বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
শেষ পর্ব
তানভীর মার্জানা
আজকে ৩ বছর প্রিতি ???????? আজকে ৩ বছর তুমি আমার কাছ থেকে দূরে????
আমাকে কি একবার মাফ করা যায়না??
আমি কি এতো বড় অপরাধ করেছি??
হ্যা আমি জানি প্রিতি আমি অনেক বড় ভূল করেছি কিন্তু
প্লিজ প্রিতি ফিরে আসো ????????
আমি আর পারছিনা থাকতে।
এতো বড় সাজা আমাকে দিয়ো না প্রিতি।।????????
আমার বাচ্চার মুখটাও দেখতে দিলানা??
রেডিওতে জিহান কান্না করে করে এইসব বলছিলো।।
হে আজকে ৩বছর কেটে গেলো কিন্তু প্রিতির কোনো খবর পাই নি জিহান
এমন কোনো জায়গা নেয় যেখানে জিহান খুজে নি প্রিতিকে।।
খবরের কাগজ থেকে শুরু করে সবখানে প্রিতিকে খুজেছে জিহান।।
সব পার্ক সব দোকান সবকিছু।।
এখনও খুজছে।। ????????
সে কাজকর্ম সবকিছু ছেড়ে দিছে।।
শেষ চেষ্টা তার সে এখন একটা রেডিওতে কাজ করে।।।
ওখানে প্রিতিকে প্রতিদিন খবর পাঠায়।।
তার কণ্ঠ শোনে প্রতিদিন ১৩০০ হাজার মানুষ।।
সবাই বলে আপনি আপনার প্রিতিকে একদিন ঠিক পাবেন।।
......................
মা ওই ছবিটা কার??
প্রিতি:- এইটা আমার দুনিয়া মা।।
:- তুমি যে কান্না করো প্রতিদিন সে মানুষটা??
প্রিতি:- হে মা।।
:- স্কুলে সবার বাবা থাকে আমার নেয় কেনো মা??
প্রিতি:- কে বলেছে তোমার বাবা নেই?? এই যে দেখছো এই ছবিটা এইটা তোমার বাবা।।
:- মানে এইটা তোমার বর??
প্রিতি:- হে মা।।
:- তাহলে সে আসেনা কেনো?? সবার বাবাকে দেখি আমি কিন্তু আমার বাবা আসেনা।।
প্রিতি:- এই যে তোমার নাম প্রিজিসা রেখেছি এইটা তোমার বাবার দেওয়া নাম।।
আজ থেকে ৩.৫ বছর আগে.....
জিহানের বুকে প্রিতি ঠোট ২টা একসাথে।।
জিহানের বুকে প্রিতি
শরীরে কেবল চাদরটাই ছিলো।।
জিহান:- বাবুর মুখটা কবে দেখবো??
প্রিতি:- আল্লাহ যখন চাইবে তখন।।
জিহান:- আচ্ছা বাবুর নাম ঠিক করে রাখি চলো।।
প্রিতি:- এখন থেকে??
জিহান:- বাবু আসতে আর বেশি দেরি নাই।। ????????
প্রিতি:- যাও।।
জিহান আর প্রিতি আবার দুষ্টামিতে লেগে গেলো।।????????
জিহান :-পেয়েছি!!
প্রিতি:- কি পেয়েছ??
জিহান:- প্রিজিসা!!!
প্রিতি:- কি??
জিহান:- আমাদের মেয়ের নাম।।
প্রিতি:- তুমি কেমনে জানলা মেয়ে হবে??
জিহান:- জানিনা।। মেয়ে হবে প্রথমে তুমি দেখে নিয়ো।।
প্রিতি:- একদম না।। ছেলে হবে।।
জিহান:- না মেয়ে।।
প্রিতি:- না ছেলে।। ????????
............
প্রিতির চোখ ভিজে গেলো।।
প্রিজিসা ঘুমিয়ে গেছে।।
প্রিতির কথাগুলো শোনছিলো সুফিয়া।।
হে সুফিয়া সে যে আমাকে বাচিয়েছে।।
সেদিন.....
প্রিতি হাটছিলো।।
কিছু দেখছে না।।
পাগলের মতো হাটছে কেবল
চোখগুলা ভিজা।।
কোথায় হাটছে কেমনে হাটছে সে কিছু জানেনা।।
সে রাস্তায় চলে আসে হাটতে হাটতে।।
হঠাৎ লাইটের আলো পড়ে তার চোখে আর কিছু জানেনা।।।
চোখ যখন খুলে তখন সে বিছানায় শুয়ে আছে।।
পাশে একটা মহিলা।।
:-আপনি উঠবেন না।।
প্রিতি:- আমি এখানে কেনো??
:- আপনি আমার গাড়ির সামনে এসে পড়েছিলেন তাই।।
প্রিতি সাথে সাথে তার পেটে হাত দিলো।।
প্রিতি:- আমার বাচ্চা!!!
:-ভয় নাই। আমি ডাক্তার সুফিয়া।। আপনি আর আপনার বাচ্চা ২জন ভালো আছেন।। আচ্ছা আপনার বাড়ি কোথায়?? আমি আপনাকে আপনার বাসায় দিয়ে আসি নাহলে সবাই টেনসেন করবে।।
প্রিতি কান্না করে দিলো।।
প্রিতি:- আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।। আমার বাসা নেয়।।আপনি আমাকে আপনার বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে আমাকে রেখে দিন প্লিজ।।????????
সুফিয়া:- ছি।। এই আপনি কি বলছেন?? আপনি আমার বাসায় থাকতে পারেন যত ইচ্ছা।।
প্রিতি সুফিয়াকে সব খুলে বললো।।
সুফিয়ার চোখ ভিজে গেলো প্রিতির কথা শোনে।।????????
সুফিয়া প্রিতিকে তার কাছে রেখে দিলো।।
..................
সুফিয়া:- প্রিজিসা তো ঘুমিয়ে গেছে এইবার তুমিও ঘুমাও।।
প্রিতি:-একটু পর।।।
সুফিয়া:- রেডিও শোনবে তাই না??
প্রিতি:- হ্যা।। ????????
সুফিয়া:- কি লাভ??
প্রিতি:- প্লিজ।।
সুফিয়া:- আচ্ছা।। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেও।।
সুফিয়া চলে গেলো।।
রাত ১১টা।।
জিহানের show শুরু।।
জিহান:- আজকে আমি আমার সেই কাহিনি বলবো যার কারনে আমি প্রিতিকে কষ্ট দিয়েছি।।
:- আজ থেকে মনে হয় ৬বছর আগে আমার এক রিলেশন ছিলো।।
তার নাম মিনু।। মেয়েটা মডেল ছিলো।।
তার ছবি দেখে আমি তার প্রেমে পড়ে যায়।।
ফেসবুকে তাকে মেসেজ করি।।
সে আমাকে রিপ্লাই করছিলো।।
এইভাবে কথা হয় আমাদের।।
একদিন সে আমাকে দেখা করার জন্য বললো।।
আমি রাজি হয়ে গেলাম।।
রমনা পার্কে যেতে বলে আমাকে আমি গেলাম।।
সে আমাকে প্রোপোজ করে।।
আমি তাকে গ্রহন করে নি।।
অনেক ভালোবেসেছিলাম তাকে প্রিতি অনেক।।
কিন্তু সে আমার বাবার টাকাকে ভালোবাসতো আমাকে না।।
আমার বাসায় থাকে সে কয়েকদিন।।
আমার মা বাবা সবার সাথে মিশে যায়।।
বাবা আমার জন্য ১৫লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছিলো আর আমি বুকার মতো তাকে বিশ্বাস করে বলে দিয়েছিলাম।।
তার লোভ ছিলো আমার ওই টাকার উপর।।
একদিন সে ঠিক এইভাবে আমার জন্য ঘর সাজিয়েছিলো যে ভাবে তুমি সাজিয়েছিলে আমার জন্য সেদিন
ঠিক ওই শাড়িটা পড়েছিলো যেটা তুমি পড়েছিলে।।
আমার সাথে নাটক করে আমার কাছ থেকে সাইন নিয়ে নেয় সে।।
তারপর শাড়িটা খুলে আমার মুখে মারে।।
আমি সেই শাড়িটা রেখে দি।।
শাড়ির ভিতরে তার একটা ছোট জামা ছিলো।।
সে এই জামা নিয়ে আমার বাবা মায়ের সামনে দিয়ে হেটে চলে গেলো।।
আমি অনেক ভালবাসতাম তাকে অনেক।।
এইদিন থেকে মেয়েদের উপর দিয়ে আমার বিশ্বাস উঠে গেছিলো।।
কিন্তু পরে তুমি আসছ আমার জীবনে।।
তোমাকেও আমি কষ্ট দেওয়ার জন্য বিয়ে করেছিলাম কিন্তু কখন যে তোমাকে এতো ভালোবেসে ফেলছি আমি নিজেও জানিনা প্রিতি।।
আচ্ছা আমাদের মেয়ে হয়েছে নাকি ছেলে??
প্রিতি আমি মিনুকে ভুলে গেছি এখন।।
আমি মেনে নিয়েছি যে সব মেয়ে এক না।।
তোমার মত কিছু পাগল মেয়ে এখনও আছে।।
প্রিতি তোমার পাগলামিগুলো অনেক মিস করি আমি।।
আমাকে আর কেউ পানি মেরে তুলে না।।
আমাকে তুমি প্রতিদিন পানি মেরে তুলিও আমি কিছু বলবো না।
কিন্তু প্লিজ ফিরে এসো আমার কাছে।।
প্লিজ প্রিতি।।
তোমার হাতগুলো ছুয়া পেতে ইচ্ছা করছে খুব।।
তোমার মিষ্টি চুমুটাও খুব মনে পড়ছে আমার।।
এখন আমার আর দিনে ৩বার গোসল করতে হয় না।।
তুমি যে আমার গায়ে ময়লা ফেলো না তাই।।
প্রিতি আমি তোমাকে চাই।।
আমি আমাদের বাচ্চাকে মাঝে নিয়ে তোমার সাথে ঘুমাতে চাই।।
আমার বাচ্চার মুখ থেকে বাবা ডাকটা শোনতে চাই।।
???????? আর এইদিকে প্রিতি কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত।।
প্রিতির চোখগুলো আর পারছেনা।।
এখন গিয়ে জড়ায় ধরি তাকে।।
কিন্তু না।। ????????
মেয়েটার রাগ আমার উপর ঝারছে কেনো??
আমি কি করছিলাম??
আমি কি জানতাম যে শাড়িটা কার।।
আমি আর যাবোনা।।
থাকুক।।
...........................
প্রিজিসা:- মা প্লিজ আমাকে মার্কেটে নিয়ে যাও।।
প্রিতি:-মা আজকে না প্লিজ।।
প্রিজিসা:- না মা আজকে প্লিজ মা আমাকে নিয়ে যাও।। ????????
সুফিয়া:- নিয়ে গেলে কি হয়?? মেয়েটা এতো করে যখন বলছে??
প্রিতি:- তুমি ওকে এতো মাথায় তুলবেনা।।
প্রিজিসা:- বড়মা প্লিজ বলো না মাকে আমাকে নিয়ে যেতে
সুফিয়া:- এখন নিয়ে যাবে তুমি আমার পরিকে।।
প্রিতি;- চলেন।।
প্রিজিসা:- ইয়েএএএ!! আমার বড়মা বেস্ট।।
প্রিতি প্রিজিসাকে নিয়ে মার্কেটে গেলো
আল্লাহর রহমতে সে মার্কেটে জিহানও গেলো।।????????
আল্লাহ হয়তো এইটাই চাই যে তারা মিলে যায়।????????
প্রিজিসা হঠাৎ দৌড় দিলো প্রিতির হাত ছেড়ে।।
প্রিতি খিয়াল করে নাই যে প্রিজিসা তার সাথে নেয়।।
সে কিনাকাটায় মন দিচ্ছিলো।।
প্রিজিসা গিয়ে জিহানের হাত ধরলো।।
জিহান তার দিকে তাকালো।।
মাসাল্লাহ???????? খুব সুন্দর মেয়েটা।।
জিহান তাকে কুলে নিয়ে।।
জিহান:- নাম কি তোমার??
:- প্রিজিসা।।
জিহানের আগের কথা মনে পড়ে যায়।।
জিহান:- এই নাম কে রেখেছে??
প্রিজিসা:- আমার মা বলেছে যে এই নাম নাকি আমার বাবা রেখেছে।।
জিহান:- তোমার বাবা কোথায়??
প্রিজিসা:- তুমি আমার বাবা।।আমার মা প্রতিদিন তোমার ছবি দেখে কান্না করে।।
জিহান:- তাই??
প্রিজিসা:- হ্যা।। তুমি একদম দেখতে আমার মায়ের দুনিয়ার মতো।। আমার মা তোমার মত একজনের ছবি নিয়ে বলে যে ছবির মানুষটা নাকি তার দুনিয়া।।
জিহাম:- তোমার মা কই??
প্রিতির খেয়াল হলো যে প্রিজিসা নেয়।।
সে পাগলের মতো দৌড়াতে লাগলো।।
হঠাৎ একজনের কোলে দেখে তার দিকে দৌড়ে গেলো।।
প্রিতি:- প্রিজিসা মা!!
সাথে সাথে জিহান ফিরে তাকালো।।
একজনকে একজন দেখে থো!!!
জিহান তাকিয়ে আছে প্রিতির দিকে।।
জিহান প্রিজিসাকে দেখে বলে এই আমার মেয়ে।।
প্রিতির চোখে পানি।।
প্রিতি এসে প্রিজিসাকে নিয়ে নিলো জিহানের কোল থেকে।।
প্রিতি:- এইভাবে কারো কোলে উঠবেনা।।
জিহান:- প্রিতি প্লিজ একবার আমার কথা শোনো।। আমাকে একবার মাফ করে দাও।।
প্রিতি হাটতে লাগলো।
প্রিতি:- আমার কিছু শোনার নায়।। চলে যান।।
জিহান:- প্লিজ প্রিতি।।
প্রিতি আর কোন কথা শোনেনি।।
তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।।
জিহান তাদের ফলো করছিলো।।
প্রিতি তাড়াতাড়ি বাসায় ডুকে দরজা লাগিয়ে দিলো।।
জিহান এসে দরজা ধাক্কা দিলো।
জিহান:- প্রিতি প্লিজ একবার আমার কথাটা শোনো।। আমাকে একবার মাফ করে দাও প্লিজ।।।
প্রিতি:- চলে যান আমি কিছু শোনতে চাইনা।।
জিহান অনেক্ষন বসে ছিলো ওইখানে প্রিতি দরজার এই পাশে আর জিহান ওইপাশে।।
জিহান চলে এলো একসময়।।।
৭দিন পর....
প্রিতি:- প্রিজিসা কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে??
প্রিজিসা:- মা তুমি একদম চালাকি করবেনা।। চোখ বন্ধ।।
প্রিতির চোখে কালো কাপড় বাধা।।
প্রিজিসা তাকে একটা জায়গায় নিয়ে গেলো তারপর তার চোখ খুলে দিলো।।
চোখ খুলে দেখে যে চারপাশ ফুল দিয়ে সাজানো।। মোমবাতি দিয়ে সাজানো।।
আর সামনে জিহান বসা।।
তারমানে প্রিজিসাকে হাত করে জিহান এইসব করেছে।।
কেবল প্রিজিসা না সাথে সুফিয়াও ছিলো।।
জিহান:- প্লিজ রাগ করোনা।। হেপি বার্থডে।। ????????
ওহহ আজকে তো প্রিতির বার্থডে ছিলো।।
সে একদম ভুলে গেছে।।
জিহান:- আমি জানি আমি অনেক ভুল করেছি তোমার সাথে।। কিন্তু প্লিজ আমি এইবার ঠিক হয়ে গেছি।। আমি আর কোনদিন এমন করবোনা।।
প্রিতি:- কে বলেছে করবানা??
জিহান:- আমি ৩ পর্যন্ত গুণবো যদি এর ভিতর তুমি সাড়া দাও তাহলে আমি মনে করবো তুমি আমাকে মাফ করে দিয়েছ আর যদি না দাও তাহলে মনে করবো যে আমি ব্যার্থ।।
জিহান:- ০১ সাড়া নেয়।।????
জিহান:- ০২ সাড়া নেয় ????
জিহান:-০৩ সাড়া নেয় ????
জিহান পা পিছিয়ে নিলো।।
উলটা দিকে হাটা শুরু করলো।।
প্রিজিসা :- মা প্লিজ বাবাকে মাফ করে দাও।। বাবা খুব ভালো।।
সুফিয়ে:- দেখ চলে যাচ্ছে ওকে আটকা।। যা প্রিতি আর পাবিনা এই সুযোগ।।
প্রিতি:- এতো তাড়াতাড়ি হার মেনে নিলেন?? একা কই যাচ্ছেন?? আমাদের নিয়ে যাবেন না??
জিহান থমকে গেলো।।
পিছনে ফিরে তাকালো।।
দৌড়ে এলো প্রিতির কাছে তাকে জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিলো।।
২জনের চোখে পানি।।
সবাই তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।।
আর সবাই তালি দিচ্ছে।।
প্রিজিসা:- ইয়েএএএএ!!!
প্রিতি মারতে লাগলো জিহানকে।।
প্রিতি:- এমন করে কেউ?? জানো?? কত কষ্ট হয়েছে আমার?? কেমনে থেকেছি আমি??
জিহান:- তুমি জানো আমি কেমনে থেকেছি??
প্রিজিসা:- যাক বাবা!! আমাকে তো ভুলেই গেলে..
জিহান প্রিজিসাকে কোলে নিলো।।
জিহান:- আমার রাজকন্যাকে কেমনে ভুলবো??
.................
বাসায় গেলো প্রিতি আর জিহান সাথে তাদের রাজকন্যা।।
মা বাবা নাতিকে পেয়ে কি খুশি।।
সবায় তাকে নিয়ে খুশি।।
রাতে ঘুমাতে গেলো।।
জিহান প্রিতিকে জড়ায় ধরে আছে।।
সাথে সাথে প্রিজিসার আগমন।।
প্রিজিসা:- এখন এই ঘরে আমিও থাকি তাই এইসব চলবেনা।।
জিহান আর প্রিতি একজনকে আরেকজন ছেড়ে দিলো।।
জিহান প্রিজিসাকে কোলে নিলো।।
জিহাম:- খুব পাকা তাই না??
প্রিজিসা:- না।। একদম না।।একটু বুড়া আরকি।।
তারা হাসাহাসি করতে লাগলো।।
বিছানার একপাশে প্রিতি আর অন্যপাশে জিহান আর তাদের মাঝখানে প্রিজিসা।। ????????
তারা ২জনন প্রিজিসাকে জড়ায় ধরে ঘুমায় গেলো।।
সকালে ২জনের ঘুম ভাঙ্গলো পানি দিয়ে।।
২জনই লাফ দিয়ে উঠলো।।
একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে আছে।।
আর ওইদিকে প্রিজিসা হাসছে দাঁড়ায় দাঁড়ায়।।
এই কাজ তার।।
জিহান আর প্রিতি বিছানা থেকে উঠে তাকে ধরে নিয়ে গুথগুতি দেওয়া শুরু করলো তাকে।।
প্রিজিসার কি হাসি।।????????????
প্রিজিসা:- ছাড়ো আমাকে মা বাবা!!! আর করবোনা।।ছাড়ো।।
জিহান:- এইটা কেমনে জানলা তুমি??
প্রিজিসা:- তুমি তো প্রতিদিন রেডিও তে বলতা মনে নাই??
জিহান:- তুমি শোনতা??
প্রিজিসা:- হে।।
প্রিজিসার মাঝে কেটে গেলো তাদের দিনটটা।।।
জিহান এখন আবার অফিসে যায়।। সব আবার আগের মতো হয়ে গেছে।। তাদেরটা এখন সুখি পরিবার।।।।????????
......................
প্রিজিসা দুইগ্লাস পানি নিয়ে মারলো প্রিতি আর জিহানের মুখে।।
২জনই চমকে উঠলো হঠাৎ।।
প্রিতি আর জিহান একসাথে:- প্রিজিসায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া!!!!!!!!!!!!
প্রিজিসা:- ????????????????????????????????????????????
( দুঃখ কষ্ট নিয়ে মানুষের জীবন, কিন্তু দুঃখের পর সুখ আসবেই, এইটা ধ্রুব সত্য????????)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now