বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মেয়ে: আচ্ছা আপনি এতো কালো কেন?যানেন
কালো ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করে না
.
ছেলে: হুম যানি
.
মেয়ে: আচ্ছা আপনার কষ্ট হয়না আপনি যে
কালো?
.
ছেলে: না আগে কষ্ট হতো, অনেক ঘৃণা আর
অভিমান হতো নিজের গায়ের রঙ এর প্রতি,
এখন আর হয় না
.
মেয়ে: কেন?
.
ছেলে: আমার কিছু হিরু টাইপের বন্ধু ছিল।সেই
বন্ধুরা যখন তাদের সুন্দর সুন্দর গালফ্রেন্ড
নিয়ে ঘুরত,তখন আমার ভীষণ কষ্ট হতো।
ভাবতাম আমার কেন কোন গালফ্রেন্ড নাই,
আমিও তো ভালবাসতে পারি, আমারও তো
আর দশ'টা মানুষের মতো মন আছে, তবে
কি আমি কালো তাই। মানুষের গায়ের
রংটাই কি সব হৃদয়ের কি কোন মূল্য নেই।
.
মেয়ে: তারপর
.
ছেলে: তারপর আমার সেই বন্ধু গুলো যখন তাদের
রুপ দেখিয়ে একের পর এক মেয়েদের
সাথে প্রেমের নামে নোংরামি শুরু করল।
তখন আমার আফসোস হতে লাগলো সেই সব
মেয়েদের প্রতি। যারা রুপ দেখে প্রেমে
পরে যেতো এবং তাদের মূল্যমান সম্পক্তি
অনায়াসে বিলিয়ে দিতো, প্রেমেরনামে
নোংরামিতে। আফসোস হতে লাগলো সেই
সব ছেলেদের প্রতি, যারা রুপের
মোহেপরে নেশার জগতে ডুবে যাচ্ছে। অথচ
তারা একবারও চিন্তা করে না যে বাবা
মা তাদের এতো কষ্টকরে লালন পালন করে বড়
করেছে, সেই বাবা মাকে তারা কতটা
কষ্টের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা কি
একবারও চিন্তা করে না, যে ভুলগুলা
তারা হসিমুখে করে যাচ্ছে সেই
ভুলের জন্য একদিন চিক্কার করে কাঁদতে
হবে, সেইদিন হয়তো কান্না শুনার মতো
পাশে কেউ থাকবে না। যে ছেলেটা মেয়েদের
সরলতার সুযোগ নিয়ে তার মনের নোংরামি
ঢালছে, সেই ছেলেটা কি কখনো চিন্তা করে
দেখেছে তারও একটা আদরের ছোট বোন
আছে,তারসাথেও এমনটা হতেপারে। যে
মেয়েটা বান্ধবীদের চোখে বড় হওয়ার জন্য
সরল ছেলেটার জীবন নিয়ে
ছিনিমিনি খেলছে সেই মেয়েটা কি
কখনো ভেবে দেখেছে তারও একটা ভাইয়া
আছে। তার জীবন নিয়েও কেউ ছিনিমিনি
খেলতে পারে।।
.
মেয়ে: তারপর
.
ছেলে: এসব নোংরামি দেখারপর আমার গায়ের
রঙটাকে আসতে আসতে ভালবাসতে শুরু
করলাম। আমার মনে যে পবিত্র ভালাবাসা
আছে সেই ভালবাসাকে শ্রদ্ধা করতে
শিখলাম। এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া
আদায় করতে লাগলাম। কারণ আমি যদি
আমার বন্ধুদের মতো হতাম হয়তো আমার
দারাও পবিত্র ভালবাসাটা নোংরামি
হতে পারতো। তাই প্রতিজ্ঞা করলাম
কখনো আমার পবিত্র ভালবাসা নোংরা
হতে দিবনা। জানো নিধি আমি যখন মন
খারাপ করে থাকতাম। তখন মা বলতো মন খারাপ
করিস না। মহান আল্লাহ পাক তোরে যেমন
ভাবে সৃষ্টি করেছে সেটা নিয়েই শুকরিয়া
আদায় কর। দুনিয়াতে অনেক মানুষ আছে,
যাদের হাত নেই, পা নেই, চোখ নেই।
আল্লাহ্পাক তো তোরে সয়ন সম্পূর্ণ করে
সৃষ্টি করেছে। তো কষ্ট কিসের। আর গায়ের রঙ সাদা দিয়ে
কি হবে যদি মনের রঙ ই কালো থাকে। আমি
জানি কেন তোর মন খারাপ, শুন বাজান
ক্ষনিকের ভালবাসা সুখের চেয়ে দুঃখ
বেশি। ধৈর্য ধর ধৈর্যের ফল অনেক মিষ্টি
হয়।
.
ছেলে: নিধি তুমি কাঁদছো কেন?
.
মেয়ে: জানেন আমি সবসময় ভাবতাম, যদি এমন
একটা জীবনসঙ্গী পেতাম যার মন
হবে আকাশের মতো বিশাল। সেই আকাশে
থকবে না কোন কালো মেঘ, থকবে না
কোন ঝড়, থাকবে শুধু সুখ আর অসীম
ভালবাসা। আমি পয়ে গেছি আমার মনের
মতো জীবনসঙ্গী কে। জানেন নিজেকে না অনেক
ভাগ্যবতী মনেহচ্ছে কারণ আপনার মতো
একটা স্বামী যে আমি পেয়েছি।
.
ছেলে: নিধি জানি না তুমি তেমার মনের মতো
জীবনসঙ্গী পেয়েছো কিনা, তবে
আমি আমার ধৈর্যর ফলটা পেয়ে গেছি। যে
ফলটা অনেক মিষ্টি।
অত:এব আমি আমার সেই বন্ধুদের উৎসর্গ করেদিলাম
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...