বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কিছুদিন থেকে শহরে এক
অদ্ভুত সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে শহরে একটা আতংক
সৃষ্টি হয়েছে।সমস্যাটা হলো
১৬ বছরের উপরের যুবতি
মেয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে।
আমি মোঃ রোমান আহমেদ
একটি বেসরকারী প্রতিষ্টানে
কাজ করি।প্রতিদিনকার
মতো আজো রাতে বাড়ি
ফিরতেছি...
বাড়িতে ঢুকে কলিংবেল
চাপ দিতেই আম্মু দরজা
খুলে দিল।আমাকে ভিতরে
ঢোকার সময় দিল না।
কান্নাজড়িত কন্ঠে বলতে
লাগলো
-- বাবা আখি এখনো
বাসায় ফিরে নি কোচিং
থেকে।
-- কি বলছো এসব।আমাকে
আগে জানাবা না !!
-- আমি মনে করলাম
কোচিং এ কোনো সমস্যা
হয়েছে, না হলে গাড়ি
পায়নাই তাই দেরী করে
আসছে।
-- দারাও আমি আখির
ফোনে ফোন দিয়ে শুনি
কোথায় সে।
ফোন দিয়েই বুঝলাম
ফোন সুইচড্ অফ।
আচ্ছা আখি কোন
বিপদে পড়ে নি তো ?
কোচিং স্যারের কাছে
ফোন দিয়ে দেখি,এমনো
তো হতে পারে আখি
এখনো কোচিংয়েই আছে..
-- হ্যালো স্যার, আমি
আখির বড় ভাই বলছি।
-- হ্যা বলুন।
-- আপনার কোচিং কি
শেষ হয়েছে ??
-- হ্যা সেতো অনেক আগেই
শেষ হয়েছে।কেন বলুন তো?
-- আখি এখনো বাড়ি ফেরে নি।
-- হোয়াট !! সেতো কোচিং
করে সেই কখন বাড়ি ফিরেছে।
-- আচ্ছা রাখছি।
আম্মু আমাকে জিজ্ঞেস করলো
-- স্যার কি বললো?
-- আখি নাকি অনেক আগেই
কোচিং করে চলে এসেছে।
-- আখির আবার কোন
বিপদ হলো নাতো!!
আমার মনটা যে কেমন
করছে।
-- তুমি চিন্তা করোনা মা।
আমি খুজে দেখছি কোথায়
গেল।
আখির বান্ধবিদের
সাথে কথা বলে শুনলাম
আখি কারো বাড়িতেই যায়নি..
আর তাদের সাথে আখির
শেষ দেখা হয় কোচিং শেষে
বাড়ি ফেরার সময়..
।
অনেক খুজা খুজলাম
কোথাও খুজে পেলাম
না।থানায় জিডি করা
হয়ে গেছে।কিন্তু পুলিশ
কিছুই করতে পারলোনা।
দুই দিন থেকে আখি
নিখোজ আর তার কোন
খোজই পাচ্ছিনা।
পুলিশরা কি করছে?
পুলিশ অফিসার রানার
সাথে দেখা করতে
যেতে হবে।আখির কেইসটা
দায়িত্বে আছে সে।
থানায় ঢুকলাম,রানাকে
জিজ্ঞেস করলাম
-- কোন খোজ পেলেন
আখির?
-- দুঃখিত আমরা এখনো
পাইনি।তাছাড়া শহরে
অনেক মেয়েই নিখোজ
হয়েছে।কিছুতেই বুঝতে
পারছিনা কেন মেয়েগুলো
নিখোজ হচ্ছে।
এটা কোন কিডন্যাপিং এর
ব্যাপর নাতো?
-- না।এটা কিডন্যাপ এর
কেইস না।কিডন্যাপ হলে
মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসতো।
এটা হয়তো নাড়ি পাচারের
কোন গ্যাং এর কাজ।
-- হতে পারে , আবার
নাও হতে পারে।তবে
আপনার সাথে আমি সহমত
এটা কিডন্যাপ না।কারণ
আজ পর্যন্ত ৮ জন মেয়ে
নিখোজ হয়েছে , আখি সহ
৯ জন, এদের কারোকাছে
মুক্তিপণ চেয়ে কোন ফোন
আসে নাই।
-- প্লিজ কিছু একটা করেন।
আমার বোন দুই দিন থেকে
নিখোজ,আখি বড় আদরের
বোন আমার।যেভাবেই
হোক আখিকে দেখতে চাই।
-- আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা
করবো আপনার বোন আখিকে
উদ্ধার করার।
থানা থেকে বেড়িয়ে পড়লাম,,
এমন সময় পাশে একজন লোক
দরকার,,তাই আমার বন্ধু
হিমনকে ফোন দিলাম।
হয়তো দুজনে খুজলে
কিছু একটা করতে পারবো।
ও বলতে ভুলে গেছি হিমন
আবার প্রাইভেট ডিটেক্টিভ।
এরকম রহস্যের কথা শুনলে
নিশ্চয়ই চলে আসবে।
প্রথমবার রিং হতেই
রিসিভ করলো।
-- দোস্ত কি অবস্থা কেমন
আছিস?
-- ভালোনা।সব কিছু
খুলে বললাম।
-- দোস্ত আমি আসছি,
এই রহস্যের সমাধান
না করে আসবোনা।
.
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার
পর সামনে একটা গাড়ি
থেকে হিমনকে নামতে
দেখলাম।তার পরনে
একটা কালো কোর্ট,
মাথায় কালো টুপি,
কালো প্যান্ট আর
সাইটে একটি ব্যাগ।
গাড়িকে বিদায় করে
তারপর আমার কাছে
শহরের পরিস্তিথি শুনলো।
-- আচ্ছা এটা কোন বিকৃত
মষ্তিষ্কের মানুষ বা
সিরিয়াল কিলারের কাজ
নয়তো।
-- মনে হয়না,,কারণ এখন
পর্যন্ত কোন লাশ পাওয়া
যায় নাই।
-- তুই কি করে জানবি।
এমনোতো হতে পারে
লাশ লুকিয়ে রাখছে।
যেন কেউ প্রমাণ না পায়।
-- আচ্ছা ওসব পড়ে হবে
আগে আমার বোনকে
খুজেক।
-- আমার মনে হয় ওই
মেয়েগুলোর রহস্য বের
করতে পারলে তোর বোনকেও
খুজে পাওয়া যাবে।
-- ঠিক আছে খুজেক।
আমি আর হিমন অনক্ষণ
খুজলাম,,হিমন জঙ্গলে
খুজতে বললো।তাই
আমরা জঙ্গলে খুজতে
গেলাম,,হঠাৎ এই গহীন
জঙ্গলে একটা বাড়ি
দেখা গেলো।
-- শোন,এই জঙ্গলের
মধ্যে বাড়ি।নিশ্চয়ই
কোন গর্বর আছে।চল
এগিয়ে গিয়ে দেখি।
এগিয়ে গিয়ে দেখলাম
সেটা একটা সাধুবাবার
বাড়ি।আর সেই সাধুবাবা
একটা বটবৃক্ষের নিচে
বসে ধ্যান করছে।
হিমন সাধুবাবাকে দেখেই
বললো সব "ভণ্ডামি,,টাকা
কামানোর ধান্দা"
-- বসো বৎস,বসো!! আমি
কারো থেকে টাকা নেইনা।
আর কারো সমন্ধে না জেনে
তাকে ভণ্ড বলা ঠিক না।
-- দুঃখিত বাবা!আমি
আমার বন্ধুর হয়ে ক্ষমা
চাচ্ছি।
-- ক্ষমা চাইতে হবেনা বৎসো।
আমি প্রথমেই ক্ষমা করে দিছি।
তুমি তোমার বোনকে খুজছো?
-- হ্যা বাবা।আপনি জানলেন
কি করে?
-- আমি আরো অনেক কিছুই
জানি,,শহরে যে মেয়ে উদাও
হচ্ছে সেটা কে করছে সেটাও
জানি।
-- কে করছে এসব।আর
মেয়ে দিয়ে তারা কি করে?
-- এসব করছে সুরিন্দর।
সেও একজন সাধু ছিলো।
বেশী লোভে পরে সে হয়ে
উঠে শয়তানের পূজারি।
আর মেয়েগুলোকে বলি
দেয়ে।আর সেই রক্ত দিয়ে
শয়তানের মুর্তির স্নান
করায়।তার পরিবর্তে
শয়তান তাকে শক্তি দেয়।
-- সাধুবাবা তার ঠিকানা
দিন আমি তাকে বিনাশ
করবো।এই শহরের আর
কোন মায়ের বুক খালি হতে
দিবোনা।
-- আমি তোমার সৎসাহসে
খুশি হয়েছি।অবশ্যই তার
ঠিকানা দেবো।আর তুমি
তাকে বিনাশ করতে চাইলে
তার যাদুর দন্ড আর শয়তানের
মূর্তি পুড়িয়ে দিবে।তাতে
তার সব শক্তি শেষ হয়ে
যাবে তখন তুমি তাকে
মারতে পারবে।আর একাজ
করতে হবে অমাবস্যার
আগেই।
-- অমাবস্যা কবে?
-- তিনদিন পরেই অমাবস্যা।
-- তার ঠিকানাটা দিন।
-- সে থাকে অনেকদুরে পাতাল
পুরিতে।
-- কিভাবে চিনবো সেটা কোথায়?
-- তোমাকে একটা কড়ি দিচ্ছি
এটা তোমাকে চিনিয়ে দিবে।
এই বলে সাধূবাবা ঝোলা
থেকে একটা কড়ি দিলো।
সেটা হাতে নিতেই একাই
উপর দিক উঠে গেল।
আমি আর হিমন তার
পিছন পিছন যাচ্ছি...........
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
. . চলবে....................
গল্পঃ - শয়তানের পূজারী
পর্বঃ - ০১
লেখাঃ রোমান আহমেদ
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Ishika ishu
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেব্যারি এলেন ( ফ্ল্যাশ )
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেবতুল মিঞা
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেAnisha Jannat
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বে