সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান... জিজেতে আজে বাজে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন ... অন্যথায় আপনার আইডি বা কমেন্ট ব্লক করা হবে... আর গল্প দেওয়ার ক্ষেত্রে গল্প দেওয়ার নিয়ম মেনে চলুন ... সার্বিকভাবে জিজের নীতিমালা মেনে চলার চেস্টা করুন ...
সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান... জিজেতে আজে বাজে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন ... অন্যথায় আপনার আইডি বা কমেন্ট ব্লক করা হবে... আর গল্প দেওয়ার ক্ষেত্রে গল্প দেওয়ার নিয়ম মেনে চলুন ... সার্বিকভাবে জিজের নীতিমালা মেনে চলার চেস্টা করুন ...
হিমু ও আমি -পর্ব (০১)
"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান =_= (০ পয়েন্ট)
আসসালামু আলাইকুম অল।
গল্পের নামঃ- হিমু ও আমি
।
লেখাঃ- রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন।
উৎসর্গঃ- হুমায়ুন আহমেদ ।
------------------_--------_--_++++++
আমি রাত ১প্রহরে শুতে গেলাম। সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছি। সেজন্য ঘুৃমটা জন্য জরুরি । তবে নামাজ মিস করা যাবে না। তাই নামাজের নিয়ত করলাম আর ঘুমের দোয়া পড়ে শুয়ে পড়লাম। ফজরের সময় অটোমেটিক ঘুম ভেঙে যায় , যতই দেড়ি করে ঘুমাইনা কেন! এটা আল্লাহর একটা নেয়ামতই মনে হয়।
যাই হোক ঘুমটাও হলো। আজান হচ্ছে আমি রীতিমতো উঠে পড়লাম। দাঁত ব্রাশ করে তারপর অজু করে রেডি হলাম। প্রচন্ড শীত। অবশ্য শীত শেষ বললেই চলে। শেষের চাপ বলে একটা কথা আছে, ওরকম হঠাৎ শীত। অবশ্য দুদিন বৃষ্টিও হয়েছে ।
আমি টুপি পড়ে রওনা হলাম। মসজিদ বাড়ির একদম কাছেই। তাই মিনিট পাচেঁর মধ্যেই পৌঁছে গেলাম।
নামাজ আদায় করে ফিরছিলাম। মনে মনে জিকির করছিলাম নিচের দিকে চেয়ে চেয়ে হাটছিলাম। হঠাৎ একটা পীঠ এসে সজোরে মুখে ধাক্কা খেলো। হলুদ পাঞ্জাবি পড়া, খালি পা। আর বড় কথা হলো উল্টো দিকে হাটছিলো লোকটি। লোকটি আর কেউ না, হিমু।
আমার ঠোঁট কেটে রক্ত বেড়িয়ে পড়লো।
আমি এক পলক হিমুর দিকে তাকালাম । তারপর মসজিদের টিউবওয়েলে গেলাম। হিমুও পেছন পেছম এলো। কুলি করলাম, মুখটা জ্বলছিলো।
তারপর....
আমিঃ- হিমু কোথায় যাচ্ছো?
হিমুঃ- উত্তরদিকে নাহ, পশ্চিম দিকেই যেতে চাইছিলাম ।
আমিঃ- আচ্ছা যাও।
হিমুঃ- আপনি আমার সাথে যাবেন?
(আমি অবাক হলাম! কারণ আছে)
আমিঃ- আচ্ছা চলো।
হিমুঃ- কোনদিকে যাবেন?
আমিঃ- তুমি যেদিকে নিয়ে যাবে!
হিমুঃ- আচ্ছা চলুন দক্ষিণ দিকে একটা ব্রীজ আছে। ঐদিকেই যাবো।
হাটছিলাম দুজন! হিমু আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলো।
কিছু বলতে চাইছে মনে হয়।
আমিঃ- কিছু বলবে কি?
হিমুঃ- হুমমম।
আমিঃ-আচ্ছো বলো
।
হিমুঃ- আমাকে মারলেন না কেন?
আমিঃ- মারলাম না মানে! মারবো কেন?
হিমুঃ- আমি যখনই উল্টো করে হেটে, কারো সাথে ধাক্কা খাই। তখন তো আমাকে সবাই রাগে মারে। আর আপনার তো ঠোট কেটে গেছে । সে অনুযায়ী আমাকে কষিয়ে দুই চার ঘা দিতে পারতেন।
আমিঃ- হাহাহাহা।
*আমি হুহু করে হেসে উঠলাম ওর কথা শুনে। *
হিমুঃ- (অবাক)
আমিঃ- আচ্ছা খালি পায়ে হাটো কষ্ট পাও না?
হিমুঃ- কষ্ট কি?
আমিঃ- কিছু না , পায়ে ব্যাথা লাগে না?
হিমুঃ- হুমমম লাগে। তবে মাটিকে আপন মনে হয় ।
আমিঃ- এই শীতে খালি পায়ে হাটলে ঠান্ডা লাগবে।
হিমুঃ- আমার তো লাগেনা ।
আমিঃ- হুম। দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তাই হয়না ।
হিমুঃ- আপনি একটু একদিন খালি পায়ে হাটবেন আমার সাথে?
আমিঃ- আমি অস্বীকার করলাম না, বললাম আচ্ছা
।
হিমুঃ- আপনি অনেক ভালো।
*আমি আবারো হাসলাম আর বললাম, হুমমম তুৃমিও অনেক ভালো। তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে।
হিমু অনেকটা মুখটাকে গোলাপের ফোঁটা পাপড়ির মতো ভঙ্গিতে মৃদু হাসলো।
আমার ব্রীজের নিচে গেলাম। নদীর পানি তেমন নেই, স্রোত অল্প । নদীর পাড়ে খুবই ভালো লাগছিলো। পূবালী হাওয়া শীতটা বাড়িয়ে দিয়েছে ঐ সময়। তবুও বেশ
।
বেলা দশটা বেজে গেছে ওতটুক হাটতেই। আমার খিদে লেগেছে । হিমুকে নিয়ে একটা পিঠার দোকানে গেলাম। ভীড় নেই। অন্য সময় অনেক ভীড় থাকে। শীতও কমে যাচ্ছে, সাথে পিঠার উৎসবটাও।
চিতই পিঠা নিলাম দুইটা। হিমুকে বললাম ভর্তা দিয়ে খাবে নাকি চিনি?
ও ভর্তাই নিলো
। আমি চিনি দিয়ে খেলাম।
তারপর হিমুকে বললাম আরও খাবে?
হিমু হ্যা বোধক মাথা নারলো। আমি দোকানিকে আরও দিতে বললাম হিমুর জন্য ।
আমি নিলাম না। অতিরিক্ত খেতে পারিনা।
হিমুর দিকে তাকিয়ে আছি অপলক। অনেকদিন হয়তো খাওয়াই হয়নি ওর। কেইবা ওর খোঁজ নেয়? আমার বড্ড মায়া লাগছিলো তার জন্য।
খাওয়া শেষ করে বললাম চলো বাড়ির দিকে যাবো।
হিমুঃ- আমার গন্তব্য শুরু সকালে আর শেষ হয় রাতে।
আমিঃ- তার মানে তুৃমি আরও অনেক দূর যাবে?
হিমুঃ- হুমমমম।
আমিঃ- আচ্ছা যাও তুমি আমার কাজ আছে।
****★*****
আমি বাড়ির দিকে আসছি আর হিমু সোজা হেটে চলল।
***--
****হিমু নিয়ে এই প্রথম কোনো লেখা শুরু করলাম। জানিনা কেমন হবে। তবে সবাই দোয়া করবেন। এবং ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিবেন। পরের পর্ব লেখার চেষ্টা করবো উৎসাহ পেলে
।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...