বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভয়ঙ্কর_বাড়ি

"ভৌতিক গল্প " বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান kamran (০ পয়েন্ট)

X খোলা জানালা দিয়ে বয়ে আসছে মৃদু বাতাস। মাথা উপর জ্বলছে ১০০ পাওয়ারের লাইট । সারাদিন বই পরতে পরতে আর আর ভাললাগছিল না তাই রবীন্দ্রনাথের বই পরে মনটাকে ফ্রেশ করতে চাইছিলাম। কোরবানীর তিনদিন সরকারী ছুটি হওয়ায় মেসের সকলেই বাড়ী চলে গেছে। পরীক্ষার কারনে আমি থেকে গেছি বহুকাল আগের একটা পুরোন বাড়ীতে কম ভাড়ায় মেসে থাকার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা খুজে পেলাম না। আমার বন্ধু এখানে থাকে । ভাড়া তূলনামুলক ভাবে কম হওয়ায় আমি উঠে গেলাম এই মেসে। সবাই বাড়ীতে যাওয়ায় আমি ছাড়া বাড়িটিতে আর কেউ নেই। দারোয়ান আছে গেটের কাছে থাকবে রাত দশটা পর্যন্ত। তারপর প্রধান ফটক বন্ধ করে আমাকে থাকতে হবে এই আলো ছায়ায় বাড়িটিতে । বাতাসের জোর বেশি তাই জানালা বন্ধ করে দিলাম । তারপর আবার বই পড়তে লাগলাম । হঠাত কোন সংকেত না দিয়ে জানালাটি খুলে গেল। আমি চমকে গেলাম চমকে গেল রিদপিন্ড । চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকলাম জানালার দিকে । জানালা বন্ধ করার জন্য সবে উঠলাম আর হুট করে কারেন্ট চলে গেল। অন্ধকারে ঢেকে গেল আমার চারপাশ । বালিশের নিচ থেকে দিয়াসলাই টা বের করে মোম জ্বালিয়ে বসলাম । ভাল লাগছিল না । ভাবলাম নিচে গিয়ে দারোয়ানের সাথে গল্প করবো গেটের কাছে গিয়ে দেখি দারোয়ান ঝিমুচ্ছে । কাছে গিয়ে বসলাম আমাকে দেখে বলল কোন সমস্যা হইছে আমি বললাম না এমনিতে মন চাইল তাই চলে আসলাম গল্প করতে । উনার সাথে অনেকক্ষন গল্প করে যতবারি এই বাড়ি সম্পর্কে জানতে চাই লাম ততবারি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে জানতে পারলাম উনি প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই বাড়িটির দেখাশুনা করছে । এর মধ্যে অনেকে এসেছে কিন্তু বেশিদিন থাকতে পারেনি। এমন কি মারাও গিয়েছে কিন্তু কেন এমন হয়েছে কিছু বলেনি । জানতে চেয়েও ব্যার্থ হয়েছি। রাত দশটা বাজতেই উনি আমাকে সাবধান করে চলে গেলেন। প্রধান ফটক বন্ধ করে আমি বাসাই এসে বসেছি। আমার খুব ভয় করছিল । কারেন্ট এখন আসেনি । আজকের রাত টা আমার কাছে অভিশপ্ত বলে মনে হচ্ছে। এই বাড়ীর আদো কোন ঘটনা আমার জানা নেই। তবুও নিজজ্ঞান থেকে বলতে পারি এ বাড়ীটা কোন সাধারন বাড়ী নয়। অশীরিদের অস্তিত্য হয়ত এ বাড়ীতে আছে। আমি জানিনা আজ কি হতে চলেছে । ছাদের্ উপর কারা যেন হেটে চলেছে মনে হচ্চে কোন দানবিক পা বার বার আঘাত করছে ছাদের উপর্। ইচ্ছে হচ্ছিল এ বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্য কোথাও চলে যাই । কিন্তু তাও সম্ভব না এ বাড়ীর ছাদে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। শুধু শুনেছি এ বাড়ির ছাদের গেট বন্ধ থাকে আর গেটের চাবি কারো কাছে নেই। চার তলায় একটি ঘর আছে তালাবদ্ধ কে জানে ওখানে কি আছে । শুধু এটুকু শুনেছি সে ঘরের দরজা কখনো কখনো মাঝরাতে খুলে যায় আর যেদিন খুলে সেদিন কোন অঘটন ঘটে । ছাদে উঠার সিড়ি ভেংগে ফেলা হয়েছে । প্রথম যেদিন এ বাড়ীতে এসেছিলাম সেদিনিই মনে ভয় জন্মেছিল। বাড়িটি যতই খতিয়ে দেখলাম ভয় ততই বারতে থাকে। সকালে স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পরে যেন ভয়ের কারখানা হয়ে যাই । সন্ধ্যার পর চারদিক নীরব হয়ে যায় । আশে পাশে কোন জনবসতি নাই । কাচা রাস্তা দশ মিনিট হাটার পর পাকা রাস্তা পাওয়া যাবে কিন্তু এত রাতে গাড়ি পাওয়া যাবে কিনা সেটাই মুশকিলের ব্যাপার । তা যাই হোক একবার চেষ্টা করে দেখিনা কি করা যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১২ বেজে ৪৫ মিনিট সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম এবং খুব দ্রুত গতিতে অন্ধকারের পথ ধরে গিয়ে দাড়ালাম রাস্তার পাশে আধা ঘন্টা দাড়িয়ে কোন গাড়ির দেখা পেলাম না। এদিকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি পরতে শুরু হল উপায় না দেখে আবার বাড়ী দিকে চলতে লাগলাম আসার সময় দেখলাম কারেন্টের তার ছিড়ে আছে। আজ আর কারেন্ট আসার সম্ভবনা নেই । বাড়ীর সামনে আসতেই মনে হল মৃত্যু যেন হাত বারিয়ে আমাকে ডাকছে প্রধান গেট খুলে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এলাম শরীর ভেজা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলাম । আমার ঘর কবরের মত অন্ধকার । যাওয়ার আগে মোম দ্বিবি জ্বলছিল এত তাড়াতাড়ি মোম শেষ হওয়ার কোন কারন খুজে পেলাম না । পকেটে থাকা মোবাইল টা বের করলাম । ফোন করলাম আমার এক শিক্ষকের কাছে । হঠাত দরজা খুলার শব্দ পেলাম আমার বুকটা কেপে উঠল তবে চারতলার কথা মনে পরাই ভয়ে জমে গেলাম কানে ভেসে আসছে পায়ের শব্দ কে সিড়ি বেয়ে উপর থেকে নিচে নামছে । এদিকে ঝড়ের তান্ডব বেড়েই চলেছে । অনেক কষ্টে স্যারকে ফোনে পাওয়া গেল । স্যারকে বললাম আমি খুব সমস্যায় আছি আমি জানিনা আমার সাথে কি ঘটতে চলেছে । ব্যালান্স না থাকায় লাইন টা কেটে গেল । স্যার ফোন দিলেন রিসিভ করে সব ঘটনা খুলে বললাম কিন্তু নেটওয়ার্কের সমস্যার কারনে স্যার কিছুই বুঝলেন না । লাইন টা আবার কেটে গেল এবার নেটওয়ার্ক শূন্য মোবাইল হাতে নিয়ে বসে রইলাম মোমবাতি নেই মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রেখেছি তাও ঘন্টা খানিক চলবে । কোথাও কোন আলো নেই শুধু মাঝে মাঝে ঝড় হাওয়ায় জানালা বন্ধ হচ্ছে আর খুলছে । ঘন্টা খানেকের মধ্যে মোবাইলের আলো নিভে গেল হঠাত মনে হল চাপা সুরে কেউ যেন কাদছে জানালার পাশে আমি আস্তে আস্তে হেটে গেলাম কোথাও কেও নেই। এমন সময় রিদয় আতংক তুলে কে জেন দরজা নক করল ভয়ে আমার গলা দিয়ে কোন আওয়াজ আসছে না আমি দাড়িয়ে আছি ঘরের এক কোনে । কিছুক্ষন পর দরজার ওপাশের আওয়াজ থেমে গেল । সেই সাথে বাইরের ঝড় হাওয়া থেমে গেছে চারদিকে অদ্ভুদ নিরবতা শুধু মাঝে মাঝে নুপুরের সুর আর ছোটাছুটির আওয়াজ আসছিল কারা যেন ফিস ফিস করছে শব্দটা বাতাসে ভেসে আসছিল । আমার চোখের সামনে যেন হাজারো প্রেত আত্মা দাড়িয়ে আছে। ভয়ংকর তাদের চোখ পা নখ চুল চোখ বন্ধ করলেও সে একি দৃশ্য । ফ্যানের সাথে ফাসির ঝুলন্ত তরুণী । বড় চোখ জ্বিহবা বেড়িয়ে এসেছে মুখ থেকে ঘরময় আগরবাত্তির গন্ধ যেন কোন মরা লাশ আমার সামনে শুয়ে আছে আমি চোখ বন্ধও করতে আবার মেলতেও পারছি না । এটা কি প্রচন্ড ভয়ের কারনে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে না সত্যিই দেখছি বুঝতে পারছি না তবে আমি মন শক্ত রাখার চেষ্টা করলাম । কটা বাজে বুঝতে পারছিলাম না অনুমান করছি রাত তিন টা বাজে সকাল হতে অনেক দেরি । হঠাত কানে একটা শব্দ ভেসে এল। ভালকরে কান পাতলাম কে যেন সিড়ি বেয়ে নেমে এল বুঝলাম এদিকে আসছে । আমার দরজার কাছে এসেই শব্দ টা থেমে গেল ।এবং দরজা নক করল আমি সাহস হারালাম না অন্ধকারে দরজার কাছে হেটে গেলাম আমার শরীরের সাথে কিছু একটা ধাক্কা খেল । হাত দিয়ে দেখি কার যেন পা ঝুলছে মনে হচ্ছে কারো লাশ ঝুলনো অবস্থায় আছে আবার হাত বাড়িয়ে দেখি কিছু নেই। আমার সাথে কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না । হেটে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম কিন্তু অদ্ভুদ ব্যাপার কেও নেই অথচ একটু আগেও হেটে আসার শব্দ পেয়েছি । এমন সময় বাহিরে বিদ্দুতের আলোতে দেখlলাম আমার সামনে একজন দাড়িয়ে আছে তার শরীর থেকে আগরবাত্তির গন্ধ আসছে মাথা নেই পাদুটো বাকানো (উল্টো)। গায়ে সাদা কাপড় জড়ানো। আমার থেকে মাত্র এক হাত দুরে সাথে একটা তরুনী চোখ দুটা তার বেরিয়ে আস্তে চাইছে গলায় কালো মোটা একটা দাগ চোখ গুলো সাদা কোন মনি নেই পাগুলো বাকানো। মনে হল মৃত্যু আমায় ছুয়ে ফেলেছে আমি আর বাচবো না। এটাই বুঝি আমার শেষ মূহুর্ত । আমি জ্ঞান হারালাম । জ্ঞান ফিরলে দেখি বিছানায় জানতে পারলাম দারোয়ান সকালে এসে আমাকে পরে থাকতে দেখে রুমে নিয়ে যায়। দুপুর নাগাত আমি সে বাড়ি ত্যাগ করি । কয়েকদিন পর শুনলাম দাড়োয়া।ন চাচাও মারা যান বাড়ির ভেতরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় । এরপর থেকে এ বাড়িতে আর কেও থাকে না।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৮৪ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • কষ্ট নামের বাঁগিচা [Rupchan]
    Golpobuzz ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    So Nice!

  • "Cute Princess "
    User ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    nice

  • Tappu
    Guest ৬ বছর, ১ মাস পুর্বে
    Nice

  • pk pk
    User ৬ বছর, ৪ মাস পুর্বে
    xoss