বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কষ্টময় ভ্রমন কাহিনী

"ভ্রমণ কাহিনী" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(guest) (০ পয়েন্ট)

X জীবনে ঘুরাঘুরির সখটা ছিলো অনেক বেশি তাই সময় বা সুযোগ পেলে বেরিয়ে পরতাম ভ্রমনে। অনেক ভ্রমনের মাঝে একটা কষ্টকর ভ্রমন বলতে যাচ্ছি। গরিব ঘরে জন্ম বলে বিলাসিতা ভ্রমন সম্ভব হয়নি অল্প টাকা দিয়ে অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি তার মাঝে একটা জায়গা হলো কক্সবাজার। সময়টা ছিলো ২০১৫ সালে শেষের দিকে কক্সবাজারে আমার একটা বন্ধু পরাশোনা করত তাকে বললাম বেরাতে যাবো ও বলল আসো সমস্যা নাই। এই একা যাওয়া সম্ভব নয় তাই আরো ২টা বন্ধুকে বললাম চল ভ্রমনে যায় ওরা রাজি হলো কিন্তুু সমস্যা হলো ওরা দুইজনই বাহিরে লেখাপড়া করে তাই এক সাথে বাহির হওয়া সম্ভব হলো না সপন নামের বন্ধু থাকে বরিশাল আর খোকন নামে বন্ধু থাকে লক্ষীপুর জেলা তে সপন বলল একটা কাজ কর তুই বরিশাল আয় তারপর এখান থেকে লক্ষীপুর খোকন এর কাছে যাবো পরদিন কক্সবাজার সোজা ব্যপার কিন্তুু সমস্যা এখান থেকে শুরু। আমার ধারনা ছিলো না যে কত টাকা লাগতে পারে তাই ২৫০০ টাকা নিয়ে ওর কথা মত রওনা হলাম বরিশালের পথে মাঝেমাঝে সপন খোজ নিত কোথায় আছি ফরিদপুর পার হতেই সপনের ফোন ও বলল মাদারীপুর নামতে কারন ও মাদারীপুর আসছে ওখান থেকে চাদপুর ফেরি পার হয়ে খোকনের কাছে যাবো মানে লক্ষীপুর যাবো। ওর কথা মত নামলাম তখন বেলা ৩টা মাদারীপুর নেমে হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া সেরে সপনের জন্য বসে রয়লাম ওর আসতে ৫টা বেজে গেলে আসার পর ওর বক্তব্য হলো গুগল ম্যাপ আনুযায়ী যাবো বেশি সমায় লাগবে না কিন্তুু ব্যাপার যে সহজ না এটা বুজলাম মাদারীপুর ভেদরগন্জ এসে কোন গাড়ি যাবে না চাদপুর। মোটরসাইকেল যাবে কিন্তুু ভাড়া ৮০০ টাকা এটা কোন ডাকাতি কিনা বুঝলাম না যদিও দিনের বেলা ভাড়া ৮০ টাকা মাএ উপায় না পেয়ে ৬০০ টাকায় চললাম চাদপুর ফেরী ঘাট ঐখান থেকে জাহাজ উঠলাম ৮০ টাকা ভাড়া ১০টায় ছারলো জাহাজ তারপর নামলাম ওখান থেকে লক্ষীপুর যাবো কিন্তুু দশটা পর কোন সিনজি জাবেনা কোন রকম ভাবে রাজি করালাম একজনকে ৫০০ ভাড়া এদিকে টাকা প্রায় শেষ আমার কাছে তারপর লক্ষীপুর গেলাম কিন্তুু সমস্যা খোকনের কাছে পৌছাতে পারলাম না। ১টার সমায় কোন হোটেল ও নাই হোটেল থাকলেও টাকা কম কি করবো বুঝছি না সপন মাএ ১০০০ টাকা নিয়ে বাহির হয়ছে সারা রাত রাস্তা দিয়ে ঘুরলাম সকাল বেলা বাসে করে আবার ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে আসলাম এখান থেকে খোকন নিয়ে গেল। রাতে ঘুমাতে না পেরে আবস্হা খারাপ সেদিন কার মতে ঘুমালাম খোকনের বাসায়। টাকা কম তাই বন্ধু দের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করলাম। পরদিন বের হলাম কক্সবাজার এর উদ্দেশে লক্ষীপুর থেকে চট্রগ্রাম তার পর কক্সবাজার সবার কাছে মাএ দু হাজার করে টাকা ছিলো কক্সবাজার যেতে যেতে রাত হয়ে গেল পরদিন বেরানোর পালা যার বাসা গেছি তার খরচ সহ আমাদের বহন করতে হচ্ছে মানে মরারে অারো মারা ওর বাসায় কোন রান্না চলেনা এবং কোন টাকাও নাই ওর কাছে তাই ওকে সহ আমাদের খাওতে হয় এমন আবস্হা যে টাকার অভাবে ১দিন না খেয়ে থাকলাম পেটে ভাত না থাকলে কিছুই ভালোলাগেনা থাকার একটা জায়গা আছে বলে ঘুমাতে পারছি টাকা না থাকার কারনে হেটে হিমছড়ি লাবনী বীচ উইনানী সিটি পার্ক সব ঘুরলাম ৪ দিনে মনে হয় ৫ কেজি ওজন কমে গেছে এরকম ভ্রমন কে সঙ্গীকরে বাড়ির পথে রওনা হলাম। পরে সবাই আবার মাএ ১০০০ টাকা দিয়ে বাড়ি আসছিলাম যেখানে মিনিমাম ৩ জনের ৪০০০টাকা খরচ হতো। আসার ঘটনা পরে অন্য এক দিন বলবো।আরো কষ্টময়।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৭১৮ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now