বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

"গোধূলি লগ্নের সূর্যাস্ত"

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান Oliver Queen(ShuvO) (০ পয়েন্ট)

X আচ্ছা আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। কথাটা শুনে শুভ চমকে ঘুরে তাকালো। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে রূপা নামের মেয়েটা। শুভ - জ্বি বলেন কি বলবেন। রুপা - না মানে আমি রোজ রোজ দেখি আপনি এই সময় টায় ছাদ এর রেলিং ধরে এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর কি কোন বিশেষ কারণ আছে? শুভ - সব কিছুর ক্ষেত্রে কি কোন কারণের প্রয়োজন হয়?(মুখে মৃদু হাসি নিয়ে) রূপা - ঠিক তা না, আসলে একই সময় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার জন্যতো কারণ থাকা চাই। শুভ - হুম এটা ঠিক বলেছেন, আচ্ছা বলুনতো আমি কোন সময়টা এখানে দাঁড়িয়ে থাকি? রূপা - কেন, এইতো শেষ বিকালের গোধূলিলগ্নে এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। শুভ - ঠিক বলেছেন আমি এই সময় টাতেই এখানে দাঁড়িয়ে থাকি, কারণ এই সময় টায় শেষ বিকেলের সূর্যাস্ত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে আমার ভাল লাগে। রূপা - তার জন্য প্রতিটা দিন? কখনো কখনো কি এর ব্যতিক্রম হতে পারে না? শুভ - হবে হয়তো কোন দিন, তবে তা কবে বলতে পারছি না। আচ্ছা বলুনতো আপনি কেন আমাকে রোজ রোজ এই সময় দেখতে আসেন? রূপা -(থতমত খেয়ে) আসলে তা নয়, এই সময় আমারও কোন কাজ থাকে না, তাই আমি শেষ গোধূলিলগ্নটা ছাদ এ কাটাতে আসি। শুভ - ওহ আচ্ছা ভাল, তাহলে কাল থেকে আমি আর আসবো না। আমার জন্য হয়তো আপনার ডিস্ট্রার্ব হয়। রূপা - আমি কি আপনাকে একটা বার ও সে কথা বলেছি? শুভ - না বলেন নি, তবুও আমি বুঝতে পেরেছি। রূপা - আপনি ভুল বুঝেছেন, এই দুই বছর আমি আপনার পেছনে দাঁড়িয়েই সন্ধ্যাটা শেষ করেছি, ডিস্ট্রার্ব করা তো দূরের কথা, আপনি কখনো আমার দিকে ফিরে ও তাকান নি। শুভ - কি বলেন দুই বছর!! আর আমি কখনো খেয়ালাই করিনি। আমি এতোটাই অমনোযোগী। রূপা - জ্বি না আপনি খুবি মনোযোগী, তবে আপনার লক্ষে, আর এটা খুবি ভাল। শুভ - আচ্ছা এই দুই বছর পর আপনি আজ কি মনে করে আমার সাথে কথা বলতে আসলেন? রূপা - আসলে অনেক বার চেয়েছি আপনার সাথে কথা বলবো কিন্তু সাহস হয়নি। শুভ - তবে আজ কেন বললেন? রূপা - আজ বললাম কারণ আমার বিয়ের কথা চলছে। তাই... শুভ - শুধুই তাই কি? রূপা - আসলে এই কথা গুলো আমি আপনাকে আজ না বললে হয়তো আর কখনোই বলতে পাড়বো না। শুভ - কি এমন কথা? রূপা এই দুই বছর আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে গোধূলিলগ্নের সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে কখন যে আপনার মায়ায় কিংবা সূযার্স্তের মায়ায় পড়ে গেছে তা জানি না। কখন যে আপনাকে ভালবাসতে শুরু করেছি তাও জানি না। খুব ইচ্ছে ছিল একদিন সাহস করে আপনাকে বলবো ভালবাসি। কিন্তু হয়তো অনেক দেরী হয়ে গেছে। আর হয়তো কখনো আজকের পর আমি আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তটা দেখতে পাবো না। তাই শেষ দিন আপনার পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তটা দেখতে চলে আসলাম। শুভর তখন কি বলা উচিৎ বুঝতে পারছে না। তিন বছর ধরে এখানে দাঁড়িয়ে সূযার্স্ত দেখে একা একা। কারণ তিন বছর আগে যখন পিউ শুভকে ছেড়ে চলে যায় তখন থেকেই শুভ একা হয়ে যায়। সবাই থাকার পরেও একা হয়ে যায় শুভ। দুজন দুপ্রান্তে নিরবে দাঁড়িয়ে আছে, সূর্যটা তখন পশ্চিম আকাশের শেষ প্রান্তে লাল হয়ে ডুবে যাচ্ছে। রূপা মেয়েটার চোখের পানি সে আলোয় চিকচিক করছে। শুভ তার হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে রূপার চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বললো... শুভ - মায়া বড্ড খারাপ জিনিস। যে মায়ার জন্য আজ তিনটা বছর আমি এখানে একা একা দাঁড়িয়ে থাকি। রূপা -দিন না একটু মায়া লাগাতে। খুব কি ক্ষতি হবে আপনার একাকিত্ব জীবনে যদি বাকি জীবনটা আপনার পাশে থেকে জীবনের শেষ সূর্যাস্তটা দেখার ইচ্ছে পোষণ করি? তাতে কি খুব বেশী অন্যায় আবদার করা হয়ে যাবে? শুভ -(মাথা নিচু করে) এতোটা ভালবাসা কি আমার সইবে? রূপা - শুভর ডান হাতটা ধরে,, কেন সইবে না? শুধু একটা বার বলে দেখুন সারা জীবন পাশে রাখবেন। আমি পুরো দুনিয়ার সাথে সংগ্রাম করবো এ ভালবাসা অর্জনের জন্য। শুভ - না আপনাকে সেটি করতে হবে না, একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটিয়ে আপনাকে আমার শেষ বিকেলের গোধূলিলগ্নের সূর্যাত্বটা দেখার সঙ্গী হিসেবে পেতে চাই। আপনি কি তাতে রাজি হবেন? (আশ্চর্য + মুখে হাসি নিয়ে) রূপা খুব শক্ত করেই জড়িয়ে ধরল শুভকে,,, তারপর দুজন দুজনের হাতে হাত রেখে পাশা পাশি থেকে সে দিনের সেই গোধূলিলগ্নের সূর্যাস্তটা উপভোগ করলো। দুই পরিবারের সম্মতিতে ই শুভ আর রূপা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেদিনের পর শুভ আর একা সূযার্স্ত দেখে না। পাশে রূপাও থাকে আর এভাবেই চলতে থাকে ওদের ভালবাসার নতুন অধ্যায়.......। লেখক:- অলিভার কুইন (শুভ)।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৮৫৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • মুহাম্মদ মাজেদ
    Golpobuzz ৪ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    এতটাই দ্রুত