বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

কি থেকে কি হলো

"ফ্যান্টাসি" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান shawon (০ পয়েন্ট)

X Part:1 - টিকিট কেটে বাসে উঠে দেখে দেখে জানালার পাশের সিট টাতে বসে পড়লাম।আমি আমার বন্ধু অনিকের বোনের বিয়ে তে যাচ্ছি। পুরো সিট টাতে খুব রাজকীয় ভাবে আরাম করে বসে,কানে ইয়ার ফোন লাগিয়ে গান শুনছি আর আস্তে আস্তে গাইছি। জানালার বাহিরে তাকিয়ে বাইরের মনোরম দৃশ্য দেখছি। ভালোই লাগছিল। গানের সাথে বাইরের সৌন্দর্য, সব মিলিয়ে হেব্বি মোডে আছি। - বাসের ভিতরে কি ঘটছে না ঘটছে,সেদিকে কোন খেয়াল ই নেই আমার। - আরেকটা স্টেশনে এসে বাসটা থামতেই অনেকে বাস থেকে নামল,অনেকে বাসে উঠল। - হঠাৎই অনুভব করলাম কেউ একজন কানের সামনে চিল্লাচ্ছে।তাকিয়ে তো আমি পুরোই অভাগ।মনে হচ্ছে নীল ড্রেসে কোন নীল পরী দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। কান থেকে ইয়ার ফোন টা খুলতেই শুনতে পেলাম নীল পরী বলছে,এমনিতেই কানে শুনে না,এর মধ্য কানে এক যন্ত্র লাগিয়ে বসে আছে।কথাটা খুব বিরক্তি প্রকাশ করে বলল। আমি ও ব্রু কুচকে বললাম,চোখে দেখেন না?এইটা যন্ত্র না ইয়ার ফোন। চোখ গুলো বড় বড় করে বলল, এইযে,মিঃ কি মনে হয়, আমি ইয়ার ফোন চিনি না??? - মনে তো হয়না যে আপনি ইয়ার ফোন চিনেন। চিনলে অবশ্যই যন্ত্র বলতেন না। জি না, মিঃ আমি এমনিতেই বলছি। - ওও আগে বলবেন তো,আপনি যে ইচ্ছে করেন বলছেন, বলেই একটু ব্রু কুচকে নিলাম। সাথে সাথেই মুখ বেকিঁয়ে ফালতু বলেই পাশের সীটে বসে পড়ল।মনে মনে খুশিই হলাম। যাক বাবা শেষে নীল পরীটা আমার পাশেই বসল।নিজেকে হীরু হীরু মনে হচ্ছে। আমি তো আবার ও সেই পুরোনো স্টাইলে গান শুনছি আর গাইছি। সাথে সাথেই বলে ফেললো এইযে,মিঃ নিজেকে কি শিল্পী মনে করেন নাকি??একটু চুপ করে বসে থাকতে পারেন না??অসহ্য। ধূর খাল কেটে কুমির আনলাম নাকি?পাশের সিটে বসতে দিয়েই ভূল করেছি। - আমিও একটু মেজাজ দেখিয়ে বললাম,এইযে,ম্যাডাম রাগিনী,,,আপনি একটু ভালো করে কথা বলতে পারেন না নাকি?? এইযে,ভালো করে কথা বলেন,আমি রাগিনী না রোহিনী। ওই একই হলো।শুধু বানানে একটু পার্থক্য। - জি না,আপনার মাথা। জি না ম্যাডাম।এইটা আমার সাথেই আছে। - বা বা এমন মেয়ে আমি জীবনেও দেখিনী,কেমন গায়ে পড়ে ঝগড়া করে রে,,,,, ওই ওই আপনি কি সাধু নাকি?? আপনি ই একটা ঝগড়াটে বুঝলেন?? জি বুজলাম,যে যেমন।সে অন্যকেও তেমন ই মনে করে। - ওই ওই মানে কি হুম,,,,??? - আমি বললাম,না বুজার মতো তো কিছুই বলিনি। বুজলাম কথাটায় খুব লাগছে। তাই মুখ বেকিঁয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। - আমিও জানালার বাহিরে তাকিয়ে আছি।খুব বিরক্ত লাগছিল,গান ও শুনতে পারছিনা। কারন কখন জানি গান গাইতে শুরু করি। পরে আবার রাগিনীর রাগি মুখ দেখতে হবে।তাই চুপ করে বসে আছি। - অনেকক্ষন পর লক্ষ্য করলাম,মেয়েটি একটু কেমন যানি হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে অসুস্থতা ফিল করছে। অনেকেই juarny তে দূর্বল। হয়তো মেয়েটি ও তেমন ই। কি করব বুজতেছিলাম না। সেয়েটির সাথেও কেউ নেই।মানে এখন যা করার আমাকেই করতে হবে। সাথে সাথেই ইশারা করে জানালার পাশের সিট টা দেখিয়ে বসতে বললাম।ভাবলাম বাইরের হাওয়ায় হয়তো তার কিছুটা ভালো লাগবে। মনে হলো মেয়েটি কিছু ভালো বোধ করছে। কিন্তু একটু পরে তো অবস্থা আরো খারাপ। মেয়েটি বমি করতে শুরু করে দিয়েছে।খুব বমি করছিল। কিযে করি। পিছন থেকে একজন বলছিল মেয়েটির মাথায় পানি দিতে। আমি ও তাই ব্যাগ থেকে পানি বের করে মেয়েটির মাথায় দিলাম। মেয়েটি ইশারা করে একটু পানি ঘাড়ে ও দিতে বলল। পানি ঢেলে দিলে হয়তো জামা ভিজে যাবে,তাই একটু পানি হাতে নিয়ে আলতো করে ঘাড় পানি দিয়ে দিলাম। একটু পর মেয়েটিকে ফিট মনে হলো। মেয়েটি আমাকে ডেকে বলল,ধন্যবাদ। আমি বলল,সরি। মেয়েটি একটু হেসে বলল,ধন্যবাদের রিপ্লে বুজি সরি?? আমি বললাম জি না,রাগিনী। তবে সরি কেন বললেন?? তখন আপনার ঘাড়ে ধরছিলাম তাই। ওও কোন ব্যাপার না। ওইটা তো আপনি আমার সুবিধার্থেই ধরছেন।আমি কিছুই মনে করিনি। তবে আবার রোহিনীর পরিবর্তে রাগিনী বললেই রাগ করব। ওকেকেকে,,,,,ম্যাডাম একদমই রাগিনী বলব না। কথা বলতে বলতে একটু একটু চেনাজানা হয়ে গেল। - আচ্ছা আপনার নাম কি?? এইতো রাজ। এইবার মাস্টার্স করছি। আপনি কি করেন। এইতো এইবার ইর্টার পরীক্ষা দিব। - পরে আর কি,, আমি বাস থেকে নেমে আর নীল পরীকে কোথাও দেখতেই পেলাম না। ধূর মনটাই খারাপ হয়ে হয়ে গেলো। ঝগড়া করতে করকে কখন যে রোহিনী কে ভালোবেসে ফেলেছি,বুজতেই পারিনী। নিজের প্রতিই নিজের রাগ হচ্ছিল,কেন যে মেয়েটির নম্বরটি নিয়ে নিলাম না। কি আর করার,,চলে গেলাম বন্ধুর বাড়ি। - সন্ধায় হলুদ অনুষ্ঠানে গিয়ে তো আমি পুরোই অভাগ। তাকিয়ে দেখি স্টেজে কনের পাশেই বসে আছে নীল পরি একটি হলুদ শাড়ী পরে।আমি তো ভাবলাম,হয়তো ঘোরের মধ্যে আছি তাই নীল পরীকে দেখছি। পরে ভালো করে চোখ কচলে তাকিয়ে দেখি স্বপ্ন নয় সত্যিই নীল পরী।তবে এখন নীল না হলুদ পরী মনে হচ্ছে। খবর নিয়ে জানতে পারলাম,রোহিনী আমার বন্ধু অনিকের বোনের বান্ধবী। যাই হোক ভালোই হলো,হারিয়েও পেয়ে গেলাম আমার নীল পরীকে। এখন শুধু সময় বুজে প্রোপোজ টা করে ফেললেই হলো। - কিন্তু আমরা যে পূর্ব পরিচিত তা রোহিনীর আচার আচরনে একদমই বুজা যাচ্ছেনা। ওর ব্যবহারে মনে হচ্ছে রোহিনী জীবনে কখনই আমাকে দেখে নি। - তবে আমি ও কম যাই না। অন্যান্য যে মেয়েরা এসেছে সবার সাথে ভালোই লাইন মারছি। মনে হচ্ছে কাজ হচ্ছে। রোহিনী একটু একটু ফাটছে। - আমিও লাইন মারা বাড়িয়ে দিছি। বিয়ের দিন,সকাল এক মেয়ের সাথে কথা বলছি তাও রোহিনী কে দেখিয়ে দেখিয়ে। হঠাৎ, রোহিনী এসে আমাকে ধরে সোজা রোমে নিয়ে গেল। - পরের অংশ পার্ট ২এ দেওয়া হবে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৩৩২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ জিহাদ থেকে বিরত রাখতে আয়াত নাযিল করতে হলো

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

  • গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
  • সুমন
    Guest ৬ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    ভাইয়া প্লিস চালু করে পরের পাঠ টা দিন,,,,, আপনার গল্প আমার খুবই ভাল লাগে

  • সুমন
    Guest ৬ বছর, ৯ মাস পুর্বে
    গল্পটি পড়ে অনেক অনেক ভাল লাগল প্লিস পরের পাঠ টা দিন