বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

হারানো ব্যাগ-১

"উপন্যাস" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়াদুল ইসলাম রূপচাঁন (০ পয়েন্ট)

X “সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমার ব্যাগ কোথায়?” মোক্তারের আর্ত-চিৎকার শুনে চমকে গেলাম আমি। আরে, তাইতো! মোক্তারের ব্যাগ কোথায়? লালন শাহ এর মাজার দেখা শেষ করে মাত্র গেট দিয়ে বের হয়েছি আমি আর মোক্তার। দুজনার কাঁধে দুইটা ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। আমার কাঁধের ব্যাগটা জায়গা মত থাকলেও মোক্তারের টা পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাগে মোক্তারের ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু দামী জিনিস ছিল। তাই সময় নষ্ট না করে আমরা ব্যাগ খুঁজতে শুরু করে দিলাম। হারানো ব্যাগ খুঁজে পাওয়া কি সহজ কোন কাজ? অনেক খুঁজেও যখন ব্যাগের কোন হদিস পেলাম না তখন বিরস বদনে পাবনা ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। ব্যাগ খুঁজতে খুঁজতে কথন সন্ধ্যা হয়ে গেছে সেটা টেরই পাইনি। এদিকে সন্ধ্যার সময় যে শিলাইদহ ঘাটের খেয়া বন্ধ হয়ে যায় সেটা আমাদের জানা ছিল না। উপায় না দেখে শিলাইদহ ঘাট থেকে একটা ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সায় করে কুষ্টিয়া বাস টার্মিনালের দিকে রওনা হলাম। অন্ধকার রাস্তা। আমাদের অটো ছাড়া আর কোন যানবাহন নাই রাস্তায়। অটো-চালক প্রায় ফুল স্পীডে অটো চালাচ্ছে। মাত্র আলাউদ্দিন নগর পার হয়েছি। এমন সময় হটাৎ করে একটা সিএনজি অটো আমাদের অটোর পাশে এসে বার বার কিসের যেন সংকেত দিতে লাগল। কুষ্টিয়াতে আমরা একবারেই নতুন। এক চোরের পাল্লায় পরে ব্যাগ হারিয়েছি। এবার ছিনতাইকারীর কবলে পরব নাকি? ভয়ে ভয়ে আমাদের অটো চালককে বললাম, “মামা, থামাবেন না। জোরে চালান।“ আমার সম্মতি পেয়ে অটোর স্পীড আরো বেড়ে গেল। হটাৎ করেই সিএনজিটা স্পীড বাড়িয়ে এসে আমাদের রাস্তা ব্লক করে দিল। আমাদের অটো চালক মুখ দিয়ে বিশ্রী একটা গাল দিয়ে তীব্র ব্রেক করল। কোন মতে অটোর বাইরে ছিটকে পরার হাত থেকে বেঁচে গেলাম। লাফ দিয়ে অটো থেকে বের হয়ে হাজির হলাম সিএনজি ওয়ালার পাশে। মোক্তার রাগে ফেটে পরল, “ঐ মিয়া, তোমার সমস্যা কি? এভাবে রাস্তা ব্লক করলা কেন?” - “সমস্যা তো আপনাদের। আমার হবে কেন? এত ডাকলাম, কোন উত্তরই নিলেন না।“ সিএনজিওয়ালা আরো তেজের সাথে জবাব দিল। - কেন? কি হয়েছে? আমাদের অটো ওয়ালা জানতে চাইল। - তোমরা অটোর পিছনের চাকা দেখ। কোন একটা সমস্যা হয়েছে। বলেই সিএনজি চালক তার সিএনজি নিয়ে চলে গেল। রাগে গজগজ করতে করতে আমরা অটোর কাছে ফিরে এলাম। পিছনের চাকা দেখে তো আমাদের আক্কেল গুড়ুম। এইটা কি দেখছি? আমাদের সিএনজিএর পিছনের চাকার লক খুলে গেছে। যে কোন মুহূর্তে চাকা খুলে খাল খন্দের দিকে দৌড় দিত। আমাদের কপালে কি জুটত কে জানে? যে সিএনজি চালক আমাদের এমন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করল তাকে ধন্যবাদ দেবার সুযোগ পর্যন্ত পেলাম না। অন্ধকার রাত। অটো চালক তার অটো ঠিক করতে সাহায্য আনতে গেছে। আমি আর মোক্তার নষ্ট অটোর পাশে দাড়িয়ে আছি বাসের অপেক্ষায়। একটা বাস পেলে সেটায় চড়ে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছানো যাবে। তখনও বুঝতে পারিনি, আমাদের দুর্ভোগ সবে শুরু হয়েছে মাত্র।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ২১২ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now