বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গল্প : #খালি_ওই_খানেই_ক্যান_চিপ্পা_লাগে !!!
Writer : Pantha Shahria !!!
- আমি বুঝিনা.. দুনিয়াতে কী ?
আমি পয়দা হইছি খালি ওই
জায়গাতে চিপ্পা খাওয়ার লাইগাই।
দিন নাই রাত নাই একটু অসেচেতন
হইলেই হইছে..
একদিন এক ফ্রেন্ড এর বাসাই
গেছি...
রাতের বেলা খাওয়া দাওয়া
কমপ্লিট করে... শুয়ে আছি
দুই জন মিলে...।
- মামা তুই একটু শুয়ে থাক আমি
হিসি করে আসছি...
হেব্বি চাপছে।
- ঠিকআছে যা... (সজিব)।
- ওহহহহহহহহহহহ... মুতাই
যে কীইইইই শান্তি..
মুতার সময় বুঝা যায়..
সব শান্তি মতো হইছে.. তবে টয়লেটে
যে সবাই কেনো ফ্যান এর ব্যবস্থা
করে না সেটাই বুঝি না...
আমি তো টয়লেটে তৈরির আগেই
ফ্যান কিনে নিয়ে আসমু।
নব্বই ভাগ শান্তির সাথে যদি
ফ্যান লাগাই আরো দশ ভাগ
শান্তি প্লাস করে একশো করা যায়
তাঁতে ক্ষতি কী?
বরং শান্তিটা তো আরো বাঁড়বে।
এই সব ভাঁবতে ভাঁবতে নিচের
কথা ভুইলাই গেছি..
আর প্যান্টের চেইন টা ধরে যেই
না দিছি টান....
আহহহহহহহহহহহহহহহ....
ওমনি ভাই আসল জায়গায় ফিট হয়ে
গেছে...
না পারতেছি উপরে তুলতে আর
না পারতেছি নিচে নামাইতে....
দুনিয়া একদিকে আর ওইটা এক
দিকে...
খোঁলা জায়গায় হলে তো জোঁরে
জোঁরে চিল্লানি দিতাম..
তাঁর মধ্যে আবার ফ্রেন্ড এর বাড়ি..
বাসার সবাই কী ভাঁববে..
এত বড় পোলা আর প্যান্টের চেইন
লাগাইতে পারে না।
আর এমন ও জায়গা কাউকে দেখানো
ও যাবে না ...
দেখামু কেমনে নড়তেই তো পাড়ছি
না....
এই দিকে মোটামুটি ২০ মিনিট পার
হয়ে গেছে...
এখানে ডক্টরের কোন অবস্থান
নাই..
নিজেকেই ডক্টর হতে হবে...
কিন্তুু তো আসল জায়গায় হাত
দিতেই পারছি না..
মুসলমানি করানোর পর যখন
একটু ও নরবার মতো
অবস্থা থাকে না ঠিক তেমন
অবস্থা....
এর মধ্যে সজিব এসে দড়োজাই
টোকা দিচ্ছে...
কপাল ভালো ছিটকিনি লাগাই
দিছিলাম..।
- সাহরিয়া.. ঐ সাহরিয়া
সালা তোর হিসি দিতে এত টাইম
লাগে... তাঁড়াতাড়ি বের 'হ' আমি
ও যামু।
- গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না...
আস্তে আস্তে বললাম ভাই একটু
দাঁড়া।
- কীরে ভেঁতরে কী কোন প্রবলেম
হয়েছে নাকি... দাঁড়া আব্বা আম্মুকে
ডাকছি।
- ভাই কোন দরকার নাই একটু
বুঝ.... কিন্তুু কে শুনে কার
কথা...।
সজিব এর বাবা মা উঠে আসলো।
- কীরে কী হয়েছে ডাকছিস কেনো (ওর বাবা)।
- বাবা সাহরিয়ার মনে হয় টয়লেটের
মধ্যে কোন প্রবলেম হয়েছে... জোঁরে
কথা বলতে ও পারছে না।
- বলিস কী?
এই কথা শুনে আংকেল আবার
ডাকাডাকি শুরু করলো..।
- যেমন দু টানার মধ্যে পড়ছি দূর..
হারামজাদা সজিব্বা তোরে
লাথি দিয়া মাইরা ফ্যালামু...
এখন মেজাজ টা কেমন লাগে
সবাই মনে করবে কী দড়োজাটা
খোলার পরে।
আংকেল কিছুক্ষণ ডাকাডাকি
করার পরে
বলতেছে অবস্থাতো সিরিয়াস।
- দেখো দেখা ছেলে আজকেই নতুন
আসলো... এখন যদি কিছু
হয় সবাই কে কী বলবো.. (ওর মা)।
- সজির আর ওর বাপ মিলে
দরোজাটা ভাঙ্গার জন্য জোরে
জোরে ধাক্কা দিচ্ছে..
আর এক একটা ধাক্কা শুনে আমার
বুকটা ও কেঁপে কেঁপে উঠছে।
সালার যেমন মসিবতের মধ্যে পড়ছি,
হঠাৎ ছিটকিনি টা চটাস করে খুঁলে
গেলো...
আর ওমনি নিজের অজান্তেই
চেনটা উপর দিকে উঠাই ফেললাম..
যে টুকু সম্মান ছিলো... সব গেলো,
ভেঁতরে ঢোকা মাত্রই সজিবের
বাপ তরিঘড়ি করে চলে গেলে।
আমার ও তো সেই লেভেল এর সরম
লাগছে...
যতই আমার সরম লজ্জা কম হোক
তবু ও...।
সজিব রে শুধু বললাম.. তুই
খালি রুমে আয় বলে আমি
রুমে চলে আসলাম।
একটু পরে সালা হারামিটা
আসলো।
- ঐ সালা কুত্তা... তোরে এমন
ম্যানেজারি করে তোর বাপ মা রে
ডাকতে বলছে কে হুমমমম।
- ভাই আমি তো ভাবছি তোর কোন প্রবলেম।
- আগে তো সব কিছু শুনবি বুঝবি
নাকি....
- আচ্ছা আসল ঘটনাটা কী হইছিলো
বলতো।
- আরে ভাই চেনটা খুলে হিসি
দিতেছি.. আর সব আজাইরা
চিন্তা করতেছি।
আর হিসি করা শেষ হয়ে গেলে
যেই চেনটা উঠামু ওমনি..
আসল জায়গা চিপ্পার মধ্যে পরে
গেলে।
- ঐ হারামি তোরে এমন মুতার
সময় আজাইরা চিন্তা করতে
কে বলছে।
- চুর সালা এখন.. কোন মুখে আমি
তাঁদের সামনে এখন যামু।
- তোর আবার লজ্জা সরম হইলো
কবে থেকে।
- লজ্জা সরম নাই ঠিকআছে
কিন্তুু ইজ্জত বলে একটা জিনিস
আছে সেটা তো আছে নাকি।
দেখ আংকেল আন্টি আবার কী
ভেঁবে বসে আছে কে জানে।
- আচ্ছা চল দরোজাই কান লাগাই
শুনি ওনারা কী বলা বলি করছে।
- হারামজাদা নিজের বাপ মায়ের
দরোজাই কান লাগাই শুনবি ওনারা
কী বলছে.... তুই কোন লেভেল এর
হারামি বলতো।
- তোর থেকে একটু নিচের লেভেল
এর.... চল এবার।
- হুমমমমমমমমম চল...।
দরোজাই কান রাখতেই শুনি..।
- আজকালের ছেলেরা
মোবাইল নিয়ে টয়লেট এ গেলে
কেনো এত দেরি করে সেটা আজকে
ক্লিয়ার হলো... ছি ছি ছি....(সজির
এর মা)।
- সজির এর মাথাই একটা গাট্টা মারলাম,
দেখছোস হারামজাদা তোর
জন্য.. খালি তো জন্য
আমারে কী সব ভাবতেছে...
আর আমি তো মোবাইল নিয়েই
যাই নাই।
- আরে ভাই রাগ করিস না...
মেয়ে মানুষ না... বেগুন কে
বেল বানাবে এটাই স্বাভাবিক।
তার পরে আর কী পরের দিন
সকালে উঠেই বাড়িতে দৌঁড়..
ওর বাপ মায়ে সামনে পড়লে
কীইইইই সরমটাই না লাগতো।
পরে সজির এর মুখে শুনছিলাম..
ওই নাকি ওর বাবা
মাকে সব সত্যি কথা বলে দিছিলো,
সেটা শুনার পরে নাকি সবাই
কীইইইই হাঁসি... এর পরে
থেকে আর তাঁদের বাসাই যাইনি।
যখন তখন এমন প্যান্টের চেন
ওই খানে আটকাই দেখে...
যেই প্যান্ট এর চেনের জায়গায়
বোতাম থাকে ওই সব প্যান্ট
কিনি...
কিন্তুু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের
কাছে আমি ও ঠিকে থাকতে
পারলাম না...
এত সতর্ক সচেতনতা অবলম্বন
করার পরে ও আমি বিফল...।
একদির তরিঘড়ি করে কলেজে
যাওয়ার সময়... ভুলে চেইন ওয়ালা
প্যান্ট টা পড়ে যাই....
ক্লাস শেষ করে হিসি করতে
গেলাম...
আমাদের ছেলেদের টয়লেটের
উপরে বড় একটা ছিদ্র আছে...
দাঁড়াই দাঁড়াই হিসি করার সময়
ওই খান দিয়ে পুরো রাস্তা দেখা
যায়... কে যাচ্ছে কে আসছে সব...
হঠাৎ সামনে দেখি.. একটা সুন্দরি
রমনী আসছিলো..
ওমা এতো তুবা আপু... তাই
তো বলি... তুবা আপু ছাঁড়া
এমন সুন্দরী রমনী এই এলাকাই
আর একটা ও না..
তুবা আপু চলে যাওয়ার চলে গেলো...
এই দিকে কাজ ও কমপ্লিট...
হকাত করে চেনটা যেই না
লাগাইছি ওমনি.. মাথা থেকে
সকল সুন্দরী আপুদের ভুত উধাও।
আমি বুঝিনা এই চেন ওয়ালা
প্যান্ট পড়ে যখনই হিসি করি,
ওমনি সব আজাইরা চিন্তা কই
থেকে যে উঁড়ে আসে,
আর ওই আজাইরা চিন্তার মধ্যে
ঢুকে যেই না চেইন টান দেই..
ওমনি লাইন চ্যুত হয়ে গড়ি
অন্য লাইন এ চলে যায়...
এই হালেই আমার মিত্যু
না মারে মৃত্যু অনিবার্য বুইঝা
ফেলছি...।
সোনা বাবু লক্ষীটা আমার ভালই
ভালই খুলে যাও.... আর
জিন্দেগিতে ও হিসি করার সময়
আজাইরা চিন্তা মাথাই আনমু না...
সেদিনের মতো আল্লাহ্ তায়ালার
রহমতে ভালো ভাবেই খুলে
গেছিলো....
তার পরে থেকে হিসি করার সময়,
এখন নিচের দিকে তাঁকাই
চেইন টান দেই।
আমাদের হগলের নিচের দিকে
তাঁকাই চেইন টান দেওয়া দরকার,
তা না হলে কিচ্ছু বলার নাই...
ট্রেন লাইন চ্যুত হইলে এমনি
টের পাইবে..... হি হি হি।।।
ইতি... টাটা।
>>সমাপ্তThe End
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
SushMitA
User ৩ বছর, ৮ মাস পুর্বেশেষ পৃথিবি
User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেSayaan Islam
User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেDREAM GIRL
User ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেমিথিলা জান্নাত রিয়া
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেSara
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেইফতি
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেNur
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেmim
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বে