বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
এনার সকালটা শুরু হয় পাখিদের গান শুনে।এনা এখন ইন্টার ১ম বর্ষের ছাএী। রোজকার মতো সে আজো কলেজে যায়। তবে আজ শুরুতেই ঝামেলা। গেইট দিয়ে ঢুকতেই একজনের সাথে ধাক্কা লাগে। সে ইকটু চনচল টাইপের মেয়ে।তাই নিজেই গায়ে পরে ঝগড়া লেগে যায়। তখনও সে কার সাথে ধাক্কা লেগেছে খেয়াল করেনি। সামনে চেয়ে দেখে কলেজের সবচেয়ে রাগি স্যার সামনে দাড়িয়ে। স্যার কে দেখে তো তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে। ততখনে স্যারও রেগে আগুন। সরি বললেও স্যার তাকে এখানে কিছুনা বলে অফিসে ডাকে। এ দিকেতো এনার অবস্তা খারাপ। ভয়ে সে নিজেকেই বকতে থাকে। কেন এত রাগ আামার। মা ঠিকই বলে বেশি রাগ ভাল নয়। আর মেয়েদের তো নই ই। রাগ ই আমার জীবনের কাল হলো। যাই হক ভয় পেলেও যেতে হবে। বন্ধুদের কাছে দোয়া চেয়ে সে স্যারের রুমে যায়।
আসতে পারি স্যার এনা বললো। ভিতরে আস। স্যার কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সে তার কথার ঝুরি খুলে দিল। এমন ভাবে বলা শুরু করলো যে রুমে আরেক জন আছে তা সে খেয়ালই করেনি।
হে সে হলো এই কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাএ অভি। দেখতে অন্য সব স্ম্রাট ছেলেদের মতো নয় তবে সুদর্শন বলতে যা বুঝায় তার সবটুকুই আছে তার। তার আপন বলতে কেবল এক মামা ও তার পরিবার। যাই হোক হঠাৎ করে তাকে দেখে সে কিছুটা লজ্জা পায়। কারন ক্ষমা চাইতে চাইতে সে কান পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো। মানে কানে ধরে ওঠাবসা শুরু করে দিয়েছিলো। এনা থেমে যায়। সার তাকে আরো শাস্তি দিতে চাইলে অভির কথায় তাকে মাফ করে দেয়। অভি কলেজের সবচেয়ে ভালো ছাএ।তাই সব শিক্ষকরা তাকে ইকটু বেশিই পছন্দ করে।তাই তার কথায় এনাকে ছেড়ে দিলো।
এনা ছেলেটাকে দেখে আর চোখ সরাতে পারছিলো না। কারণ সে চাইতো সে যতটা চনচল তার মনের মানুষ ততটাই শান্ত হবে। আর অভি ঠিক তাই।
অভিকে দেখার পর তার আর কোনো কিছু ভালো লাগেনা। কিভাবে সে তার মনের কথা অভিকে যানাবে
এ দিকে অভির ও কিন্তু এনাকে দেখার পর কেমন জানি লাগে।শুধু তার মুখ ভেসে ওঠে।
এভাবে কিছুদিন চলার পর এনা একদিন একটি সুযোগ পেয়ে যায়। অভি একটি আলাদা রুমে পরছিলো। এনা সেখানে গিয়ে দরজা দিয়ে দেয়। অভিতো এনাকে দেখে অবাক। কিছুটা ভয়ও পায়।কারণ এভাবে এক রুমে দুজন ছেলে মেয়েকে দেখলে যে কেউ খারাপ ভাবতে পারে। যাই হোক অভি ভয় ভেঙ্গে তার আসার কারন জানতে চাই।
এনা তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে।
অভি আরো ভয় পেয়ে যায়। ততক্ষন এনা তাকে ভালোবাসি বলে ফেলে। অভিও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। সেও তার মনের কথা বলে দেয়। এভাবে চলতে থাকে তাদের জিবন। একদিন দেখা না হলে কারো ভালো লাগেনা। এখন অভির সবকিছুই এনার পছন্দে করতে হয়। ভালবাসা আর শান্ত হওয়ায় সে পছন্দ না হলেও এনা যা বলে তাই করে।
একদিন অভি নিজের পছন্দের একটি জামা পরে কলেজে আসে। যা ছিলো একেবারেই ভদ্র পোশাক যাকে বলে।আর তাকে তেমন খারাপও লাগছিলোনা। তাতেও এনার আপওি। সে চাই অন্য সব ছেলের মতো সেও টাইট ফিট জামা পরবে তার ইচ্ছা মতো।কিন্তু এসব অভির পছন্দ ছিলনা তা জেনেও তাকে জোর করতো এনা।
রাগে অভি একদিন বলেই ফেলে এনা তাকে নাকি তার চেহেরাকেই ভালোবাসে। এনা খুব রাগি তাই নিজে যা চাইতো তাই করতো। অন্য কেউ তাতে খুশি কিনা তা খেয়াল করতোনা
মূলতো সে ভাবতো তার প্রিয় মানুজ গুলো শুধু তার মনের মতো চলবে।
যাই হোক।এটা ছিল তাদের প্রথম অভিমান।।।।।।
রাগে এনা অভির সাথে যোগাযোগ বন্দ করে দেয়। অভি এনাকে খুব ভালোবাসে। তাই যে করেই হোক তার কাছে ক্ষমা চাইতে চেয়েছিলো। কিন্তু এনা তার কোন কথাই শুনতোনা।
তাই অভি বাধ্য হয়ে লুকিয়ে এনার হোস্টলের রেলেং বেয়ে চার তলায় তার রুমে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ তিন তলা থেকে তার হাত ফসকে যায়। সে নিচে পরে যেতে থাকে। একতলার বারান্দার সাদের সাথে তার মাথা জুরে এসে ধাক্কা খায়। সাথে সাথে এক চিৎকারে অঘ্গান হয়ে মটিতে লুটিয়ে পরে। চিৎকার শুনে সবাই এখানে আসে।এনার বান্ধবিরা তাকে চিনে এনাকে খবর দেয়। ততক্ষনে রক্তে বড়ে গেছে আস পাশ। এনা দৌড়ে নিচে এসে অভিকে ঝড়িয়ে দরে। সবাই ধরা ধরি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায়।
অভি শুধু এনাকে এক পলক দেখতে চাই।এনা তাকে ঝড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে।আর নিজেকে অপরাধি বলতে থাকে।
অভির মুখে এনা শুধু একটি কথায় শেষমেশ শুনতে পায়। আমি তুমাকে অনেক ভালোবাসি। সাথে সাথে অভির স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
এনা নিযেকে আর ধরে রাখতে পারেনা। আবারও সে বুঝতে পারে তার রাগ আর অভিমান তার জীবনের সবচেয়ে বড় কাল।।।।।।।।।।।।।!।।।।।।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now