বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
{শার্লক হোমস}
মাপা পায়ের আওয়াজ শুনলাম সিঁড়িতে। খানিক বাদেই দীর্ঘদেহী ধূসর গোঁফঅলা এক লোক উদয় হলেন দরজায়।লোকটার চেহারায়
বিস্তর অভিজ্ঞতার ছাপ। ভারি চোখ মুখ আর
জাঁকালো আচরনে ফুটে উঠে ছে তার জীবনের
ইতিহাস। গোড়ালি ঢাকা কাপড় থেকে সোনালি ফ্রেমের চশমা- সবই বলে দিচ্ছে
ভদ্রলোক রক্ষনশীল গির্জা ভক্ত সৎ নাগরিক
গোড়া এবং কাটায় কাটায় নিয়ম মেনে চলা
মানুষ। কিন্তু অস্বাভাবিক কোনো অভিজ্ঞতার ফলে বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ভদ্রলোকের
চুল উস্কখুস্ক যুগপৎ রাগ ও উত্তেজনা ফুটে ওঠেছে অরক্তিম চেহারায়। ঘরে ঢুকেই সরাসরি কাজের কথা পাড়লেন।
"মি. হোমস জীবনে এমন অদ্ভুত ও অপ্রিতিকর অভীজ্ঞতা হয়নি আমার। এরকম পরিস্তিতি তেও পরিনি কখনো। ব্যাপার টা ভীষন অন্যায় ও বিচ্ছিরি। ব্যাপার টার ব্যাখ্য
আমার চাই।" কথা শেষ করে রাগে গোখরা
সাপের মত ফুসতে লাগলেন ভদ্রলোক।
হোমস শান্তনার স্বরে বলল "আগে আপনি শান্ত
হয়ে বসুন মি. একলস। তার পর বলুন প্রথমেই আমার কাছে এলেন কেন"।
" দেখুন মশাই আমার বিশ্বাস এই তেলটা পুলিসের লাইনের নয়। পুরোটা শুনলে আপনি
ও আমার সাথে একমত হবেন যে ব্যাপার টাকে চুপ চাপ ছেড়ে দেওয়া যায় না।"
"আচ্ছা। এবার বলুনতো ঘটনাটি কী।"
কিন্তু ভদ্রলোক কাহিনি শুরু করবার আগেই
হই হট্টগোল শোনাগেল বাইরে। পরক্ষনেই
ঝটকা মেরে খুলে গেল দরজা। ঝড়ের বেগে
ঘরে ঢুকলো দুজন সরকারী লোক। এদের একজন আমাদের অতি পরিচিত- স্কটল্যান্ড
ইয়ার্ড এর ইন্সপেক্টর গ্রেগসন। কর্মমর্দন সেরে
সহকর্মীর সজ্ঞে পরিচয় করিয়ে দিল। লোকটা
সারে কনস্টেবল বাহিনীর ইন্সপেক্টর বেইনয
গ্রেগসনের বুলডগ সদৃশ চোখ চলে গেল
আমাদের অতিথীর দিকে।
" আপনিই কী পপহ্যম হাউসের মি. জন একলস?"
"হ্যা আমিই "
"সারাটা সকাল আপনাকে খুঁজে বেরিয়েছি আমরা। "
"টেলিগ্রাম এর সুত্র ধরে খুঁজে পেয়েছ নিশ্চই?" বলল হোমস।
বাকিটা ৩ পর্বে ....................
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now