বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

তার স্পর্শ পর্ব-১

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান say£d (০ পয়েন্ট)

X প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে বের হয়েছিলাম আম্মুকে যে বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি।আম্মু বারবার বারণ করেছিল বাতাস দিচ্ছে না যেতে কিন্তু পড়া আছে তাই ইমারজেন্সি গেলাম। গেলাম ঠিকই আন্টি আমারে জোর করে বসিয়ে খাইয়ে দিল।আমিও এত ভালো করে বলল যে নাইই করতে পারলাম না।কিন্তু বিপদ বলে আসে হয়ে তো বৃষ্টি। আন্টি আমাকে বাসায় থেকে যেতে বলল কিন্তু আমার একটাই আর্দশ আমি কারো বাসায় থাকতে ইচ্ছা করে না। এক তো আম্মুকে চলে আসবো বলছিলাম যদি তাদের ঘরে থাকি তাহলে কিন্তু এক্সটারা গালি আমার জন্য রেডি আছে।আমি বের হয়ে যাচ্ছি এমন আন্টি আমাকে দাড় করিয়ে একটা নাস্তা টিফিনের সাথে একটা দামড়ো(মানে আমার বন্ধু রিদির ভাই)কে পাঠিয়ে দিল।দামড়োটা আমার সাথে কথাই বলছে না। ফোনটা নিয়ে কতক্ষণ ধরে টিপছে..... -এ যে শুনছেন আপনি ঘর আর কতক্ষণ? -এ কাছেই চলে আসছি! যেমন করে বলছে আমি তাকে জোর করে আনছি।আর এ দামড়োর সাথে কথা বলা আমার বয়েই আসে।কেমন এটিটিউড! অবশেষ ভরিং মানুষটার সাথে আমার ঘরে পৌছলাম। আমি ঘরে ঢুকে চলে গেলাম কিন্তু আম্মু দামড়োটাকে ঘরে ডেকে নিল। আমি বাথরুমে ফ্রেশআপ করতে বাথরুমে।আম্মুর দামড়োটা খু খু করে হেসে কথা বলছে।যেটা আমি বাথরুম থেকে শুনছি। আর আম্মু একটা মানুষকে পাইলে হবে কথার বর্ষা করবে।বৃষ্টির কারণে চারদিকে নিস্তব্ধ আর ঠান্ডা বাতাসের ছোয়া যেন প্রতি মূর্হর্তে আমাকে একটা অন্যরকম ফিলিং এর জানান দিচ্ছিলো। বাথরুম বের হয়ে দেখি দামড়ো চলে গেছে!!! আম্মু থেকে জিজ্ঞেস করলাম দামড়ো চলে গেছে নাকি?হুমম দামড়ো চলে গেছে! কিন্তু দামড়োর সাথে ৫মিনিট হাটলাম কিন্তু তার সম্পর্কে আমার এত জানতে ইচ্ছ করছে কেন? কোনো প্রেম??না..না..না আমি আর ও ছি কখনোওওও না!!কথা বলার কোনো সেন্স নাই! আমি কথাটা ভাবছি এমন সময় আমার বন্ধু রিদার ফোন পেলাম। -কিরে পৌছে গেছস? -এখন কিছুক্ষণ হয়ছে আসলাম! -আচ্ছা ভালো থাকিস! -ওকে বাই!!! আমি ফোনটা রেখে আম্মুর কাছে গেলাম। -তুমি দামড়োর সাথে এত কথা কি বলছিলে? -এ মানুষকে এভাবে বলে! -তো কি বলে?আচ্ছা কি নিয়ে।হাসাহাসি করছিলে! -তোদের বাড়ির মানুষ নিয়ে! -ও কেমন আমাদের বাড়ির মানুষকে চিনে? -কাজে কাজে চিনে! -তো কি বলছিল আমাদের বাড়ির মানুষ নিয়ে? -যে তোরা হাড় কিপ্টা আর কথায় কথায় ঝকড়া করিস! -কি ওই দামড়োটা আমাদের এগুলো বলেছে! কথাগুলো বলতে বলতে আম্মু দশবার হেসেছে।আমি চিন্তা করছি ছেলেটা আমাদের ঘরে এসে আমাদের গ্রামের মানুষকে ইনসাল্ট করে গেল।কিছু একটা করতে হবে একটু টাইট দিতে হয়। দেখি কি করতে পারি।সেদিন রাতে ঘুমাইনি শুধু দামড়োটার জন্য।পরেরদিন আন্টির দেওয়া টিফিনে মরিচ ভরা হালিম নিয়ে গেলাম।বুঝবে আমাদের কিপ্টু আর ঝকড়ালো বলার পরিণাম কি খারাপ হয়। দামড়োটা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে তাহলে আমার ঘুম হারাম করে ঘুমাচ্ছিস।দাড়া বুঝাচ্ছি কম্বলটা নাকের ওপর উঠিয়ে দিলাম সাথে ফ্যানটা ওফ করে দিলাম এবার ফিনিসিং ঠাস মগভরা পানি ঢেলে দৌড় দিলাম।পানি পড়ার ঠিকই আক্কেল ফিরে পাবে। বিছানা উঠে রিদাকে মারতে যাবে! একি!!!একটা শর্ট আর খালি জামায়!!!!!!আমায় দেখে দৌড় দিল যে বুঝতেই পারলাম না।আমি আর রিদা হাসতে হাসতে একাকার।আমি আর রিদা কলেজ চলে গেলাম সেদিনের মত। রিদা সব বলার সাথে সে দাঁতগুলো বের করে হাসছে। আমি তার দিকে ইনোসেন্ট লুক দিয়ে তাকিয়ে আছি।থাক হারামজাদি টা জাল হালিম টা খেলে উচিত শিক্ষা পাবে যে অন্যের বিপদে হাসা ঠিক না।এটাই হেতির শিক্ষা। আমি বাসায় গল্প পড়ছি।তখনি রিদার কল পেলাম..... -ওই তুই সত্যি করে বল হালিমে কি দিয়েছিলি?এত জাল!!!!(জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে) আমার লাগছে জাল লেগেছ। হয়তো পুরো হালিমটা হেতি গিলেছে। -তুই কি পুরো হালিম গিলেছিস! -হুমম! তুই জানস না আমার হালিম পছন্দ! -আবে গাদি হালিমটা তোর ভাইয়ের জন্য ছিল তুই পুরো খেতে গেলি কেন? -ভাই তো আমার থেকে চেয়েছিল আমি দিয়নি! -এখন কি করছে তোর ভাই! -কি করবে আমার হাল দেখে হাসছে! আচ্ছা দাড়া বুঝাবো আমরা দুইজন আমাদের ওপর হাসার।আমি আসবো কিছুক্ষণ পর। -তাড়াতাড়ি আসিছ! আমি বিকেল ৫টার দিকে বের হলাম।আম্মু খালামণিকে দেখতে গেছে এ কয়দিন খালামণি শরীর খারাপ থাকে। আমি দরজায় ঠুকা দিলে রিদা এসে দরজা খুলল।দামড়োটা গান শুনছে।এতক্ষণ দামড়ো বলতে বলতে গালটা ব্যাথা করছে রিদার ভাইয়ের নাম উজ্জ্বল। কিন্তু এখন পর্যন্ত উজ্জ্বল হওয়ার মত কোনো কাজ করেনি ওল্টা মানুষের বিপদে খু খু করে হাসে দাড়া বুঝাচ্ছি। গান শুনছ দাড়া তোর গানের ওপর তোকে।কেমনে নাচায়!! পায়ের ওপর পা রেখে গান শুনছে।আন্টি মনে হয় ঘুমাচ্ছে। রিদা আর আমি জানালা দিয়ে কিছু ইদুর ছেড়ে দিলাম।এদিকে দরজা বাইরে থেকে আটকে দিলাম।গান বাজছে আমি আর রিদা গানের তালে নাচছি এদিকে উজ্জ্বলও দামড়োটা ও নাচছে কিন্তু ইদুরের প্রেম ভরা স্পর্শে। দামড়ো চিৎকার করছে কিন্তু গানের শব্দে আমরাও শুনছি না। কিছুক্ষণ পর আমি আর রিদা হাসতে দরজা খুললাম।উজ্জ্বল তখন একপাশে বসে ছিল।আমি যখন তাকে ডাকতে যাবো তখনি খসায় একটা থাপ্পড় আমার গালে মারতে সে।একটুও দ্বিধা করলো না। -তুমার এগুলো মজা লাগে!মানুষের সাথে এত খারাপ মজা করে তুমি মজা পাও কিন্তু তুমার জন্য অন্যরা অনেক কষ্ট পাই! -কিন্তু শুনেন! -একদম চুপ আমার কিছুশুনতে হবে না। কথা বলার সুযোগ দিল আমাকে আমি গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি! -আমার সামনে আর আসবে না! চোখে জল ভর্তি হয়ে গেল।জানতাম না এমন হবে।আমি রিদার ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম রিদা আমার দিকে মন খারাপ করে দেখে আছে। আমাকে এমন ভাবে কেউ মারেনি বা কথা শুনায়নি।হয়তো আমি উজ্জ্বলের সাথে অনেক খারাপ করেছি।আমাকে তাকে সরি বলতে হবে। চলবে,,,, #তার_স্পর্শ #পর্ব-১ #SaYeD_CHy


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ১০১০ জন


এ জাতীয় গল্প

→ তার_স্পর্শ❤ #পর্ব_৫
→ তার স্পর্শ পর্ব-৪
→ তার_স্পর্শ❤ #পর্ব_৩ #SaYeD CHy
→ তার স্পর্শ পর্ব-২
→ আত্মহননের আগে ধর্ষিতার মর্মস্পর্শী চিঠি

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • Eshrat Jahan
    Golpobuzz ৪ বছর পুর্বে
    চলবে না

  • বকুল রায়
    Golpobuzz ৪ বছর পুর্বে
    ভালো লিখেছিস। gj তবে তুই নিজে দামড়োটার হয়ে গল্পের কথক হতে পারতি।

  • sushmita paul
    User ৪ বছর পুর্বে
    বানানে সমস্যা আছে।আশা করি পরের বার সংশোধন করবেন gj

  • Md.Mofizul Hossain
    Golpobuzz ৪ বছর পুর্বে
    নাইস পরের পর্ব এর অপেক্ষায় রইলাম gj