আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
হিরণ্য ও হিরা
"ছোটদের গল্প" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান mim (০ পয়েন্ট)
এক দেশে ছিল এক রাজা আর এক রানী। রাজার নাম হিরণ্য রায় আর রানীর নাম হিরামতি।রাজা-রানী ধ্রুব নামক রাজ্য শাসন করত।রাজ্য শাসন করতে ককরতে তারা রাজকীয় বিলাসিতায় বিষণ্ণ হয়ে পড়ল। তারা তাদের পুরাতন আভিযানে বেড়িয়ে পড়তে চাইল কিন্ত অনেক বয়স হয়ে গেছে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য তারা রাজ্য ত্যাগ করল।
অবশেষে তারা মধুগড় রাজ্যে পৌছালো এবং তাদের বাদ্যযন্ত্রের ক্ষমতা দিয়ে রাজার মন জয় করল। বিচারকক্ষে তারা ব্রহ্মানন্দ আচার্য্যের সাথে দেখা হল, যে তাদের মধুগড় দুর্গে আমন্ত্রন জানিয়েছিল।
যখন তারা তার ঐ জায়গায় যান, তখন আচার্য্য তাদেরকে অলৌকিক ক্ষমতা (ভূত রাজা থেকে প্রাপ্ত) ব্যবহার করে, তাদের ৫ টি মূল্যবান পাথর চুরি করার প্রস্তাব দেন, বিনিময়ে তাদের বয়স ২০ বছর কমিয়ে দিবেন।প্রকৃতপক্ষে আচার্য্য ছিল লোভী এবং ভন্ড।
যাইহোক, তাদের স্বপ্নে ভুতের রাজার আগমন ঘটে এবং অবিচার বন্ধ করার উপদেশ দেয়।তখন রাজা হিরণ্য রায় এবং রানী হিরামতি তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হন এবং নিজ নিজ মালিকদের পাথর ফিরিয়ে দেন।
ব্রহ্মানন্দ আচার্য, অপরিমেয় ক্ষমতা অর্জন করেছে, যখন তারা আদালতের সামনে সব বলছিল তখন আচার্য্য চুপ ছিলেন। কিন্তু, বিরল ও মূল্যবান পাথরের লোভে তাকে অমরত্ব দেওয়া হয়না।
বিচারক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, বিক্রম নামে ১২ বছরের ছেলে, ঐশ্বরিক ক্ষমতা বলে তাকে পরাজিত করবে। তার মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য, আচার্য আনন্দগড়ের ১২ বছর বয়সী বিক্রম নামের সকল ছেলেদের তার সৈন্যরা অপহরণ করত। তিনি বাচ্চাদের সম্মোহিত ও দাস বানায়ে রাখতেন।
শেষ পর্যন্ত, হিরণ্য ও হিরা কানাই নামের এক ছেলে খুজে বের করল, পূর্বে যার নাম বিক্রম ছিল। সে ১২ বছর বয়সে ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছিল। সে, হিরন্য ও হিরা মধুগড় দুর্গের দিকে যায়। যখন বিক্রম দুর্গে প্রবেশ করে এবং আচার্যের কাছে যায় তখন আচার্য মাটির তলদেশে ডুবে ছিল যার অর্থ আচার্য ধবংস হয়েছে। তাঁর মূল্যবান পাথর উধাও হয়ে যায়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...