বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

মাছ ও ভূত

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান জাকারিয়া আহমেদ (০ পয়েন্ট)

X ** এক ** প্রচণ্ড ঝোড় হচ্ছিলো সেদিন। বর্ষাকাল বলে কথা..হ্যাঁ এটাই সে বর্ষাকাল যেইসময়ে গ্রামের সকলে মাছ ধরতে খুব ভালোবাসে। বাড়ির আশেপাশে বর্ষাকালে জল জমে যায়। অমিতের বাড়ি ধানক্ষেতের পাশেই..আর ক্ষেত-টা অনেক বড়ো। ক্ষেতের মধ্যে চার- পাঁচ-টা বড়ো বড়ো পুকুর রয়েছে তারমধ্য দুটো পুকুরে অনেক মাছ আছে। আর তিন-টে পুকুরের জল চাষের কাজে লাগানো হয়। অমিতের বাড়ি থেকে মিনিট দুয়েক পথ হাঁটলেই পড়ে সেই বিখ্যাত ঝিল। এই বর্ষাকাল এলেই অমিতের পাড়ার আশেপাশে জল জমে যায় হাটু খানেক। জলে যুদ্ধ করে করে নিজেদের বাড়ি পৌঁছায় অমিতের আশেপাশের পাড়াপড়শিরা। তবে হ্যাঁ বর্ষাকালে মাছ ধরার করার মজাটাই আলাদা। এই বর্ষাকালে অমিত ও নিজের বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে বেড়োই। সেদিন প্রচণ্ড ঝড় হচ্ছিলো সাথে সামান্য বৃষ্টি। অমিত নিজের বন্ধুদের- কে মাছ ধরার জন্য যাওয়ার অনুরোধ করে....কিন্তু তাদের কেও রাজী হয়নি, অমিত ঠিক করে আজ সে নিজেই মাছ ধরতে যাবে..কোঁচ নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো অমিত ঝিলপাড়ের দিকে.....রাত তখন ১০.০০ টা। অমিতের বাড়িতে অমিতের বাবা-মা আজ এক দূর সম্পর্কের অতিথি বাড়িতে গেছে কিন্তু বৃষ্টির দরুন তারা আসতে পাচ্ছেনা। সুযোগের সৎ ব্যবহার করে অমিত। এতো রাতে বেড়িয়ে পড়ে মাছ ধরতে....কিন্তু ঝিলপাড়ে সে বড়ো কোনো মাছ পেলোনা। অনেক ক্ষণ এপাশ ওপাশ খোঁজাখুঁজির পর অমিত যখন ব্যর্থ হয় তখন অমিত ঠিক করলো মনে মনে না আজ সে বাড়ি ফিরে যাবে.. এমনি তেও হ্যারিকেনের আলোর ক্ষমতা কমে এসেছিলো, শেষে অমিত বাড়ির দিকে চলে আসে..এদিকে তখনো বৃষ্টি হচ্ছে..মাঝেমধ্য ে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে..পুরো পাড়া নিস্তব্ধ। বাড়ির সদর দরজার সামনে এসে পৌঁছালো তখন অমিত দেখতে পেলো তার পায়ের সামনে দিয়ে কি একটা সাঁতরে যাচ্ছে....হ্যারিকেনের আলো বাড়িয়ে দেখলো একটা বিরাট আকারের কুঁচে মাছ তার সামনে দিয়ে সাঁতরে ক্ষেতের দিকে যাচ্ছে....অমিত কোঁচ দিয়ে মাছ-টাকে আঘাত করার চেষ্টা করলো। কিন্তু মাছ-টা সাঁতরে ক্ষেতের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো..অমিত নিজের হ্যারিকেন-টা বাড়ির গেটের সামনে ঝুলিয়ে ওই জলের মধ্যে দিয়ে মাছের পেছনে ধাওয়া করলো..এমন দৌঁড়ান, দৌঁড়ালো যে অমিতের প্যান্ট পর্যন্ত ভিজে গেছে....কিন্তু অমিতের কাছে তখন মাছ ধরাটা সবার আগে....অমিত কোঁচ দিয়ে মাছের গায়ে না বিঁধিয়ে....বেশ কয়েক-টা কোঁচের বাড়ি দিলো মাছ-টার গায়ে..ফলে মাছ-টা একসময় নিস্তেজ হয়ে যায় এবং নিজের ব্যাগে অমিত মাছ-টা পুরে নেয়..অমিত ভাবলো না যাই বাড়ি ফিরি এবার....কিন্তু তখনি অমিত দেখলো তার আশেপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ক্ষেতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে..অমিতের লোভের মাত্রা এবার মাথায় উঠলো পাগলের মতন দৌঁড়ালো অমিত....সজোরে কোঁচ দিয়ে জলের উপর আঘাত করতে লাগলো অমিত ফলে আরও কয়েক- টা মাছ অমিত হাতের নাগালে পেলো....এবার ভাবলো অমিত না যাই এইবার বাড়ি ফিরি কিন্তু ততক্ষণে..অমিত ক্ষেতের প্রায় মাঝখানে চলে এসেছে..আর ক্ষেতের দিকে তখন প্রায় কোমর অবধি জল.. অমিত ধীরেধীরে পা ফেলে ফেলে বাড়ির দিকে যেতে লাগলো....ঠিক এমন সময় অমিত উপলব্ধি করলো অমিতের পেছনে কারা যেন অমিত-কে অনুসরণ করছে..অমিতের মনে বিশাল কৌতুক..অমিত সাথে সাথে দেখতে পেলো অমিতের পেছনে দুইজন সাদা পাঞ্জাবি পড়া লোক..দাঁড়িয়ে আছে..তাদের চেহারা অন্ধকারে দেখা যাচ্ছিলোনা। সারামুখ দাঁড়ির দরুন ঢেকে আছে.. অমিত জিজ্ঞেস করলো - কে তোমরা? ওরা বলে উঠলো - মাছ গুলো দিয়ে যা.. অমিত - কেন দেবো? মাছ গুলো তো আমি ধরেছি? তারপর ওরা দুইজনে অমিত এর সামনে এগিয়ে আসে..এবং অমিত কে ধরে জলের মধ্যে মুখ ঠেঁসে ধরে..শ্বাস না নিতে পারায় অমিত জলের মধ্যে হাঁসফাস করতে থাকে..এবং অমিত মারা যায়.... ** দুই ** অমিতের মৃত্যুর কোনো রহস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি ঠিক-ই কিন্তু অমিতের মৃত্যুর কদিন পর ওই এলাকায় অভিশাপের ছায়া নেমে আসে..সন্ধ্যাবেলায় হোক কিংবা ভরদুপুরে..অমিতে র লাশ-টা যেখানে পাওয়া গিয়েছিলো..ওখানে একটা ছোটো ডোবা ছিলো..ওই ডোবার কাছে অনেকে অমিত-কে দেখেছে....কি সাংঘাতিক যে অমিতের চেহারা তা লিখে বোঝাতে পারলাম না। অমিত অনেক-কেই দেখা দিয়েছে.. এই প্রথম প্রথম দেখা দেওয়া-টা কখন যে খাদকের পরিচয় দিয়ে দেয় সেটা অনেকের অজানা ছিলো.... ওই ক্ষেতের আশেপাশে যে কয়েক-টা বাড়ি ছিলো..ওই বাড়িগুলো সাধারণত চাষী দের-ই বাড়ি ওগুলো..প্রত্যেক দিন রাতে ওই চাষীদের বাড়ির মুরগী, ছোটো ছোটো ছাগলের বাচ্ছাও চুড়ি হতে লাগলো....এই সমস্যা-টা ধীরেধীরে সারা গ্রাম ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো সাধারণত গ্রাম বাসীদের মনে এই ধারণা হয় যে তাদের ছাগল,মুরগী কেও চুরি করছে..এইজন্য গ্রাম বাসীরা এক জায়গাই জড়ো হয়ে একটা মিটিং ডাকে....তারপর তল্লাশি শুরু করে....এই তল্লাশির ফল ছিলো সাংঘাতিক। বস্তা বস্তা হাড় ও মুরগির পালকের সন্ধান পেলো একজন বাসিন্দা..যেটা ছিলো সেই জায়গা যেখানে অমিতের দেহ পাওয়া গিয়েছিলো....ব্যাপার- টা সারাগ্রাম ময় নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে....গ্রামবাসীরা এই অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য..একজন তান্ত্রিক এর শরণাপন্ন হয়..তিনি নাম করা এক তান্ত্রিক....তিনি ওই জায়গা-টিতে যান। এবং ভালোভাবে ওই ডোবা- টিকে দেখে তিনি বললেন - দেখুন..আপনাদের কাজ আমি করে দিতে রাজী আছি..কিন্তু আপনাদের একটা কথা দিতে হবে, আমার যদি কিছু হয়ে যায় তবে আপনারা পুরো গ্রামের সকলে মিলে চাঁদা তুলে আমার বাড়ির লোকেদের কাছে দিয়ে দিতে হবে। তাহলেই আমি এইকাজ করার জন্য রাজী হবো। গ্রামবাসীরা রাজী হয়ে যায়। তিনি বললেন তোমরা সকলে এখান থেকে চলে যাও কাল সকালে আসবে..আর দেখবে কেউ যেন ভুল করেও এখানে প্রবেশ না করে.. গ্রাম বাসীরা চলে গেলো..আর ওই তান্ত্রিক কাজে লেগে পড়লো..এখন শুধু সকাল হওয়ার অপেক্ষা....ওইদিন অনেকেই সারারাত জেগে ছিলো নেহাত তান্ত্রিক বাবাজীর হুকুম যে ওইখানে যাওয়া যাবেনা। অত্যন্ত অপেক্ষার পর অপেক্ষার ফলাফলের পালা..ধীরেধীরে সকালের আলো ফুঁটে উঠলো..গ্রাম বাসীরা কৌতুক নিয়ে এগিয়ে গেলো..ওই ক্ষেতের দিকে..কিন্তু তারা যা দেখলো তা অনেক সাংঘাতিক। ওই তান্ত্রিক মাথা থ্যাতলানো অবস্থায় ডোবার মধ্যে পড়ে আছে। গ্রামবাসীরা ধরাধরি করে তাকে উপরে তুললেন। না তিনি আর বেঁচে নেই। তিনি মারা গেছেন। তাকে শেষ মুহুর্তে গ্রামবাসীরা চাঁদা সংক্রান্ত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সেই প্রতিশ্রুতি গ্রামবাসীরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন। এরপর আর ওই গ্রামে কোনো অসুবিধা হয়নি। কিন্তু ওই তান্ত্রিক কি এমন করেছিলেন যার দরুন তাকে এইভাবে মরতে পর্যন্ত হয়েছিলো সেইটা অজানা থেকে গেলো।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৫৯৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ মাছের ভূত
→ মাছ খেকো ভূত
→ মাছ খেকো ভূত

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • হুসাইন
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    ফালতু.

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Tamim
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Wow

  • Mysterious!!..

  • ✨ Adrishy Tasnin✨✨
    User ৬ বছর পুর্বে
    interesting

  • জাকারিয়া আহমেদ
    User ৬ বছর পুর্বে
    আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

  • Arafat
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    wow

  • md.jakaria hasan bijuy
    Guest ৬ বছর পুর্বে
    Darun