বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
খুব সাধারন একটা পরিবারে জন্ম নিয়েছিলাম। তবু ও বাবা কখনো কষ্ট কি বুঝতে দিত না। সাদ্য মত আমার সখ পুরন করত। ভাই বলতে আমি একা ছিলাম তাই বোনরা প্রচুর আদর দিত আমাকে। অল্প বয়সে আমি বেশি দুষ্ট ছিলাম তাই মেয়েদের সাথে একটু বেশি ঝগড়া করতাম কিন্তু বুঝতে পারি নি যে এত অল্প বয়সে কারো প্রেমে পরে যাবো।' সেখান থেকে মনে হয় কষ্ট শুরু মেয়েটার নাম সোনিয়া খুব সুন্দর ছিলো। তাই ভালো লাগতে বেশি সময় লাগেনি। আমার বয়স যেহুত কম ছিলো ওর বয়স আরো কম। একদম বাচ্ছা মেয়ে ১৩ বছর হবে হয়তো। ভালোবাসা কি সেটা বুঝতাম না কিন্তুু দুজন দুজনের যে খুব ভালো লাগতো এটা ভালো ভাবে বুঝতাম। আমার টাকার দরকার হলে আমাকে দিত ওর কিছু দরকার হলে আমাকে বলতো। মাঝে মাঝে অভিমান করতো অভিমান ভাঙ্গাতে আমার অনেক কষ্ট হত। তবু ভালো থাকতাম দুজন। হঠাত সুনলাম ওর বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছে ওর বাবা ওকে বিয়ে দিবে। ও বিয়ে বসতে রাজি না আমাকে বলল ওকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে কিন্তুু আমি সাহস পাচ্ছিলাম না। কিন্তুু পরিস্থিতি র সিকার হয়ে ওকে নিয়ে আসলাম ঢাকায় আপু দুলাভাই এর বাসায়। কিন্তুু তারা প্রথমে ঝামেলা করলেও পরে মেনে নিলো বয়স কম বলে মওলানার দারা কলেমা পরে বিবাহ করলাম দুজন বেশ কিছুদিন ঢাকায় থাকার পরে আমরা চলে আসলাম বাড়িতে। আমার পরিবার আমি মেনেজ করলাম কিন্তুু ওর বাবা রাজি না। তাতে আমার কিছু সমস্যা হয়ে ছিলো কিন্তু আমার পরিবার সেটা সমাধান করেছিলো। সুখে দিন কাটছিলো। আমি ওকে চুল অাসরে দিতাম মাথা টিপে দিতাম শারি পরতে জানতো না শারি পরিয়ে দিতাম। কত সুখ যে ছিলো বুঝাতে পারবো না। বিয়ের ১ বছরের মাথায় আমাদের কোল জুরে আসে ফুটফুটে মেয়ে জুহা কি যে অনন্দ মেয়ের সাথে সমায় কাটাতাম সারাদিন। কাজ কাম কিছু করি না মেয়ের সাথে খেলা করতাম আর খেয়ে দেয়ে দিন কাটাতাম। বাবা কিছু বলতো না বলে কিছু করতাম না। কিন্তুু কষ্টটা হয়তো বাসা বাদছিলো বুঝছিলাম না। মেয়ে প্রাতি পাগল ছিলাম তাই বউটার প্রতি একটু ভালোবাসা কমে গিয়েছিল। কিন্তুু বউটা যে এই কারনে হারিয়ে যাবে বুঝতে পারি নি একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাজারে গিয়েলাম বাড়িতে এসে দেখি সোনিয়া ঘরে নাই অনেক খুজাখুজির পর জানতে পারলাম আমার পাশের বাড়ির ছেলের রাকিবের সাথে বেড়িয়ে গিয়েছে। ভাবলাম কোন দরকারে হয়তো বাহিরে গেছে কিন্তুু সকাল গরিয়ে বিকাল তারপর সন্ধ্যা তারপরদিন ও আসলো না সোনিয়া তখন যা বুঝার বুঝে নিলাম আমি আমার মেয়ের কপাল পুরেছে। যাকে এত ভালো বাসলাম সে আর নাই ভাবলেই দু চোখে জল আছে আমার চেয়ে আমি মেয়ে কথা বেশি ভাবছি। সোনির বাবা আমাকে হুমকি দিয়েছে কেস করবে কারন মেয়ে তারা আমার হাতে তুলে দিয়েছে। রাগের কারনে আমাদের সাথে কথা বলে নি কিন্তুু যখন শুনেছে মেয়ে হারিয়ে গেছে তখন মাথা গরম সাভাবিক। বেশ কিছু দিন চলগেল। সেই ছোট মেয়েকে আজও তার মার ভালোবাসা দিয়ে বড় করছি। আমি আমার আদরের জহি মামুনির জন্য আজও বিয়ে করিনি। আমার মামুনিকে নিয়ে আজও বেচে আছি। কষ্ট হয় ভাবতে সোনিয়ার জন্য কেমন করে ভুলে থাকে ওর নিজের মেয়েকে। আমার মেয়ের বয়স এখন ৭ বছর। শুনলাম সোনিয়া নাকি কাল তার নতুন শশুর বাড়িতে আসতেছে কারন এখন আর তোমন জামেলা নাই। সেই জন্য হয়তো আসছে। জানিনা মেয়ের কথা ওর মনে আছে কি না। সামনে পরলে হয়তে পাগল হয়ে যাবো। তাই ঘর থেকে বাহির হয় না।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now