বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

স্বপ্নময় দার্জিলিং ভ্রমণ

"ভ্রমণ কাহিনী" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান রিয়েন সরকার (০ পয়েন্ট)

X পর্যটন শিল্পের লীলাভূমি ভারতের অন্যতম সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান দার্জিলিং। উত্তর-পূর্ব ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই পাহাড়ী কন্যাকে প্রকৃতি সাজিয়েছে তুলির নিপুণ পরশে। প্রকৃতির নৈসর্গিক ছোঁয়া পেতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক প্রতিবছর দার্জিলিংয়ে ছুটে আসেন। হিমালয়ের পাদদেশের এ শহরে আবহাওয়া একটু ব্যতিক্রম, বছরের বেশিরভাগ সময়ই বিরাজ করে শীত ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত দার্জিলিং শহরটি বছরের ৯ মাসই থাকে ঠাণ্ডা, মেঘে ঢাকা। মনে হয়, মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঝুলে থাকা মেঘমালাকে ছোঁয়া যাবে যেন। বাকি ৩ মাস পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারে সূর্য। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হয় মূল দার্জিলিং শহরে। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন ঘুম থেকে শুরু করে পৃথিবীবিখ্যাত বৌদ্ধবিহার জাপানিজ টেম্পল- দার্জিলিংয়ে দেখার মত আছে অনেক কিছুই। আছে সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব সূর্যোদয় দেখার সুযোগ। খুব ভোরে সমতল থেকে ৮ হাজার ৩’শ ফুট উঁচু টাইগার হিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় চূড়ায় সূর্যোদয়ের অসাধারণ দৃশ্যও দেখতে পাবেন দার্জিলিংয়ে। আছে ব্রিটিশ আমলের আভা আর্ট গ্যালারী, শতবর্ষের প্রাচীন মন্দির দিরদাহাম টেম্পল, দার্জিলিং চিড়িয়াখানা, পাথর কেটে তৈরি রক গার্ডেন, গঙ্গামায়া পার্ক এবং অসম্ভব সুন্দর পাহাড়চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা। মোটকথা, দার্জিলিং আপনাকে অতৃপ্ত হয়ে ফিরতে দেবে না। কখন যাবেন, কিভাবে যাবেনঃ শীতের শুরু বা শেষের দিক দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য ভালো। বর্ষায় পাহাড়ে ধস নামে, শীতে সে ভয় নেই। বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য রেলপথ, সড়কপথ আর আকাশপথ সবগুলোই আছে। আকাশপথে জেট এয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বা বাংলাদেশ বিমানে চড়ে সরাসরি কলকাতা, সেখান থেকে আবার বিমানে শিলিগুড়ি, সেখান থেকে চান্দের গাড়িতে দার্জিলিং যাওয়া যায়। আর এতো ঝামেলা করতে না চাইলে বাসে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে শ্যামলী বাস সার্ভিস সরাসরি শিলিগুড়ি নিয়ে যাবে। ভাড়া পড়বে ১৬০০, সাথে ভ্রমণকর ৩০০টাকা। সেখান থেকে চান্দের গাড়িতে দার্জিলিং, ভাড়া পড়বে ১৪০ বা ১৬০ রূপি। ট্রেনেও যেতে পারেন দার্জিলিং। মৈত্রী ট্রেনে টিকিট কাটতে হবে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে। কোথায় থাকবেনঃ দার্জিলিং শহরে সব মানের হোটেল আছে। ঠকতে না চাইলে দালাল এড়িয়ে নিজে হোটেল ঠিক করুন। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বেলভিউ, সাগরিকা, সোনার বাংলা, মহাকাল হোটেল বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া পড়বে ১০০০ রুপি। ডাবল রুমের ভাড়া ১২০০ রুপি। আর তিন বেডের রুমের ভাড়া ১৫০০ রুপি। হোটেল ঠিক করার সময় গরম পানি আর রুম হিটারের ব্যবস্থা আর বেড়ানোর জন্য জিপসহ তাৎক্ষণিক সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। তবে আর দেরী কেন? ঘুরে আসুন পাহাড়-কন্যা দার্জিলিং থেকে!


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৬৪৬ জন


এ জাতীয় গল্প

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now