বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

অসহায় ভালোবাসা

"রহস্য" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান MD EMRAN HOSSAIN (০ পয়েন্ট)

X তখন ইমরান পড়তো ক্লাস ৯ এ। আর সিমা ক্লাস ৮ এ। অসম্ভব সুন্দরী ছিল সিমা। সিমার হাসি, কথা, চলাফেরা সব কিছুই ভালো লাগতো ইমরানের। সিমা যখন হাসতো ইমরান পৃথিবীর সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু সিমার হসির দিকেই চেয়ে থাকতো। একটি মেয়ের হাসি কিভাবে এতো সুন্দর হয়? কিছুতেই ভেবে উঠতে পারেনা ইমরান। ইমরান খেয়াল করলো সিমা একা একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে। স্কুলে সিমা অবসর সময়ে মাঠের এক কোণে গাছতলায় বসে বই পড়তো। টিফিনের সময় সিমা লাইব্রেরিতে যেয়ে গল্প-কবিতার বই পড়তো। ইমরান সব সময় সিমা কে চোখে চোখে রাখতো। যদিও সিমা এর কিছুই বুঝতো না। সিমা যখন লাইব্রেরিতে একা একা বসে বই পড়তো, ইমরান ও তখন সিমার পিছু পিছু লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তো। তবে বই পড়ার চেয়ে সিমার দিকেই বেশি তাকিয়ে থাকতো। সিমা খুব মনযোগ দিয়ে বই পড়তো, তাই তার দিকে কেউ তাকাচ্ছে নাকি তাকাচ্ছে- না এতো কিছু খেয়াল করতো না মেয়য়েটি। সিমা যখন লাইব্রেরি থেকে চলে আসতো ইমরান ও সিমারর পিছে পিছে চলে আসতো। তবে সিমা কে কিছুই বুঝতে দিতো না। ধিরে ধিরে ইমরান মেয়েটির প্রতি আরো দুর্বল হতে লাগলো। একদিন সিমা কে না দেখে সে থাকতে পারতো না। শত বাধা থাকলেও ইমরান স্কুলে ছুটে আসতো সিমাকে এক নজর দেখার জন্য। একদিন সিমাকে না দেখলে যেন একটা দিন্ই অসম্পুর্ণ থেকে যেত ইমরানের। মনে মনে সিমা কে ভীষন ভালবেসে পেলে সে। কিন্তু মনের কথা গুলো সিমাকে বলা হয়ে ওঠে না। ইমরানের মাঝে সব সময় একটা ভয় কাজ করে। যদি সিমা তাকে একসেপ্ট না করে? ইমরান কিছুতেই থাকতে পারবে না সিমাকে ছাড়া। ইমরানের সব স্বপ্ন, সব আশা শুধু সিমাকে নিয়ে ঘিরেই। এভাবেই একটি বছর কেটে যায়.. . এখন ইমরান ক্লাস ১০ এ উঠেছে। আর সিমা ক্লাস ৯ এ। গত একটি বছর ইমরান সিমাকে শুধু পাগলের মত ভালবেসে যাচ্ছে। কিন্তু তার ভালবাসার কথাটা এখনো মেয়েটটিকে বলা হয় উঠেনি। ইতিমধ্যেই সিমা বুঝে গেছে ইমরান তাকে ভালবাসে।সিমা সব বুঝেও না বুঝার বান করে থাকে... . কিছুদিন পর... ইমরান ডিসাইড করলো আজ মেয়েটি কে তার ভালবাসার কথা জানাবে। ইমরান বুক সাহস নিয়ে স্কুলে আসে। এসেই সিমা কে খুঁজতে থাকে সে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না সিমা কে সে। হঠাৎ ই সিমা কে মাঠের এক কোণে বসে থাকতে দেখে সে। সিমা একা একা বসে বই পড়ছিল। ইমরান খুব ভয়ে ভয়ে সিমার পাশে এসে বসে। সিমা ইমরান কে দেখেই উঠে চলে যাচ্ছিলো। ইমরান খুব সাহসের সাথে সিমাকে কে ডাক দেয়। সিমা দাড়ায়। ইমরান সিমার কাছে গিয়ে বলতে শুরু করে তার মনের কথা গুলো। সিমা কিছুই বলতেছে না। শুধু মন দিয়ে ইমরানের কথা গুলো শুনে যাচ্ছে। ইমরানের কথা শেষ হলে সিমা কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে যায়। আর ইমরান অবাক হয়ে সিমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। সেদিন রাতে ইমরানের একটুও ঘুম হয়নি। সারা রাত শুধু সিমা কে নিয়ে ভেবেছে... . .এরপর দুই দিন সিমা স্কুলে আসেনি। এই দুই দিন সিমা কে না দেখে ইমরান পাগলের মত হয়ে গেছিল.. . তৃতীয় দিন সিমা স্কুলে আসে। ইমরান এসে সিমাকে কে মাঠের এক কোণে সেই গাছতলে বসে বই পড়তে দেখে। ইমরান ভয়ে ভয়ে মেয়েটির কাছে এসে বসে। সিমা ইমরান কে দেখে ব্যাগ থেকে একটা চিরকুট বের করে ছেলেটির হাতে ধরিয়ে দিয়ে মেয়েটি চলে যায়। সিমা চলে যাওয়ার পর ছেলেটি চিরকুটটা খুলে পড়তে থাকে। যাতে লেখা ছিল " আমি তাকেই ভালবাসবো যে আমার জন্য অপেক্ষা করবে। ভালো তো সবাই বাসতে পারে, কিন্তু অপেক্ষা করতে পারে কয় জনে?" চিরকুটটা পড়ে ইমরান বুঝতে পারে মেয়েটি কে পেতে হলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে। তারপর থেকে ছেলেটি মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করে... এর পরই ইমরানের এস এস সি পরীক্ষা চলে আসে। আর সিমা ক্লাস ১০ এ উঠে। ইমরান এস এস সি পরীক্ষা শেষ হল। কলেজে ভর্তি হল ইমরান। এভাবে আরো একটা বছর কেটে যায়। এই সময়ের মধ্যে ইমরান সিমাকে মনে মনে ভালবেসে যাচ্ছে এবং অপেক্ষা করে যাচ্ছে সিমার জন্য। . সিমা এস এস সি পরীক্ষা শেষ হল। সিমা কলেজে ভর্তি হল ফাস্ট ইয়ারে। আর ইমরান সেকেন্ড ইয়ারে উঠলো.. . হঠাৎ একদিন ইমরান সিমাকে কে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখলো। যেন কারো জন্য অপেক্ষা করছিল সিমা। ইমরান লুকিয়ে লুকিয়ে সিমা কে ফলো করতে লাগলো। হঠাৎই একটি ছেলে বাইক নিয়ে এসে সিমার সামনে থামলো। সিমা একটি হাসি দিয়ে বাইক এর পিছনে উঠে ছেলেটি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর সেখান থেকে তারা চলে গেল। আর এদিকে ইমরান শুধু তাদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। তারা অনেক দুরে চলে গেল। সেখান থেকে তাদের ঝাপসা দেখা যাচ্ছিল। ইমরানের হঠাৎ ই বুকের মাঝে বেথা অনুভব করলো। ইমরান আর বুঝতে বাকি রইলো না যে মেয়েটি অন্য কাউকে ভালবাসে। কিন্তু কার জন্য ইমরান এতো দিন অপেক্ষা করলো ? কাকে এতো ভালবাসলো ইমরান? কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল ইমরান? কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই ইমরানের চোখে জল চলে আসে........ *ইমরানের কত স্বপ্ন কত আশা*


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩২৯ জন


এ জাতীয় গল্প

→ অসহায় ভালোবাসা
→ স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ভালোবাসা অসহায়
→ অসহায় ভালোবাসা
→ অসহায় ভালোবাসা
→ স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ভালোবাসা অসহায়

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • MD EMRAN HOSSAIN
    User ৬ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    Thanks

  • Joy
    Guest ৬ বছর, ১০ মাস পুর্বে
    sooooo good