আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
হাইজ্যাকার হামিদ-২
"ছোট গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান mim (০ পয়েন্ট)
★লেখকঃ মিম★
গিয়াস আরো বলল, এই প্রেমের উপন্যাসে নায়ককে নায়িকার বাবা ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে চাবুক মারবে। নায়ক করুন সুরে গান গাইবে-
আমাকে পেটাতে যদি এত লাগে ভালো
মারো আরো চাবুক মারো,
মেরে মেরে শহীদ করে ফেলো।
ঢাকা থেকে ফিরে নতুন উদ্যমে হামিদ লেগে যায় উপন্যাস লিখতে। প্রবল উৎসাহ নিয়ে আমিদের পড়ে শোনায় - চাবুকের বাড়িতে নায়কের গা থেকে রকাত পড়তে থাকবে দরদর করে। গুন্ডা থাকবে দলে দলে। তারা নায়িকাকে ঘন্টায় ঘন্টায় আক্রমন করবে। আর নায়ক গিয়ে বাচাবে।
আমরা হামিদের পাঠ শুনি। রক্ত গরম হয়ে যায়। বলি জোস হয়েছে। পরিচালতের হাতে যদি এই বই পড়ে নির্ঘাত সিনেমা বানিয়ে ফেলবে। একথা শুনে হামিদ তো বেজায় খুশি।
উপন্যাস লেখা শেষ। আবার ঢাকা যায় হামিদ। ৩ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করে বই ছাপানোর অর্ডার দেয়। একমাস পরে ১০০ কপি বই নিয়ে সে হাজির। হাইজ্যাকার। বইএর প্রচ্ছদ হয়েছে দেখার মত। কালো কোট পরা নায়ক। হাতে স্টেনগান। পাশে নায়িকা।
প্রচ্ছদ দেখলে মনে হয় হলিউডের সিনেমার পোস্টার। আমরা নেমে গেলাম বইএর প্রচারনায়। এই ১০০ কপি বই সব বিক্রি করতে হবে। ক্রাসে বই নিয়ে আসা হল। ক্লাসের স্যারেরা বইএর প্রচ্ছদ দেখেই মুখ কালো করে ফেললেন।
তাদের বোঝানো হয় প্রকাশক ব্যাবসার কথা ভেবে এই টাইপের প্রচ্ছদ করেছেন। স্যাররা অনিচ্ছা সত্বেও একটা করে বই কিনলেন। কিন্তু আহমদ স্যার কড়া মানুষ। তিনি বই ওল্টে পাল্পে দেখে বললেন, কয় কপি বই আছে?
আমরাঃ স্যার ৯০ কপি।
স্যারঃ মোট কয় কপি বেচা হয়েছে?
আমরাঃ ১০ কপি।
স্যারঃ এই ১০০ কপি নিয়ে আজ বিকেলে আমার বাড়িতে দেখা করবি।সব বই আমি কিনব।
পরের ঘটনা খুব করুন। স্যার হামিদের সব বইএর কপি একসঙ্গে বসস্তায় ভরে বাড়ির পপাশের চিত্রা নদীতে ভাসিয়ে দিলেন। আমরা নদীর পাড়ে দাড়িয়ে দেখছি, স্রোতের টানে বইএর বস্তা ভেসে যাচ্ছে। এক সময় ডুবে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাদিদের সাহিত্য প্রতিভার সলিল সমাধি ঘটল। তবে বেচে আছে নামটা। হাইজ্যাকার হামিদ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...