বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
সাদ ও নিশানের গল্প
বেলা তখন শেষের দিকে যাকে বলে পড়ন্ত বিকেল ... কারেন্ট নেই ... ভ্যাবসা গরম... তাই ভাবলাম ইকটু হাওয়া খেয়ে আসি...
নিশান কে ফোন দিলাম চলে আসার জন্য ... নিশান আমার অনেক জুনিয়র... যাই হোক নিশান এসেই হাতে একটা পিঠা ধরিয়ে দিল
ওর আম্মা রান্না করেছে আমার জন্যও পাঠিয়ে দিয়েছে ... নিশান যখনি আসে ওর হাতে একটা না একটা খাবার থাকবেই...
যাই হোক জিজ্ঞেস করলাম বাতাস খেতে যাব কই যাওয়া যায় বলতো ...
ভাই চলেন পাথর ঘাটায় যাই অইহানে যাইয়্যা এটটা জাহাজে বমু আনে ...
আচ্ছা চল তাহলে...
কপাল খারাপ আমার গলি থেকে বের হয়েই এলাকার চাচার সাথে সাক্ষাত ...
চাচার মাদ্রাজি স্টাইল মোচ এবং সারাদিন ছাগলের মত পান চাবায় ... ঠোট না পুরো থুতনি লাল হয়ে আছে...
পান চাবাতে চাবাতে ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে জিজ্ঞেস করল... কি হে সাদ বাবু , শাগরেদ কে নিয়ে কই যাওয়া হচ্ছে ??
লোকটা সব সময় আমাকে বাবু বলে...
বললাম পানচাচা আমি ইকটু জলধারাতে গমন করছি কিছু সুস্থ বায়ু নাকের ভিতর প্রবেশ করাতে ...
পানচাচা কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন ... কি বলবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না... আমি যখন এমন ভাবে কথা বলি তখন তিনি কথা
খুজে পান না ... কিছুটা পানের পিক তার গালের কোন বেয়ে পরতে লাগল ... আমি আর কথা না বারিয়ে হাটা ধরলাম
ভাই ভালো দিছেন বলে হেসে ফেল্ল নিশান
যাই হোক পাথর ঘাটা ক্রস করে একটা পাথরবাহী জাহাজে উঠলাম জাহাজটা নতুন এসেছে ... এখনো আনলোড অর্ধেক পাথর রয়ে গেছে জাহাজে ...
নিশানঃ ভাই অনেক বাতাস তাই না...
সাদঃ হুম সেতো দেখতেই পাচ্ছি আর এজন্যই তো আমাদের গৃহ ত্যাগ...
নিশানঃ ভাই কি এখনো পানচাচা মোডে রয়েছেন ??
সাদঃ হুম...
নিশানঃ সাদ ভাই আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর না ??
সাদঃ আকাশ সব সময়ই সুন্দর ... আকাশ বিশাল ... দেখ আকাশের দিকে... কিছুখন তাকিয়ে থাক ... নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে
হবে ... আকাশের গভীরতা বুঝতে পারবি...
নিশানঃ আকাশ এত নিল ক্যান ভাই ??
সাদঃ আল্লাহ এমনে বানাইছে সেজন্য ... আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়। কোন কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়,
যাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সেই আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি হয়। নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম,
তাই আকাশে এই আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয় এবং আকাশ নীল দেখায়।
মেঘের অণু বেশ বড় হয় এবং তাই তা নীল ছাড়া অন্য আলোকেও বিক্ষেপিত করে। যার ফলে মেঘের বর্ণ অনেকটা সাদাটে হয়।
একারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালীন সময় আকাশ লাল দেখায়। এসময় সূর্য দিগন্তরেখার কাছে অবস্থান করে। তাই সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে আসতে
পুরু বায়ুমণ্ডল ভেদ করে। তখন নীল আলো বিক্ষেপিত হয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায় কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তা কম বিক্ষেপিত
হয় এবং পৃথিবীতে আসে। তাই তখন আকাশ লাল দেখায়।
সাদঃ বুঝলি কিছু ??
নিশানঃ হুম বুঝছি ... আল্লাহ বানাইছে তাই...
সাদঃ হুম... গুড... চল এবার মতি চাচার থেকে এক কাপ চা খেয়ে আসি ...
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now