বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বটতরুর তিথি - পর্ব ২
~~~~~~~~~~~~~
লেখাঃ সাদ আহমেদ
অদ্ভুত কথা বাত্রা. বিরক্তিই লাগলো আমার.. গ্রামে আসার কারনই তো ঘুরবো ফিরবো.. জংলের পরিবেশে.. শহরে তো আর সেটা পারবোনা..
বললাম চাচা সমস্যা নেই আমার অভ্যাস আছে.. বলেই হাটা ধরলাম..
চাচা ঠায় অইখানে দারিয়ে দেখতে থাকলেন আমার যাওয়া.. তারপরে কি বলতে বলতে উলটোপথে রওনা দিলেন..
কয়েকমিনিট পরেই সেই বট গাছের নিচে এসে দারালাম.. আহা!! কি শান্তিময় পরিবেশ.. গাছের ছায়ায়! মনটাই ফুরফুরে হয়ে গেলো..
কত কালের সাক্ষী এর বটবৃক্ষ!!
তবে এখানে একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করলাম যেটা আগের বার করিনি.. সেবার এখানে তেমন সময় ছিলাম না.. এখানে কয়েকটা টিনের পরিত্যক্ত ঘর দেখতে পেলাম সবগুলোই উলটে পরে আছে.. সবুজ লতা পাতায় পুরো যেন ডুবে আছে ঘর গুলো...
যদিও ঘর গুলোর সাইয দেখে আমার ঘর বলে মনে হচ্ছেনা.. এত ছোট! এত ছোট ছোট টিনের ঘর বলতে গ্রামে দোকান হয়.. এইগুলো দোকান নয়তো??
হতেই পারে.. তারমানে এখানে কি একসময় জাম্পেস আড্ডা দিত গ্রামের মানুষ? দোকান গুলো পরে আছে কেনো?? বট গাছের কাছেই একটা ঘর একদম কালো হয়ে আছে আংশিক ধসে পরে আছে... কাঠ প্রায় সবই যায়যায় অবস্থা.. কিছু ভালো কাঠ এর বদৌলতে এখনো টিকে আছে..
আরো একটা জিনিস নতুন খেয়াল করলাম.. ডানে ও বামেও রাস্তা আছে.. মানে এককালে ছিল বলে মনে হচ্ছে.. অনেকটা চার রাস্তার মোড় বা প্লাস টাইপের বলা চলে.. যাই হোক একটু নিরিবিলি বসলাম বটের নিচে.. ভালই লাগছে এমন পরিবেশ..
বট গাছের ডাল চারদিকে এতটাই ঝাপটানো যে নিচে বসলে মনে হচ্ছে যে রাত বুঝি হয়েই গেছে..
সিগারেট খাব কিনা ভাবলাম. না থাক শুদ্ধ বাতাস নেই কিছুটা..সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়েই আসলো বলে..উঠতে হবে এখন. না হলে রাত পরে যাবে যেতে যেতে..
হঠ্যাত গায়ের উপর কি যেন একটা পড়ল.. খেয়াল করতে পারলাম না.. ভাবলাম বটের ফল হবে..
আবার কিছুক্ষন পরে কি যেন একটা পড়ল.. এবার খেয়াল করেছিলাম.. দেখিলাম পাশেই পড়েছে.. আর জিনিসটা একটা আমড়ার আঠি এবং সেটা খাওয়া আঠি..
এমা!! এখানে এটা কোথা থেকে আসলো কে মারলো.. অবাক হোলাম.. একটু মন টিপটিপ ও করছিলো.. তার পরেও হিউম্যান বিহ্যাভিয়ার উপরো না তাকিয়ে পারলাম না.. আলো আধারির মাঝখানে উপরের মগ ডালে লালচে কালারের একটা কিছুকে বসে থাকতে দেখলাম..
আমি মোটেও তেমন সাহসি নই আসলে.. কিন্তু আধুনিক পরিবেশে থাকার কারনে বিশ্বাস গত কিছু কনফিডেন্সে আছে. যেটাকে সাহস বলা যায় কিনা জানিনা. কিন্তু অইটা দেখার পরে আমার আত্বা উড়ে যাওয়ার অবস্থা.. আর এমন আবছা পরিবেশে তো আরো ভয়ংকর!
মন বলছে ঝেড়ে দৌড় দেই.. আস্তে উঠে দারালাম হাটা দিলাম.. শরিলের ভিতরে ঠান্ডা একটা ভয়ের স্রোত বয়ে যাচ্ছিলো. আরো আতংকিত হয়ে দেখলাম যেই লাল বস্তুটা আরো হেলেদুলে নিচেই নেমে আসছে!.
মনে হচ্ছিলো জ্ঞান হারাবো..
কাপতে কাপতে আরো কিছুদুর আগালাম.. তাতেই মনে হচ্ছে কয়েক মাইল হেটেছি.. লাল বস্তুটা গাছের নিচে এসে দারিয়েছে অনুভব করলাম.. কিন্তু তাকাতে সাহস করলাম না..
কিন্তু তারপরেও অবচেতন ভাবে কি বুঝে যেন ফিরে তাকালাম.
যাস্ট অবাক হয়ে গেলাম আমি.. অস্ফুট একটা শব্দ বেড়িয়ে গেল আমার মুখ দিয়ে.. লাল রংচঙয়ে একটা কাপড় বা শাড়ি পরা একটা মেয়ে দারিয়ে আছে গাছের নিচে.. অনিন্দ্য সুন্দরি..
আমি তাকাতেই খিলখিল করে হেসে ফেললো..
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now