবনে এই কাজ করে আমি আর আপু যে কত বাচ্চাদের দৌড়ানি খেয়েছি তার হিসেব নেই।।।কত মজার মজার ঘটনা যে আছে সেগুলো মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।।। হা হা হা।। যাইহোক কি কিউট কিউট বাবুরা মাঠে দৌড়াদৌড়ি করছে।।যেহেতু কেজি স্কুল তাই সব ছোট ছোট বাবুরা।।
হঠাত দেখি একটা ছেলে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে।। বাচ্চাটা খুব কিউট।।ফর্সা,, চেহারাটা খুব সুন্দর একেবারে গুলুমুলু।।।আমি বাবুটার কাছে গেলাম,,,,,,
-এইযে কিউট পিচ্চি মন খারাপ করে আছো কেন???কি নাম তোমার??? (গাল দুটো টেনে দিয়ে)
-আরিয়ান!!
-খুব সুন্দর নাম।।তোমার মন খারাপ কেন??? নিশ্চই আম্মু বকেছে তাইনা?? ওসব কিছু না আম্মুরা এমন একটু আধটু বকেই।।
-ধুর আপু।। আপনি কিসসু জানেন না।।
- কি জানিনা আমি???
- আমাল আম্মু আমাতে বকেনি,,
- তাহলে???
-নিতুল সাতে আমাল ঝগলা হয়েছে।।
-নিতু কে?? বড় বোন???
- না।। নিতু আমাল গালফেন্দ।।
শুনে আমি ৪৪০ ভোল্টের একটা শক খেলাম!!! এই ছেলে বলে কি!!! যে ছেলে ঠিক মত কথা বলতে পারেনা সে নাকি রিলেশন করে।।। তার নাকি আবার গার্লফ্রেন্ড আছে।।আবার ঝগড়াও হয়েছে।।কি বলব আমি???
-বাবু তুমি কোন ক্লাসে পড়??
-নার্সারিতে।।
আমি আর কিছু বললাম না।।চলে এলাম।।
সাবার ছুটি হওয়ার পর ওকে নিয়ে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি।।কিন্তু রিকশার কোন নাম গন্ধ নেই।।তাই আস্তে আস্তে হাটতে লাগলাম।।সামনেই দেখলাম দুটো পিচ্চি একসাথে বাড়ি যাচ্ছে।।দূরে না হওয়ায় ওদের কথাবার্তা আমার কানে আসছে।।
-আয়ান প্লিজ তুমি রাগ করোনা!!(মেয়েটা)
-কেন রাগ করবো না শুনি??তুমি আমার চিঠির উত্তর দিলেনা কেন???জানো কত কস্ট করে রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে লিখেছি তোমার জন্য??(ছেলেটা)
-সলি জান।,আমি অনেকবার লিখতে গিয়েছিলাম কিন্তু পারিনি আম্মু এসে গিয়েছিলো তাই।।।
ব্যাস এটুকু শোনার পর আর ইচ্ছে হয়নি শোনার।।ওদের বয়সে আমি পুতুল খেলতাম।সন্ধার আগেই ঘুমিয়ে পরতাম আর এরা রাত জেগে চিঠি লিখছে!!!জীবনের এত বছর পার হল একটা প্রেম ধরা দিলনা কপালে আর এরা????
সাবাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ওরা ওয়ানে পড়ে।।আরো খবর নিয়ে জানলাম ও আরিয়ানের বড় ভাই।।এবার বুঝতে পারলাম আরিয়ানের এই পরিনতির কারন।এই বয়সে আয়ানই প্রেম করে তো বেচারা আরিয়ানের কি দোষ!!!!!!!
পরদিন দেখলাম আরিয়ান বাবু খুব খুশি।।
- কি ব্যাপার বাবু মন আজ এত খুশি কেন??
-হুম আপু আমি নিতুল সাথে বেকাপ কলে দিছি।।
ওর কথা শুনে আবারও টাস্কি খেলাম।।ব্রেকাপও নাকি করে ফেলেছে।।খোদা!!!তবে বাচ্চাটা প্রচুর কিউট।।।
এরপর আর যাইনি স্কুলে।।। আরিয়ানদের বাসা চাচ্চুর বাসার পাশেই।।।আমি এসেছি শুনে অন্য কাজিনরা সবাই এসেছে চাচ্চুর বাসায়।বিকেলে সবাই মিলে ঘুরতে বেড়িয়েছি।।।হঠাত আমার পায়ে কাটা ঢুকে যায়।।সবাই কথা বলতে বলতে অনেকদূর চলে গেছে।।আমি রাস্তায় বসে কাটা খুলার চেশটা করছি।।এর মধ্যে হিটলার ভাইয়া (আমার কাজিন আর নামটা আমার দেয়া) এসে দেখে আমি রাস্তায় বসে আছি।।
-এই জন্যই মেয়ে মানুষ নিয়ে কোথাও যেতে নেই।।।মেয়ে মানেই ঝামেলা।।এখানে বসে আছিস কেন???রাস্তা কি তোর শশুরের???আর ওরা তোর মত পেত্নির জন্য আমার মত নিরিহ ছেলেকে পাঠালো।।
- তুই নিরিহ আর রাস্তা আমার শশুরের তোর সমস্যা???এখন কি তোর ক্যাটক্যাট শেষ হয়েছে????(আমি)
-না হয়নি।।এখন কি শশুরের রাস্তায় বসে শশুর বাড়ির স্বপ্ন দেখছিস??
-এম্নিতে বসে রইনি পায়ে কাটা ঢুকেছে।।
- সেটা এতক্ষনে বলছিস।।এতক্ষন হাব্লার মত বসে ছিলি কেন??
- বলার সুযোগ দিয়েছিস তুই,,,, এখন যা আগলা দরদ দেখাতে আসবিনা আমি পারব,।।।।
-ওলে বাবা সে নাকি পারবে।।।।চিত হয়ে বসে আছে সে নাকি কাটা বের করবে কি ভাব!!হুহ!!
তারপর ভাইয়া আস্তে কাটা বের করে দিচ্ছে।।।
-রাস্তায় হাটার সময় কি নাতি নাতনির কথা ভাবিস???চোখ কই থাকে???(হিটলার)
-হুম ভাবি নাতি নাতনি তো আমার তোর না!!!!
- হয়েছে এবার চল।।।।
হঠাত দেখি আরিয়ান রাস্তার পাশে কাদো কাদো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।।।আমি ভাইয়ার ভয়ে তাড়াতাড়ি হাটতে লাগ্লাম।।
রাতে,,,,,,
সবাই মিলে বসে আছি।।আমি আচার খাচ্ছি আর জিহাদ ভাইয়ার ফোন গুতাচ্ছি।।।রিয়াদ ভাইয়া বসে বসে কি যেন ভাবছে।।।এর মধ্যে ভাইয়া এসে বলছে, ,, ,,,,,,
-উফফফফ দাত ব্যাথা করছে।।।
-কেন কি হয়েছে???(আমি)
-তোর জন্য।।
- আমার জন্য????
- হুম তোর জন্য লাভ লেটার এসেছে।।সেটা নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে দাত ব্যাথা হয়ে গেছে।।তাই তোর কাছে এসেছি।।
- কে দিয়েছে??আর তুই তার মুখে না ছুড়ে বলদের মত আমার কাছে এনেছিস কেন???
- এটা সাধারন লাভ লেটার না তাই নিয়ে এসেছি।।।এটা আরিয়ান দিয়েছে আমাকে।।(ভাইয়া)
- আচ্ছা পড়ে শুনা।।।(মোবাইলের দিকে তাকিয়েই)
- না বাপু একবার পড়তে গিয়ে আমার দাত শেষ,,,পরে তোর চিঠি পড়তে গিয়ে শশুরবাড়ি গিয়এ রান চাবাতে পারবনা।।তখন কি হবে???/, আমি পারবনা।।।
জিহাদ ভাইয়া বলল,,,,, আচ্ছা আমি পড়ছি,,,,
ভাইয়া পড়া শুরু করল,,,,,,
-পিয় আপু,,
আমি আপনাতে অনেক বালোবাছি।।পতম যেদিন আপনি আমাকে বাবু দেকেছিলেন তখন থেকেই।।।আমাল মাম্মাম বলেতে যাদেল গালে তোল পলে তারা অনেক কিউত হয় তাহলে আপনি কিউত তাই আপ্নাকেও বালোবেছে ফেলেতি।।কিন্তু নিতুল মত আপ্নিও আমাতে ছেলে চলে গেতেন।।।।আর স্কুলে আসেন নি কেন???
আপনাল জন্য একতা গান গাইতে কুব ইচ্চা করছে,,,,
আপু ও আপু আপনি অপলাদি লে,,,
আমাল যত্নে গলা বালোবাছা দেন ফিলায়া দেন।।।।।
চিঠিটা ভাইয়া পড়ছে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে দাত আমার গুলা ভেংগে যাচ্ছে আমার দাতে ব্যাথা করছে কেন???এবার মনে হয় বড় হার্টএটাক হবে,, ,, চারপাশ ঘুরছে।।।।ভাইয়া আপুরা হুহা হেসে কি যেন বলছে কিন্তু আমার কানে পৌছাচ্ছে না।।।।আমি ধপাস করে পরে গেলাম।।সবাই আমাকে বাতাস করছে।।।।।।।।।।
♦Happy Reading ♦
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now