বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
ফোনের বিরক্তকর আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। তাই চোখ না খুলেই ফোনটা কেটেঁ দিলাম। একবারও দেখার ইচ্ছা হলো না এটা কে ছিল? আমি পুনরায় ঘুমের মাঝে মনোযোগ দিলাম। কিন্তু আবার আমার মনোযোগ নষ্ট করে দিলো এই মোবাইল। মেজাজটা একদম নষ্ট করে দিলো। তাই ফোনটা কে দিয়েছে, না দেখেই ফোনটা রিসিভ করে বললাম...
-- ওই কেরে বিয়ের নিমন্ত্রণ দিতে আমার ঘুম নষ্ট করছিস। ঘরে কি বাপ ভাই নাকি রে....
-- বাবা আর ভাই দুইটাই আছে শুধু বয়ফ্রেন্ডটা এখন বুঝছে না।(মেয়েলী কন্ঠ)
কোন জবাব না দিয়ে কে ফোন দিয়েছে দেখতে মনোযোগ দিলাম।ও প্রিয়া ফোন দিয়েছে। তাই তো বলি আমার ঝাড়ি দেওয়া কথায় কে এত্তো মিষ্টি জবাব দেয়। প্রিয়া হলো আমার জি এফ বলা চলে ।ফোনটা কানে নিয়ে বললাম...
-- আরে প্রিয়া সরি আমি তো বুঝতেই পারি নি তুমি ফোন দিছো গো।
-- জানি এটা বলতে হবে না। তুমি ঘুমের চোখে উল্টা পাল্টা বলে ফেলো।
-- তুমি কত্তো বুঝো আমায়। তোমার মতো জি এফ যেন ভগবান সবার কপালে দেয়।
-- ওই আমাকে সবার কপালে দিবে মানে?
-- আরে না ভুল হয়েছে। বলবো তোমার মতো মন মানসিকা বিশিষ্ট জি এফ যেন সবার কপালে জুটে।
-- হইছে এতো তারিফ বন্ধ করো। তারাতারি ফ্রেশ হয়ে সিটি সেন্টার শপিং কমপ্লেক্সে চলে আসো। আমি ১০ মিনিট পর বের হবো।
-- কেন গো? (ভয়ে ভয়ে বললাম কারন পকেটের অবস্থা তেমন ভাল না)
-- ভয় পেও না। তারাতারি চলে এসো তো।
-- ওকে।
কথা বলা শেষে ফোনটা রেখে দিলাম। আমি মাঝে মাঝে ভাবি আমার কপালটা সত্যি পাচঁ আঙ্গুলের নাকি যে প্রিয়ার মত মেয়ে আমার জি এফ হলো। আমি অদ্ভুদ একটা অগোছালো বান্দরের সাথে কেমন করে যেন মানিয়ে নিয়েছে। মাঝে মাঝে তো নিজের উপরও সন্দেহ হয়, প্রিয়া আমাকে এত্তো ভালবাসে কেন? ওর মত জি এফ যদি সকল ব্যাচেলার ছেলের কপালে জুটতো তাহলে বাংলাদেশ হয়ত জনসংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম হতো। সরি, বলবো দেশটা যুব উন্নয়নের সংখ্যার দিকে প্রথম হবে। আর লেট না করে বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
.
ঠিক ৩০ মিনিট পর ফুলবাবুর মত বাসা থেকে বের হলাম। আমি জানি আমি যতই তারাতারি যাই না কেন? আমার আগে প্রিয়া এসে হাজির হবেই। তবু ও কখনো রাগ করে নি, বরং বারবার আমায় বলে "বাবু একটু সাবধানে আস্তে আস্তে এসো "।
আমি শপিং মলে যেতে প্রায় ১৫ মিনিট লেগে গেল। আমি শপিং মলের কাছে এসেই প্রিয়াকে ফোন দিতে যাবো তখনই মোবাইল টা বেজেঁ উঠলো। ফোনটা রিসিভ করতেই প্রিয়া বলল...
-- বাবু ২য় তলায় One man Dress Corner এ চলে আসো।
-- হুমম
আচ্ছা প্রিয়া বুঝলো কেমন করে যে আমি চলে এসেছি? আজব পাবলিক তো। এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু। আমি আর লেট না করে ওর কথা মত দোকানে চলে গেলাম। আমি দেখি ও কিছু শার্ট দেখছে। এই দোকানে সব এক দাম। আমি শুধু চুপচাপ ওর পাশে দাড়িয়ে দেখছি। মনে হয় প্রিয়া ওর ভাইয়ের জন্য কিছু কিনবে। ইশশ আমাকে যদি কেউ কিনে দিতো...
.
-- রাজ দেখো তো শার্ট টা তোমায় কেমন লাগবে?
ও তেরি মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল আর মেয়ে বলে কি? আমি শার্ট টা নিয়ে আয়নাতে গায়ে লাগিয়ে বললাম...
-- ভালোই তো কিন্তু কেন?
প্রিয়া আমার কথার কোন জবাব না দিয়ে দোকানের লোক কে বলল...
-- ভাইয়া একটু প্যাক করে দেন তো।
আমি প্রিয়ার ভাব গতি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি তো সাথে করে বেশি টাকা আনি নি। গতকাল রাতে পূজার শপিং করতে বাবা যে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে এটাই আছে। অবশ্য এখানের ৫ হাজার টাকা গরীবদের জন্য।
আমি চুপচাপ দাড়িয়ে দেখছি প্রিয়ার টাকার জন্য কিছু বলে কি না? কিন্তু উল্টা ও আমায় অবাক করে দিয়ে নিজেই দোকানদারকে টাকাটা দিয়ে দিলো। ১৮০০ টাকা দিয়ে মাত্র একটা শার্ট তাও আমার জন্য। আমার হাতে ব্যাগটা দিয়ে বলল...
-- কি হলো বাবু মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন? বাসা থেকে মনে হয় খেয়ে আসো নি।
-- আসলে...
কথাটা বলার আগেই থামিয়ে দিয়ে বলল...
-- হইছে কিছু বলতে হবে না। চলো তোমার বাকি শপিং গুলো শেষ করে নেই। তারপর এক সাথে সকালের নাস্তা করবো।
-- আমার শপিং।(অবাক হয়ে)
-- ওমা এতো অবাক হচ্ছো কেন? আমি বুঝি তোমাকে কিছু দিতে পারি না হুমম।
.
আমি আর কিছু বলি নি। শান্ত ছেলের মত চুপচাপ ওর পিছন পিছন হেটেঁছি আর মাঝে মাঝে মাইকেল ডান্স করেছি। এমন জি এফ কয় জনের ভাগ্যে জুটে রে বাপু।
.
আমাকে সাথে নিয়ে প্যান্টের দোকান থেকে সাড়ে তিন হাজার দিয়ে একটা প্যান্ট কিনে দিলো। তারপর আড়াইশ করে ৪টা টি-শার্ট কিনে দিলো। আমি তো খুশিতে এখন লুঙ্গি ডান্স দিতে ইচ্ছা করছিল। এরপর জুতার দোকান থেকে আড়াই হাজার দিয়ে জুতা কিনে দিলো। আমি তো আরো হতবাক। এরপর আমি অনেক মানা করা শর্তেও আমাকে জোর করে কসমিটিক্সের দোকানে নিয়ে ছেলেদের বডি স্প্রে আর চুলের জন্য জেল কিনে দিলো।
এরপর আমার হাতটা ধরে ৪ তলার একটা হোটেলে নাস্তা করতে নিয়ে গেল। প্রিয়া খাবারের অর্ডার দিয়েছে আর আমি প্রিয়ার দিকেই দেখছি। আজ পর্যন্ত কোন মেয়ে হয়ত তার বয়ফ্রেন্ডকে এতো কিছু গিফট করে নি। আমার জন্য প্রায় ১০ হাজার টাকার খরচ। ও মা গো, ভাবতেই তো নাচ উঠে। আমার তাকিয়ে থাকা দেখে প্রিয়া বলল...
-- কি হলো বাবু এমন করে কি দেখছো?
-- দেখছি না ভাবছি আমি কত ভাগ্যবান হলে তোমার মত এমন জি এফ পেয়েছি।
-- ধ্যাত তুমি একটু বেশিই বলছো। আসলে বাবা আমাকে শপিং করতে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে কিন্তু আমার তো গত নববর্ষেরর জামা পড়েই আছে। আবার নতুন জামা দিয়ে কি করবো? এর চেয়ে বরং তোমাকে কিছু কিনে দিলাম আর বাকি টাকা দিয়ে আমি কিছু কিনে নিবো।
-- ও মা গো, তুমি কত্তো ভালো। তোমার এখন গিনিস বুকে নাম উঠা প্রয়োজন।
-- যা তুমি যে কি বলো না গো। (লজ্জা পেয়ে)
এরপর খাবার চলে আসলো আর আমরা দুইজনে বসে বসে খাচ্ছি আর একজনে আরেক জনকে দেখছি। আহা কত্তো কিউট যে লাগছে আমার জানুটাকে।
.
হঠাৎ আমার মোবাইলটা বেজেঁ উঠলো আর আমি লাফিয়ে উঠলাম আর তখনই নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম। যা শালা এতক্ষণ তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম। তবে যাই হোক, স্বপ্নটা কিন্তু হেব্বি ছিল। ইশশ প্রিয়া যদি সত্যি সত্যি আমার সাথে এমন করতো। সামনেই তো পূজা আসতে চলেছে। আমি মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলাম প্রিয়ার ফোন। ওরে মা গো সকালের স্বপ্ন তাহলে সত্যি হতে চললো বুঝি। ফোনটা রিসিভ করতে যাবো তখনই ফোনটা কেটে গেলো। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি ১৭টা মিস কল। ওরে বাবা এতক্ষণ ধরে কল দিছে আর আমি ঘুমাচ্ছি। তাই আর লেট না করে ফোনটা ব্যাক করলাম। প্রিয়া ফোনটা রিসিভ করেই বলল...
-- ওই এত্তোক্ষণই নাকি ফোন ব্যাক করতে। কয়টা মিস কল দিয়েছি হিসাব আছে।
-- হুমম ১৭টা দিয়েছো। আমি তো ভাবলাম ১৭ বার কল দিয়েছিলে।
-- হুমম এবার চুপ করো। শুনো সামনে তো পূজা আসতে চললো। কোন প্ল্যান আছে শপিংয়ের।
-- হুমম গতকাল রাতে গরীবদের সহ আমাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে।
-- ওরে আমার বাবুটা তারাতারি সিটি সেন্টার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে চলে এসো। আজ এক সাথে শপিং করি।
-- ওকে ৩০ মিনিট পর বের হচ্ছি।
-- ওকে জানু টা টা।
হায়রে কপাল স্বপ্নের জি এফটা কত্তো ভালো ছিল আর বাস্তবে পুরো রিনা খানের পালিত মেয়ের মত। ভাল্লাগে না এইটাকে।স্বপ্নে প্রিয়া কত্তো ভালো আর বাস্তবে
। প্রথম প্রথম কত্তো ভালবাসতো আর এই ভাল তো এখন বাসেই না বরং বাবু এইটা দাও, বাবু ওইটা দাও। শুধু গিফট আর গিফট খুজেঁ। যদি OLX এ গার্লফ্রেন্ড বিক্রি করা যেতে তাহলে ওরে বিক্রি করে অন্তত কিছু টাকা রোজগার করতাম।
.
বাপের দেওয়া টাকা গুলো নিয়ে রওনা দিলাম শপিং মলের দিকে। আমি এসে প্রিয়াকে ফোন দিতেই প্রিয়া বলল...
-- ও বাবু তুমি চলে এসেছো?
-- হুমম কিন্তু তুমি কোথায়?
-- এই তো লিভিস্টিকের লাস্ট টাচ টা দিয়ে বাসা থেকে বের হবো।
-- ওয়াও কত্তো একটিভ তুমি।
-- বাবু এভাবে বলো না তো, আমি না তোমার একটা মাত্র জি এফ। আর তুমি আমার ১৩ নাম্বারের বি এফ।
-- বকবক না করে তারাতারি এসো।
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। ইচ্ছা করছে চিৎকার মেরে একটু কাদিঁ। ও ঈশ্বর, দিছো তো দিছো এমন জি এফ দিছো, যা না দিলেই পারতে। আগে যখন সিঙ্গেল থাকতাম তখন ভাবতাম আমার একটা জি এফ হতো। আর যখন এই মহা মানবীটা জুটেছে, এর ২ মাস পর থেকেই ঈশ্বরের কাছে প্রতিদিন বলছি আমার ব্রেকআপ করিয়ে দাও। সিঙ্গেল ছিলাম এটাই তো ভাল ছিল। এত্তো প্যারা কেন এই রিলেশনে?
.
আমি শপিং মলের ২য় তলায় One Man Dress Corner এ ঘুরে ঘুরে কিছু শার্ট দেখছিলাম আর তখনই প্রিয়ার ফোনটা চলে আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করে ওরে এই দোকানটাকে আসতে বললাম। আমার সামনে এসেই বলল...
-- এই যে বাবুটা দেখো তো আমায় কেমন লাগছে?
-- কেমন লাগছে সেটা বলতে পারবো না? কিন্তু কেমন লাগছে না সেটা বলতে পারবো?
-- ওকে তাহলে বলো কেমন লাগছে না?
-- মান সম্মত কোন ফ্যাশন বা মেকাপের সাথে যাচ্ছে না। আসার সময় মনে হচ্ছে বাজারের আটার দোকানটা হয়ে এসেছিলে।
-- কি বললে?
-- আরে কিছু না, একটু মজা করছিলাম।
-- রাখো তোমার মজা। চলো তো পাশের দোকানে, ওইখানে ভালো ড্রেস পাওয়া যায়।
স্বপ্নের মতো কিছুই হলো না। আমাকে এই ছেলেদের দোকান থেকে কিছু কিনে না দিয়ে আমাকে নিয়ে লেডিস দোকানে গেল।প্রথমে আমাকে একটা নীল রংয়ের ড্রেস দেখিয়ে বলল...
-- বাবু এটা কেমন লাগবে আমায়?
-- হারপিকের বোতলের মত।
-- তুমি না একটা যা তা।
আমার সাথে কথা বাদ দিয়ে শপিংয়ে মনোযোগ দিলো। প্রথমে একটা ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটা ড্রেস নিলো। আমি তো ভাবলাম টাকা টা ওই দিবে। কিন্তু প্রিয়া আমার সামনে এসে বলল...
-- বাবু বিলটা একটু দিয়ে এসো তো। আরো অনেক ঘুরতে হবে ।
কোন জবাব না দিয়ে দাতেঁ দাত চেপে বিলটা পরিশোধ করে প্রিয়ার পিছন পিছন ঘুরতে লাগলাম। এরপর এভাবে ঘুরে ঘুরে আরো ৪টা জামা কিনলো। আর এদিকে আমার টা ১৫ হাজার থেকে এখন আড়াই হাজার বাকি। নিজের কপালে তো কিছু জুটলো আর এই দিকে গরীবেরও কিছু জুটলো না। আমি একটু রাগ রাগ ভাব নিয়ে বললাম...
-- ওই পাচঁটা জামার মানে কি?
-- ও মা একটা ষষ্টিতে,একটা সপ্তমীতে,একটা অষ্টমীতে,একটা নবমীতে আর একটা দশমীতে পড়বো।
-- ও বাব্বা কত্তো হিসাব। আচ্ছা তোমার বাবা না তোমাকেও শপিংয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। ওইটা কোথায়?
-- ও বলা হয় নি তো। ওইটা দিয়ে তো কাল রাতে শপিং করে গেলাম। ৫টা জামা তো কিনেছে। তবে তোমার দেওয়া গুলো সকালে পড়বো আর আমার গুলো রাতে।
-- হুমম বুঝলাম আর কিছু কিনার বাকি আছে।
-- আরে হে, চলো কসমিটিক্সটা কিনে নেই। কাল তো জুতা কিনে ফেলেছি তাই আর লাগবে না।
-- ও মা কিনা হয়ে গেছে, আমি তো ভাবলাম আমিই কিনে দিবো।
-- হইছে এখন চলো তো।
তারপর কসমিটিক্সের দোকান থেকে কত্তো ধরের জিনিস যে কিনলো আমি হয়ত বাপের জন্মের এইসব দেখে নি। এখানে আমার ২ হাজার চলে গেল। এবার হাতে বাকি আছে ৫০০ টাকা।
প্রিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে জিনিস গুলোর ওজন ও নিতে পারছে না। তখন আমি বললাম...
-- হায় হায় এত্তো কিছু কিনলে আর ওজন নিতে পারছো না।
-- না না ঠিক আছে। এই রাজ তোমারই তো কিছু কিনা হলো না।
-- ও মা আমার আবার পূজা নাকি। আমার শিপিং লাগবো না।
-- তাই বললে কি হয়? আমি না তোমার জি এফ, তোমাকে তো কিছু দেওয়া উচিত। তুমি আমাকে কিছু না দিলে নেই তবুও আমি তো তোমাকে কিছু দিবোই হুমম।
-- বাহ্ ভূতের মুখে রাম না, চলো তাহলে।
তারপর প্রিয়া আমাকে নিয়ে আবার দুতলায় আসলো। আমি তো ভাবছি আমার স্বপ্নটা বুঝি সত্যি হতে লাগলো। আমার মনে সব দুঃখ কেটে যেতে লাগলো। আর তখনই এক দোকান থেকে মাত্র আড়াইশ টাকা দিয়ে একটা টি-শার্ট আমার হাতে ধরিয়ে দিলো। দিছে তো ভালো কথা মাগার একবারও জানতে চাইলো না আমার পছন্দ হয়েছে কি না?
.
২ জনেই শপিং মল থেকে বের হলাম। পকেটের জ্বলনিতে মন চাইতাছে কান্না করি। আমি আর প্রেম করমু না গো, এই কান ধরলাম। বার বার ইচ্ছা হচ্ছে এটাই বলি। তখন প্রিয়া বলল...
-- এই যে বাবুটা তুমি কত্তো পাষাণ দেখো তো। আমার মুখটা কত্তো শুকনা লাগছে আর একবারও সকালের নাস্তা করতে বললে না।
-- ওরে আমার বইন তুই একটু থামবি এবার
-- বইন মানে?
-- বইন মানে খাটিঁ ভাষায় বোন। তুই আমার ধর্মের বইন লাগোস। দয়া করে আর একটা কথাও বলিস না। যখন তুই আমার লাইফে আসলি তখন থেকে আমার জীবনটাকে চাটনী বানিয়ে ছাড়লে। ভাবলাম তোরে বিয়ে করে লাইফ লং করবো। আর তুই তো আমার পকেটের দিন দিন লাল বাত্তি জ্বালাই দিলি। আর আজকে তো, থাক আর কইলাম না।প্রেমের কারনে তো এখন আমার লো প্রেশার হইছে। চোখে শুধু অন্ধকার দেখি। আমার মাথা ব্যাথা তো আছেই । মানুষের তো বছরে কোন স্পেশাল দিন আসে আর তোর তো প্রতিদিনই কোন না কোন স্পেশাল দিন। গত পরশু দিন বলোস " বাবু আজকের দিন ৯ নাম্বার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আমার ব্রেকআপ হয়েছিল, আজ কোন গিফট দিবা না "। আচ্ছা এইসব কিছু হলো বল তো। আর এমন করে বাবু ডাকোস মনে হয় আমি তোর বাচ্চা।আরেকটা কথা, বইন আজকে আমাকে পাচঁটা জামা কিনে শপিং করে দেওয়া জন্য থ্যাংকস। আসলে আমার কাজিন বোনদের কখনো আমি কোন গিফট দেই নি।তবে আজকে পূজার আসছে বলে আজ যে জামা গুলো কিনেছে তা দিতে পারবো। আর হা বইনে কসমিটিক্স গুলো আমি তোরেই গিফট করলাম। আমি গেলাম বাই।
.
আমি প্যাকেট গুলো নিয়ে একটা রিকশা উঠে গেলাম। আর ওই দিকে প্রিয়া দাড়াই আছে। গত ৪ মাসে আমার থেকে মনে হয় ৫০+ গিফট নিয়েছে। আর সপ্তাহে ৪ দিন ঘুরতে গেলেই এইটা খাবো ওইটা খাবো। আমাকে কিছু দিয়ে ছিল কি না মনে পড়ছে। আমি সিঙ্গেল ছিলাম ভালই ছিলাম। এই মেয়ে হয়ত আজকে আমি গেছি কালকেই অন্য কাউকে জুটিয়ে ফেলবে কিন্তু ওর কারনে পরিবারে যে কম সময় দিয়েছে তা আমি পূরন করতে পারবো না। তবে এবার পূজাটা আমি সবার সাথেই কাটাবো। ওর সাথে এসে টাকা গুলো পানিতে ফেলার কোন মানে হয় না। এবার জি এফের দেওয়া গিফট গুলো বোনদের দিবো। আর ওদের সাথেই পূজা করবো। আর আজীবন সিঙ্গেল থাকবো। সিঙ্গেল থাকবো তো টেনশন ফ্রি থাকবো। সব মেয়েরা এক হয় না, আবার সব ছেলেরাও কিন্তু এখন হয় না বাপু।
লেখক:- অলিভার কুইন(শুভ)।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
SHUVO SUTRADHAR
Golpobuzz ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেআমি কে.....
User ৩ বছর, ১১ মাস পুর্বেরামিশা নূর রাওহা
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেখোলা ডায়েরি
User ৫ বছর, ৭ মাস পুর্বেOliver Queen(ShuvO)
Author ৫ বছর, ৭ মাস পুর্বেশাহরিয়ার রিও
Golpobuzz ৫ বছর, ৭ মাস পুর্বে♣Blue Butterfly ♣
User ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বেOliver Queen(ShuvO)
Author ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বে♣Blue Butterfly ♣
User ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বেঅচেনা অপ্সরী...(IsraT)
User ৫ বছর, ৮ মাস পুর্বে