বাংলা গল্প পড়ার অন্যতম ওয়েবসাইট - গল্প পড়ুন এবং গল্প বলুন

বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা

আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ

ভ্রুম ( অদৃশ্য ভালবাসা - ৩ )

"রোম্যান্টিক" বিভাগে গল্পটি দিয়েছেন গল্পের ঝুরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান লিখন (০ পয়েন্ট)

X সহস্র রজনী পেরিয়ে। ঘুমের রেশ এড়িয়ে। ছুটে চলছি দিগন্তের পানে। সারি সারি পাথর। ঘর্ষণেও জ্বলে ওঠে - তীব্র আকাঙ্খায়। না পাওয়ার ছলে, সিক্ত চোখের জলে, হারিয়ে ফেলি তোমায়। হারিয়ে যায় বেশ, রক্তিম আভায় প্রাণবন্ত সুনালী কেশ। মলয়ের ছোঁয়া লাগি, কেশের ফাঁকে ফাঁকে লোহিত গোধূলির হাসি। হাসিটুকু ছড়িয়ে দুহাত মেলিয়ে আবগাহন করে ধূ-ধূ ধূসর মরুভূমি। পূর্ণ অভ্যন্তরীণ কোণ বেঁকে গিয়ে শূণ্যতায় আশ্রয় নেয়। তৃষ্ণার্ত কাকের মতো জলে সন্ধানে অবিরত মরিচিকা দেখি তাই। তবুও যেন সে এক রহস্যময়ী নারী। দ্রুত বেগে চলে সে রথ। ধূধূ করে ওঠে মনের প্রান্তর। অমানিশার মতো নিকষ কালো অন্ধকার ছেঁয়ে যায় চারিপাশ। দেখতে পাই একটা আলোর ঝলক। সাথে ঝকঝক একটা বিকট সুর। শাড়ির আঁচল দুলে লেপটে যায় মুখবিবরে। সাথে রথটা মৃদু মলয়ে দুলে। ইশারায় আমাকে ডাকে। দৌড়ে যাই সম্মুখে। অথচ তার হাসি মুখটা আর দেখা হয় না। টান পড়েছে জামাতে। হট্টগোল শোনা যায়। আর আলোক রেখা আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়। - কি ভাইজান, ট্রেনের নিচে পরে মরতে চান।আত্মহত্যা করতে চান বুঝি। - কি বলছেন এসব? কেন আত্মহত্যা করব? - মাথাটা গেছে নাকি আপনার? - তা জানি না। তবে আমি এখানে কিভাবে? - নিজের কথা নিজেই জানেন না। এ কিভাবে হয়? - ঠিক তা নয়। আমি চলছি নিজস্ব গন্তব্যে। অদূর থেকে ভেসে আসে করুণ কণ্ঠস্বর। ক্রমশ তা তীব্রতর হয়। পরিচিত কণ্ঠস্বর। তবে হাঁপানির মতো ফুসফুস করে বের হচ্ছে কথা। - ভাইয়া, এই ভাইয়া, কোথায় গিয়েছিলি? (হাঁপাতে হাঁপাতে )। - আপনার ভাই ট্রেনের নিচে পরতে গিয়েছিল।ভাগ্য ভাল, ওকে আটকানো গেছে ( এক ব্যাক্তি )। - ভাইয়াআআ.. আমি এসব কি শুনছি? - মাথাটা তুলতে পারছি না। চল্। ধূসর মরুভূমি, আমি তৃষ্ণায় পাগল। জলের জন্য হাহাকার করে উঠি। নেমে আসে নিকষ কালো অন্ধকার! এরপর এক অচেনা জগৎ। মুহূর্তে হারিয়ে যাই। সেই চপলা মেয়েটি যে রথটি নিয়ে ছুটে চলছি পাহাড় পেরিয়ে। ধরতে গিয়ে পাহাড় হতে পড়ে যাই। চিৎকার করে উঠি। - ভাইয়া, দুঃস্বপ্ন দেখেছিস বুজি। পানি খেয়ে নে। বলছিলাম না আর অদ্ভুত কোন চিন্তা করবি না। - বাবা, শান্ত হয়ে শুয়ে পড়।চিন্তা করিস না তো! - মা, কাকে কি বলছো? ভাইয়া শুনবার পাত্র নয়। সবুজে ঘেরা শহর। অন্যরকম অনুভূতি। সাদা সাদা মেঘে সূর্যের হাসি। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি। দৃষ্টি যেন দৃষ্টির বাহিরে। মৃদু মলয়ে ছন্দে ছন্দে এক বসন্ত বিলাপ করি। আর ভাবি, কোথায় সে রথ, কোথায় সে সুর আর অচেনা অদেখা সেই চপলা মেয়েটি? অন্য রকম ভোর। জেগে উঠি সহসা। আর পড়ে রয় এক অদৃশ্য ভালবাসা। - চলবে।


এডিট ডিলিট প্রিন্ট করুন  অভিযোগ করুন     

গল্পটি পড়েছেন ৪১২ জন


এ জাতীয় গল্প

→ ভ্রুম ( অদৃশ্য ভালবাসা-শেষ)
→ ভ্রুম ( অদৃশ্য ভালবাসা -৪)
→ ভ্রুম ( অদৃশ্য ভালবাসা - ২)
→ ভ্রুম ( অদৃশ্য ভালবাসা)

গল্পটির রেটিং দিনঃ-

গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন