বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হযরত হাসান বসরী (রাঃ)

"ইসলামিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান MD Shohidul Islam Sahid (০ পয়েন্ট)

X আগের পর্বের শেষের অংশ.......... ....... তাঁর সভাসদদের বললেন— ‘তোমাদের ধ্বংস হোক, তোমরা দূর হও। বসরার এক কৃতদাস উঠে দাঁড়িয়ে তোমাদের সামনে যা ইচ্ছে তা-ই বলল আর তোমাদের মাঝে এমন কেউ ছিল না, যে তাঁকে প্রতিহত করবে অথবা তাঁর কথায় অস্বীকৃতি জানাবে। আল্লাহর কসম করে বলছি, হে কাপুরুষের দল! অবশ্যই আমি তোমাদের তাঁর রক্ত পান করাব।’ তারপর তিনি তরবারী ও নাতা (যে প্রশস্ত চামড়ার বিছানার উপর মানুষের শিরোচ্ছেদ করা হয়) আনার আদেশ করলেন। হাজ্জাজের আদেশমতো তা উপস্থিত করা হলো। তারপর জল্লাদকে ডেকে হাজ্জাজের সামনে উপস্থিত করা হলো। তারপর হাজ্জাজ হাসানকে ধরে আনার জন্য কয়েকজন সৈন্যকে পাঠালেন। অল্পক্ষণ পরেই হযরত হাসান বসরী (রহঃ) হাজ্জাজের দরবার কক্ষে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি এলে সকলের হৃদয়ে কম্পন বেড়ে গেল। হযরত হাসান বসরী (রহঃ) যখন তরবারী, নাতা ও জল্লাদকে উপস্থিত দেখলেন, তখন তিনি তাঁর ঠোঁটদ্বয় ঈর্ষৎ নাড়ালেন। তারপর হাজ্জাজের দিকে এগিয়ে গেলেন। অথচ তখনও তাঁর সাথে মুমিনের মহিমা, মুসলমানের আত্মসম্মানবোধ এবং আল্লাহর প্রতি আহ্বানকারীর স্থিরতা। হাজ্জাজ হযরত বসরীর এ অবস্থান দেখে প্রচন্ড ভয়ে বলতে লাগলন, আবু সাঈদ! এদিকে এসো, এখানে বসো। এ কথা বলে তিনি হাসান বসরী (রহঃ) কে বসার জায়গা করে দিচ্ছিলেন। হাজ্জাজের এ অবস্থা দেখে লোকজন বিস্ময় ও হতবাক হয়ে তাঁর দিকে তাকাচ্ছিলেন। তারপর হাজ্জাজ ও হযরত হাসান বসরী (রহঃ) উভয়ে নিজ-নিজ আসন গ্রহণ করলেন। হাসান বসরী (রহঃ) আসন গ্রহণ করলেন এবং তাঁর দিকে তাকালেন এবং ধর্মীয় কিছু বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন আর হযরত হাসান বসরী (রহঃ) তাঁর প্রতিটি প্রশ্নের স্থিরচিত্তে, জাদুকরী ভাষায় এবং প্রগাঢ় জ্ঞানের আলোকে দিতে লাগলেন। হযরত হাসান বসরীর উত্তর শুনে হাজ্জাজ বললেন, হে আবু সাঈদ! আপনি জ্ঞানীদের সম্রাট!! তারপর তিনি সুগন্ধি আনতে বললেন এবং তা হাসান বসরী (রহঃ)-এর দাঁড়িতে মেখে তাঁকে বিদায় জানালেন। হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বেরিয়ে এলে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের দ্বাররক্ষী তাঁর পিছু-পিছু ছুটে এল এবং বলল, হে আবু সাঈদ! হাজ্জাজ আপনার সাথে যে আচরণ করেছেন, তাঁর বিপরীত আচরণ করার জন্য তিনি আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। আমি লক্ষ্য করেছি, যখন আপনি অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন আপনি উভয় ঠোঁট নেড়ে বিড়বিড় করে কী যেন পড়েছিলেন। বলুন তো আপনি কি পড়ছিলেন? হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বললেন, আমি পড়ছিলাম: ‘হে আমার নিয়ামতের অভিভাবক! হে আমার বিপদের আশ্রয়দাতা! আপনি তাঁর ক্রোধকে আমার জন্য শীতল ও শান্তিময় বানিয়ে দিন, যেমনিভাবে আপনি আপনার প্রিয়বন্ধু হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর জন্য আগুন শীতল ও শান্তিময় বানিয়েছিলেন।’’ (সমাপ্ত)


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৬৩ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now