বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
কালনাগিনীর কবলে
..
কিছুদিন ধরে আমার মনে অশান্তি বিরাজ করছে।কিছুতেই শান্তিতে বসতে,খাইতে এমনকি ঘুমাতেও পারছিনা টেনশনে।আর টেনশনের কারন একটা বেহায়া মেয়ের জন্য।বার বার ফোন করে আমার সাথে টাংকি মারতে চায়।কি করে যে একটা মেয়ে এতটা বেহায়া আর নিলজ্জ হতে পারে এটা তো আমার ভাবনার বাহিরে।জীবনেও তো শুনিনি একটা মেয়ে এত্ত নিচে নামতে পারে।আগে শুনতাম ছেলেরা মেয়েদের ডিস্টার্ব করে কিন্তু এখন মেয়েরাও করে প্রমান পেলাম।মেয়েটা যতই ফোন করতে বারন করি ততই ফোন করে কি যে ঝামেলায় আছি।ভাবতে ভাবতে আবার মোবাইলে ফোন আসলো..
--হ্যালো জানু কি করো(মেয়েটা)
--এই মেয়ে চুপ আপনার জানু কে?(আমি
--ওমা আমার জানুটা কি যে বলে তুমিই তো আমার জানু।
--এই যে শুনুন ভাল হবে না কিন্তু আপনি ভুল করছেন আমি আপনার জানু না।
--আরে আরে তুমিই তো আমার জানু ফারহান।
--আরে আপনি আমার নামও জানেন দেখছি।
--ওমা এটা কেমন কথা আমার জানুর নাম আমি ভুলে যাব নাকি।আমি তো আমার হবু শশুর মশাই আর শাশুড়ি তারপর তোমার ছোট বোনের নামও মনে রেখেছি।এমন কি তাদের সবার নাম্বার আমার কাছে আছে।
--কি বলেন আপনি কে বলেন তো এত্ত কিছু জানেন কিভাবে।আপনি কি কোন ব্ল্যাকমেইলার নাকি।
--আরে কি বলো এসব আমি তোমার তামান্না।
--শুনেন আমি তামান্না টামান্না চিনি না।আর ফোন করবেন না।
..
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।আবার ফোন করতে পারে তাই ফোনটা বন্ধ করে দিলাম,,আবার মাথাটা বিগড়ে দিল মেয়েটা।কি করব বুঝতে পারছিনা।
..
বিকেল বেলা আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু শিমুল কে সব কিছু বললাম।শিমুল আমাকে পার্কে আসতে বলল।আমি শিমুলের সাথে দেখা করার জন্য পার্কের উদ্দেশ্যে বের হলাম।
..
--কি রে মামা কি হইছে।(শিমুল)
--তকে তো বললাম একটা মেয়ে চিনি না জানি না ফোন দিয়েই যাচ্ছে।
--একটা কাজ কর সিমটা চেঞ্জ কর,দেখবি আর নাম্বার পাবে ফোন করতে পারবে না।
--আরে বেটা সিম দুইটা চেঞ্জ করছি কিন্তু সিমের নাম্বার গুলা কি করে যেন পেয়ে যায়।
--তাহলে তো মেয়েটা তর আশেপাশের কেউ হবে।কন্ঠটা চিনিস না।
--আরে না যদি আশেপাশের কেউ হত চিনতাম তাকে।কিন্তু কন্ঠটা অনেক মিষ্টি রে।
--আরে মামা কি বলিস তাহলে প্রেম কর,বিয়ে করে ফেল।
--আরে নাহ প্রেম,বিয়ে মানে ঝামেলা।বাসায় তো সাফ সাফ না করে দিছি আমি বিয়ে করব না সারাজীবন এভাবে থাকতে চাই।
--আরে কি বলিস তুই এই সব বিয়ে করবিনা মানে কি।
--বিয়ে করব না মানে করব না।বিয়ে করলে অশান্তি বেড়ে যায় ঘরে বউ হচ্ছে কালনাগিনী।আমাদের উপরের তলার জলিল ভাইরে দেখি অর বউটা নাস্তানাবুদ করে ফেলে।বেচারা কিছুই বলতে পারে বাঘের মত ওরে ধরে।আরো কত্ত দেখলাম এইরকম।তাই সিদ্ধান্ত নিছি বিয়া করব না।
--ও আচ্ছা।তর যা ভাল মনে হয় তা কর যা।
..
এই বলে শিমুল চলে গেল।আমি পার্কে বসে রইলাম মন খারাপ করে।শিমুল তো কোন বুদ্ধি দিল না।তাই ভাবছি কি করা যায়।কিন্তু ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।তাই বাসায় চলে গেলাম।আর মনে করে মোবাইলটা বন্ধ করে রাখলাম।
..
রাতে সবার সাথে খেয়েদেয়ে ঘুমালাম।আমি এত্ত সকালে ঘুম থেকে উঠি না।ঘুম থেকে উঠতে উঠতে প্রায় এগারোটা বেজে যায়।আজ সারে দশটায় ছোট বোন ডাকাডাকি করতে লাগল।
..
--ভাইয়া উঠ,ভাবি আসছে।তুই বিয়ে করে ফেলছিস বলিসনি তো।উঠে দেখ তর বউ আসছে।
--এই বান্দরনি ভাবি কিসের ফালতু কথা বলিস কেন।আমি বিয়ে করলেই তো ভাবি আসবে।
--এত্ত কিছু জানিনা তুই উঠে দেখ।বাবা রেগে আগুন, বড় আপা আর দুলাভাইও আসছে।বাবা আর মা তর বউ কে পছন্দ করছে।কিন্তু তারা চিন্তা করছে আজকে আবার তদের বিয়ে করাবে।কোটমেরিজ নাকি হয় না ইসলামের নিয়মে।তাই দুলাভাই কাজি আনতে গেছে।
--আরে কি বলিস এসব আজগুবিকথা।আমি তো বিয়ে দুরের কথা প্রেমই করি নাই জীবনে।
..
বলে তাড়াতাড়ি আমার রুম থেকে বেরিয়ে আব্বু আম্মুর রুমের দিকে গেলাম।রুমে গিয়ে দেখতে পেলাম এক মেয়ে বসে আছে মেয়েটা অনেক সুন্দর।আব্বু আম্মু এমন কি বড় আপাও আমার কাছ থেকে মুখফিরিয়ে নিচ্ছে।
..
--এএই মেয়ে তুমি কে।
--দেখছেন আম্মু দেখছেন আব্বু আমার সাথে কি ব্যাবহার করছে।আমাকে চিনে না নিজের বউ কে চিনে না।ফারহান আমি তোমার একমাত্র বউ তামান্না।
--এই যে আপু আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি।আমার সর্বনাশ করবেন না প্লিজ।
..
--হারামজাদা লুকিয়ে কোটমেরিজ করিস।এখন বউ কে আপু বলিস।আজ তর একদিন কি আমার একদিন।(আব্বু একটা কষায়া থাপ্পড় দিয়ে বলল)
..
আমি হাত দিয়ে দুই গাল চেপে ধরলাম।আম্মু এসে আব্বুকে থামিয়ে দিল।তারপর আম্মু আব্বুকে বুঝাতে লাগল।আমি গালের মধ্যে হাত দিয়ে ধরে আব্বু কে প্রমানের কথা বলতেই।
আব্বু আমার দিকে একটা কোটমেরিজের কাগজ ছুড়ে মারল।দেখে তো আমি অবাক অই খানে আমার সিগনেচার ও আছে।দেখে আমার মাথা ঘুরতে লাগল।তারপর আব্বু বলে দিল তাড়াতাড়ি বিয়ে জন্য রেডি হও এইসব কোটমেরিজে নাকি বিয়ে পুরাপুরি হয় না।
..
একটু পরে দুলাভাই কাজী নিয়ে আসলো।তারপর আমাকে জোর করে রেডি করে শেষমেষ বিয়েটা করালো।সবকিছু মনে হচ্ছে নেশারঘোরে হয়ে গেল।
..
রাতে বাসর ঘরে সেই জোর করেই আপা দুলাভাই ডুকিয়ে দিল।আমি ডুকে মেয়েটার পাশে বসলাম।দেখলাম মেয়েটাকে বিয়ের সাজে অসাধারণ লাগছে।আমার যে পছন্দ হইছে বুঝতে নাদিয়ে।জিজ্ঞাস করলাম।কেন সে এমন করলো।
..
--দেখেন আমার কোন দোষ নেই।সব প্ল্যান আপনার আব্বু আম্মু আর বড় আপার।আমি আপনার আব্বুর বন্ধুর মেয়ে।আপনি নাকি বিয়ে করতে চান না।তাই এই নাটকটা আপনার পরিবার আমাকে দিয়ে করিয়েছে।আর কাগজ গুলা নকল ছিল।আপনার আব্বু মানে আমার শশুর আব্বা কাকে দিয়ে তৈরি করছে।যাই হোক বিয়ে তো এখন হইছে তাই আপনাকে সরি তোমাকে ছাড়া হচ্ছে না।
..
বলেই এই কালনাগিনীটা আমার কলার ধরে খাটে শুইয়ে দিল।আর তারপর যা করল এইগুলা বললে এলাকায় আর মুখ দেখাতে পারব না।তাই আর বলতে চাই না...(সমাপ্ত)
..
লিখা®Evan Adnan Arif(স্বপ্নচোরা)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now