বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ইরিনা শখের ভ্যাম্পায়ার । প্রথমে ওর মাথায় যখন আইডিয়াটা আসে – তখন ভেবেছিল রক্তের মত জঘন্য জিনিস তার কিছুতেই সহ্য হবে না । কিন্তু প্রথম শিকারকে ধরার পর সম্পূর্ণ ধারণাটাই ভুল বলে প্রমাণিত হল । মানুষের রক্ত খাবার হিসেবে ততটা খারাপ নয় – যতটা লাগে দেখতে । নোনতা-মিষ্টি একটা স্বাদ ।
কিন্তু শিকারের সংখ্যা দশকের ঘরে পৌঁছতে পৌঁছতে নেশা ধরে যায় । মানুষের শরীরের প্রবাহিত রক্ত ছাড়া কিছুতেই স্বাদ পায় না ইরিনা । ফিরে আসতে যে ইচ্ছে হয়নি তার – তেমনটাও নয় । কিন্তু একবার মানুষের রক্তের নেশা ধরে গেলে ছাড়ার সাধ্য কি আর থাকে ? হেরোইনের নেশার চেয়েও ভয়ংকর এ নেশা ।
শিকার থেকে দ্রুত রক্ত খেয়ে কেটে পড়ার জন্য নিজেই শিকার-পদ্ধতির কিছু নিয়মকানুন বের করেছে । এতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা যেমন কমে – পুরো ব্যাপারটা অতি অল্প সময়ে ঘটিয়ে ফেলাটাও হয় সহজ ।
প্রথমত হাতের আঙ্গুলে ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে নেয় ও । তবে ভুলেও এই হাত নিজের নাকের সামনে আনা চলবে না । কথার ছলে একবার জায়গা মত হাত নিয়ে গেলেই কাজ হয়ে যায় । দ্বিতীয়ত, মুখের চারটি চোখা দাঁতের মাথায় বিশেষভাবে বসিয়ে নিয়েছে ও সুহ্ম চারটি পিন । অতি সহজে ফুটো করে ফেলা যায় ধমনী । তৃতীয়তঃ নিজেকে আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে বের হতে হয় । ছেলেদের অন্যমনস্ক করে ফেলাটা সহজ এভাবে, যার অর্থ – নাকে ক্লোরোফর্ম ধরার মত দূরত্বে আসা সহজ ।
এবং অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে ধরার পড়ার ক্ষেত্রগুলো আইডেন্টিফাই করাটা সহজ হয়ে গেছে । প্রথমে ও রোজ রাত দশটায় বের হত । হাঁটত স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিকের মত । তবে একদিন বিপত্তি ঘটেই গেল।
গত তিনদিন কোন শিকার পায়নি ইরিনা। এখন সে কি করবে?
চলবে...
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now