বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

সহযাত্রী

"রহস্য" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান আর.এচ জাহেদ হাসান (০ পয়েন্ট)

X আমি তার রুপ দেখে বিস্মিত। মানুষ যে এত সুন্দর হতে পারে তা আমার জানা ছিল না। ট্রেন চলছে ধীর গতিতে। আমি অপলক নয়নে তার পানে চেয়ে আছি। কি দেখছেন? মধুর মত মিষ্টকণ্ঠস্বর। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।এমন সুন্দরী মেয়ের সামনে নিজেকে অপস্তত মনে হতেই পারে। তুমি...মানে আপনি খুব সুন্দরী! মেয়েটি খিলখিল করে হেসে উঠে। কি সুন্দর তার হাসি!যেন দুর থেকে আসা ঝরনার শব্দ। তুমি করেই বলেন আমি আপনার অনেক ছোট। যাচ্ছেন কোথায়?বিয়ে করতে গ্রামে যাচ্ছেন বুঝি! মেয়েটি আবারও হেসে উঠে। আমি সত্যি ই বিস্মিত। আমিযে বিয়ে করতে যাচ্ছি তা মেয়েটির জানার কথা না। আমার কথা না বলে পারছি না। জন্মের পড়েই মা মারা গেছে বাবাও নতুন সংসার পেতেছ কয়েক দিন সৎ মায়ের মার খেয়ে খালার বাড়ি পালিয়ে এলাম।খালার সংসারের অবস্তা নুন আনতে পান্তা ফুরায় এর মত। তবু ও আমাকে লেখাপড়া শিখায়।আজ আমি রাজধানীর বুকে বেশ ভাল একটা চাকুরী করি।খালা আজ রাতের চিটাগাং যেতে বলেছে, কাল দুপুরে আমার বিয়ে। মেয়ে অনেক নাকি সুন্দরী। আর সুন্দরী মেয়েদের একটু দোষ থাকবেই। সবাই বলে মেয়ে নাকি জিনে ধরা,জিনের সাথে তার বিয়ে হযেছে,আমি তাকে বিয়ে করতে গেলে আমার অনেক বিপদ হবে। খালা আমার জন্য যাকে পছন্দ করেছে আমি তাকেই বিয়ে করব।আমার মেয়ে দেখার দরকার নেই। কি হল কি ভাবছেন? মেয়েটি বলল। এই মেয়েটিকে এখন কেন জানি ভয় করছে।কেবিনে আমরা দুইজন যাত্রী। জিনের কাজ নয়ত!এমন সুন্দরী মেয়ে যেচে পড়ে আমার সাথে পরিচয় হতে চাইবে কেন! কি হল! আমাকে ভয় পাচ্ছেন কেন?আবারও হেসে উঠে। কি ভয়ানক সেই হাসি। মেয়েটি আমার দিকে একটু এগিয়ে এসে বলে তুমি আমাকে বিয়ে কর। আমি কিন্ত খুব সুন্দরী। কি করবে? আমি না বলতে চাই কিন্ত পারি না।আমার দেহ আমার নিয়ন্তনে নেই।আমি উপর -নিচ মাথা দুলিয়ে সম্মতি প্রকাশ করি। এসো আমার সাথে। নির্দেশ এর মত বলে সে । আমি ব্যাগ নিয়ে তার পিছুপিছু এগুতে লাগলাম। ট্রেন থেমে আছে। অনিচ্ছা সত্তেও আমি নেমে গেলাম।একটু পরেই ট্রেন ছেড়ে দিল।আমি ট্রেনে উঠতে চাইলাম পারলাম না। পায়ে যেন শিকড় গজিয়েছে। একটু পরে নিজের ভুল বুঝতে পারলাম।রেললাইনের পাশে আমি খোলা মাঠের মধ্রে আমি একা দাঁড়িয়ে আছি। কোথাও কেউ নেই। মেয়েটি যেন বাতাসে মিলিয়ে গেছে। আমি চাদের আলোয় রেলপথের উপর দিয়ে লোকালয়ের উদ্দেশ্য এগুতে থাকলাম।কয়েকমিনিট পরেই বাসস্টপেজ পেলাম।আমি বাসে উঠে চলে এলাম।ঘটনা এখানে শেয হলেই ভাল হত।কিন্ত না এখানেই শেয না। সকালে খবর পেলাম চিটাগাং গামী নিশিতা ট্রেন ভোরে ব্রিজ ভেংগেনদী তে পড়ে গেছে। একজনকেও জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।খবরটা শুনে আমি থমকে গেলাম।তাহলে আমার জিবন কে বাচাল? বউ আনতে আনতে মধ্যরাত্র। বাসরঘরে নববধূর ঘোমটা খুলতেইচমকে গেলাম। এই তো সেই মেয়ে! ....সমাপ্ত.....


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩১১ জন


এ জাতীয় গল্প

→ সহযাত্রী
→ সহযাত্রী
→ সহযাত্রী
→ সহযাত্রী
→ সহযাত্রী

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now