বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
গ্রামে যদিও "হাজাম" বাড়িতে এসে মুসলমানি করায়
কিন্তু এটা শহর বলে কথা, এখানে সাধারণত "ডাক্টার"
দিয়েই মুসলমানি করানো হয়। পাশের বাড়ির এক
আন্ট্রি আমায় সাথে নিয়ে গেলেন তার দুই
ছেলের মুসলমানি করাতে ডাক্টারের কাছে। সাথে
তার বড় মেয়ে। বড় মেয়ের নাম "ফাতিহা" (ছদ্মনাম)।
ইন্টার ১ম বর্ষে পড়াশুনা করে। আর দুই ছেলের
মধ্যে বড় ছেলের নাম তাসিন। বয়স ৬ বছর।
ছোটটার নাম তাহমিদ, সবে ৫ বছরে পা
দিয়েছে......
.
তো, ডাক্টারের কাছে গিয়ে বললাম- ডাক্টারসাব
ছোটভাই দুটোকে নিয়ে এলাম মুসলমানি
করাতে......
.
ডাক্টার বললো- একটু বসুন হাতের কাজটা সেরে
আসি এবং তার সহকারীকে বললেন, আব্দুল সব
কিছুর ব্যবস্থা করো আমি আসছি....
.
- জ্বী স্যার।
.
ডাক্টার চলে গেলেন বাহিরে এবং তার সহকারীও
উঠে পরে লাগলেন সব কিছুর ব্যবস্থা করতে।
কেচি-মেচি,সুতা,সুই ইত্যাদি অর্থাৎ যা যা প্রয়োজন
হয় সম্পদ কাটতে। মুসলমানির কথা শুনে এতক্ষণ যাবৎ
দুই ছেলের মধ্যেই টানটান উত্তেজনা বিরাজ
করছিলো। বড়জন বলছিলো- আমি আগে মুসলমানি
করবো, তো ছোটজন বলছিলো- নাহ। আমি
আগে করবো। এ নিয়ে চললো বেশ কিছুক্ষণ
তুমুল ঝগড়া। এদিকে রেফারির ভূমিকা পালন করে
আন্ট্রি দুজনকে সামলানোর বৃথা চেষ্টা করছিলো-
আস্তে বাবা আস্তে, দু জনেরই হবে....
.
কিন্তু কে শুনে কার কথা? দুজনে তো মারামারি শুরু
করে এমন অবস্থা। দর্শক হয়ে আমি এদের কান্ড
দেখে মিটমিট করে হাঁসছিলাম আর মনে মনে
বলছিলাম- বুঝবা শুনা বুঝবা। একটু পরই বুঝবা যখন
সয়সম্পদ সব কাটা হবে তখন হাড়ে হাড়ে টের
পাবা....
.
টানটান এই উত্তেজনায় এদের হাফভাব দেখে
স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিলো- মুসলমানি কিই না বুঝি মজার জিনিস।
কিন্তু সুই সুতা ইঞ্জেকন্সন দেখার পর পরই
বেচারাদের চেহারা বদলে গেছে। বেলুনের
মত চুপসে গিয়ে চুপ করে বসে আছে। কেউ
কোনো টু শব্দও করছে না...
.
তো, কিছুক্ষণ পর পরই ডাক্টার মশাই আবার ফিরে
এলেন চেম্বারে। এসেই বললেন- আব্দুল সব
রেডি করছো তো?
.
- জ্বী স্যার রেডি....
.
ডাক্টার মশাই এবার বললেন- চলো বাবারা শুরু করি।
বলো কে আগে করাবে?
.
কিন্তু বেচারাদের কেউ-ই দেখি যাবেনা। একজন
অপরজনকে খোচা মেরে মেরে বলছে- তুই
যা, তুই যা.....
.
ডাক্টার এদের হাবভাব দেখে মুচকি হেঁসে
বললো- ভয় নেই, একদম ভয় নেই। অনেক মজা
পাবে......
.
কিন্তু নাহ। কেউই রাজি না। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে
লোভ দেখিয়ে অবশেষে বড়জন "তাসিন"কে
রাজি করানো হলো। ডাক্টার তাসিনকে নিয়ে
গেলেন পাশের রুমে, সাথে ঢুকলাম আমিও।
ওটাকে বেডে শুয়িয়ে চোঁখ বন্ধ করে
ধরলেন সহকারী। সাথে আমাকে বলা হল, হাত পা
শক্ত করে চেপে ধরতে যেন নড়াচড়া করতে না
পারে। ধরলাম। এবার ডাক্টার মশাই এক টানে বেচারা
তাসিনের প্যান্ট খুলে ফেলতেই সম্পদ লাফ
মেরে বেড়িয়ে পরে জানান দিলো- আমি এই
যে.....
.
মনে হল ডাক্টার মশাই বেচারার সম্পদকে ঝাড়ি দিয়ে
মনে মনে বললো- খ্রা তর এই যে ছুটাইতাছি
বলে, ঘেচাং করে সম্পদের মাথায় দিলো চিউ
করে সুই ঢুকিয়ে। অমনি বেচারা তাসিন কোৎ করে
উঠে শুরু করলো চিৎকার- ওরে মমমমমমমারে.....
.
চিৎকার করে কি আর নিস্তার আছে? দাঁতে দাঁত
কামড়ে আমিও ধরলাম আজরাইলের মত জোরে
ঠেসে- সালা এতক্ষণ তো ভালোই ফূর্তিতে ছিলি।
আমি আগে করাবো আমি আগে করাবো করছিলি।
এখন চিল্লাস ক্যান? বুঝ এবার ঠেলা.....
.
ওহ তো হাত পা ছুড়ে অস্থির। সাথে ভ্যা ভ্যা তো
আছেই- মইরা গেলামরে। ওরে মা, ওরে বাবা। বাচাও
আমারে, ওমা ও বাবা....
.
ডাক্টার ওদিকে কান না দিয়ে ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ করে সম্পদ
কাটায় ব্যস্ত হয়ে পরলেন। অল্পকিছুক্ষণ পর
বেচারা একটু শান্ত হলো। বুঝা গেলো- ব্যথাটা
অবশ হয়ে এসেছে। এখন আর লাগছে না।
এদিকে আবার পাশের রুম থেকে ছোটো
জনের কান্নার আওয়াজ ভেঁসে আসছে- ওহ আম্মু
আমি মুসলমানি করাবো না। দেখছো ভাইয়াকে
মারছে। আমায়ও মারবে। ওহ আম্মু বাড়ি চলো। আমি
বাড়ি যাবো। ভ্যাএএএ...
.
আন্ট্রি ওটাকে বুঝাচ্ছে- মারছেনা বাবা মারছেনা।
ওমন একটু একটু ব্যথা লাগবেই পরে ঠিক হয়ে
যাবে.....
.
বুঝলাম- বেচারা তাসিনের চিল্লানি শুনে ভয় পেয়ে
গেছে। হয়তো বুঝতে পারছে এ ঝড় অল্প
কিছুক্ষণ পর ওর উপর দিয়েও অতিক্রম করবে।
কিন্তু চাইলেই কি আর রেহায় পায়?
.
যাইহোক, বড়জনের কাটাকাটি শেষ করে সেলাই
মিলাই দিয়ে বাহিরে নিয়ে এলাম। এবার ছোটো
জনের পালা। কিন্তু নাহ। ছোটোজন ভ্যাভ্যা করতে
করতে দুনিয়া মাথায় তুলে নিয়েছে। মুসলমানি করাবে
যে না। অনেক করে বুঝালাম- ভয় নেই, কিচ্ছু
হবেনা। লাভ হলো না। সহ্যের সীমা পার হলে
রাগে রক্ত মাথায় উঠে গেলে দিলাম এক ঝাড়ি- চুপ
সালা। তুই তো করাবিই তর বাপও করাবে....
.
কথাটা শুনে আন্ট্রি আমার দিকে আড় চোঁখে
তাকিয়ে পরলো। আমিও লজ্জায় মুখ অন্যদিকে
ঘুরে জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললাম- কাম সাড়ছে। আয়
হায় কইলামডা কি?
.
তবে ঝাড়িতে ঔষধের মত কাজ করলো। বেচারা
চুপ করে ফুঁপাতে ফুঁপাতে কানতে শুরু করলো।
ওর অবস্থা দেখে আমিই আবার কাছে গিয়ে মাথায়
হাত বুলিয়ে বললাম- ভয় নেই। একদম ভয় নেই।
চলো আমি থাকবো তো তোমার সাথে....
.
বেচারা ফুঁপাতে ফুঁপাতে নাকের পানি চোঁখের পানি
এক করে বললো- করাবো। আমি করাবো। তয়
পরে আমি.....
.
ডাক্টার জিজ্ঞেস করলো- পরে কখন?
.
হেতি ওর বোন ফাতিহার দিকে আঙ্গুল দিয়ে
বললো- আগে আপু, এরপর আম্মু তারপর আমি
করাবো.....
.
কথা শুনে মাথায় তো আঁকাশ থেকে পরলাম- হায় হায়
আব্বে কয় কি হালায়? ডাক্তার মশাইয়ের চোঁখও
যেন রসগোল্লা। সেও আমার মত মুখ ভ্যাটকিয়ে হা
করে চেয়ে আছে। অন্যদিকে ফাতিহা আর
আন্ট্রিতো পুরাই আবুল-বললোটা কি হারামি?
.
কিছুক্ষণ এভাবে একে অপরের চোঁখাচুখি হওয়ার
পর এক পর্যায়ে আন্ট্রি লজ্জা ঝেড়ে বললো-
বাবা আমরাতো আগেই করছি। আজ তুমি করো....
.
হেতি উল্টা জেদ ধরে হাত দিয়ে নাকের ঘি ডলা
মেরে লেপ্টে দিয়ে বললো- আজ আবার করা
লাগবে নয়তো আমি করবোনা.......
.
অনেকক্ষণ আরো বুঝানো হলো। কিছুতেই
কিছু হলোনা। ওর এক কথা এক দাবি- আপু আর
আম্মুকে আগে মুসলমানি করতে হবে নয়তো ও
করবে না। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে আন্ট্রি ঘ্যাৎ
করে ওর পিঠে কসে চর একটা বসিয়ে দিয়ে
বললো- চল হারামির বাচ্চা তর মুসলমানি করা লাগবেনা....
.
অমনি আবারো কোৎ করে উঠে শুরু করলো
চিল্লানী- ভ্যাএএএএএএএএএ
.
অতঃপর কি আর করার? অবশেষে ওরে মুসলমানি না
করিয়েই আন্ট্রিদের বাসায় সবাইকে পৌছে দিয়ে
আসার সময় ফাতিহার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম-
কি ব্যাপার ম্যাডাম? তোমার মুসলমানি হল অথচ আমি
জানলাম না আর দাওয়াতও দিলানা। কামডা কি ভালো
করছো?
.
ফাতিহা রাগে লাল হয়ে বললো- ঐ ফাজলামি বাদ দাও।
ওহ ছোটো মানুষ ওত কিছু বুঝে নাকি? যাওতো
যাও। বাসায় যাও, বলে খটাশ করে দরজা লাগিয়ে
দিলো। অতঃপর আমি আমার বাসায় এসে পাক্কা এক
ঘন্টা বিছানায় হাত পা ছুড়ে গড়াগড়ি খেয়ে হাঁসতে
হাঁসতে বললাম- আল্লাহ্ তুমি বাচাইছো আমায়। ভাঙ্গিস
আঙ্গুলটা আমার দিকে উঠে নাই। তাইলে যে সাড়ে
সব্বনাশ হইয়া যাইতো...
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
SIAM The Deadman
User ৩ বছর, ১০ মাস পুর্বেEihana akter mahi
User ৪ বছর, ৫ মাস পুর্বেJustin Hafiz
User ৪ বছর, ৮ মাস পুর্বেZarin Tasnim (jolly girl)
User ৪ বছর, ১১ মাস পুর্বেNajmul Islam
Guest ৫ বছর, ৭ মাস পুর্বেNajmul Islam
Guest ৫ বছর, ৯ মাস পুর্বেআতিক
Guest ৫ বছর, ১০ মাস পুর্বেR.H (dangeor-virus)
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেIsteak ahamed isti
Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেFahmida
Golpobuzz ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেR.H (dangeor-virus)
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেFahmida
Golpobuzz ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেR.H (dangeor-virus)
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেAdiba
Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেAnti Virus
Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেR.H (dangeor-virus)
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেAdiba
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেshanto
Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেsubrna
Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেR.H (dangeor-virus)
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেAdiba
User ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বেRAFI
Guest ৫ বছর, ১১ মাস পুর্বে