বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
“অভিশপ্ত ডায়েরী”
(পর্ব-৩)
By : সামিয়া আহমেদ ।
ডায়েরিটি আমি নিয়ে আমি বাসার দিকে রওয়ানা করলাম।
বাসায় যাওয়ার সময় আমি প্রচুর ক্লান্ত ছিলাম।আমার
কাপড় ভেজা থাকায় ঠান্ডায় জমে যাচ্ছিলাম।আমি
হাটতেও পারছিলাম না।মনে হচ্ছিল বাসায় আর
কখনো পৌছাতে পারব না।অবশেষে প্রচুর কষ্টে
আমি বাসায় পৌছলাম।আমি ভেবেছিলাম বাসায় ঢুকার সময়
কেউ হয়তো দেখে ফেলবে।আম্মু
দেখলে তাকে সত্য ঘটনা বললে সে আমাকে
উন্মাদ ভাবতে পারে।কিন্তু আম্মু,আব্বু দুজনই ঘুম
ছিল।বাসায় পৌছে এতই ক্লান্ত ছিলাম যে আমি ভেজা
কাপড় পরেই ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে ঘুম থেকে
উঠে দেখলাম আম্মু পাশে বসে। আম্মু
বলল,“ঘুমিয়ে থাকো লক্ষ্মীটি, তোমার
শরীরে জ্বর।তুমি অপেক্ষা কর। আমি তোমার
জ্বর মাপার জন্য থার্মোমিটার নিয়ে আসছি।”আম্মু
কিছুক্ষণ পর থার্মোমিটার নিয়ে এসে আমার জ্বর
মাপল।জ্বর মেপে দেখলেন ১০৩ ডিগ্রী জ্বর।
আম্মু বললেন,“আমি এক্ষণি এমারজেন্সী
নাম্বারে কল দিয়ে তোমার জন্য একটা
ফিজিশিয়ানকে বাসায় ডাকি আর তোমার বাবাকেও কল
করি যেন সে দ্রুত বাসায় এসে পরে।”আমি ২ দিন
যাবৎ ভীষণ অসুস্থ ছিলাম।২ দিন শয্যাত্যাগ করে
উঠতেও পারিনি।আম্মু স্কুলে কল করে আমার
টিচারকে ইনফর্ম করল যে অসুস্থতার জন্য আমি
পরীক্ষা দিতে পারব না।সুস্হ হওয়ার পর আমি আমার
টেবিলের ড্রয়ার থেকে ডায়েরীটা আনতে
গেলাম কিন্তু সেখানে কোন ডায়েরী ছিল না।
আমি আমার রুমের সব জায়গায় ডায়েরীটা খুঁজতে
লাগলাম কিন্তু পেলাম না।কিছুদিন পর্যন্ত আমি
ডায়েরীটা খোঁজার পরও আমি যখন ডায়েরীটা
পেলাম না আমি ভাবলাম যা হয়েছে হয়ত ভালো
হয়েছে।কিছুদিন পর্যন্ত আমি পড়াশুনা নিয়ে এত
ব্যসত ছিলাম যে ডায়েরীর ব্যাপারটি আমি প্রায়
ভুলেই গেছি।
একদিন প্রায় রাত ৩ টার দিকে আমার ঘুম ভেঙ্গে
গেল।এপাশ ওপাশ করার পর ও ঘুম আসলো না। তাই
ভাবলাম বারান্দায় যাই।বারান্দায় আমি যখন ইজিচেয়ারে
বসে রেস্ট নিচ্ছিলাম তখন আমি একটি অপরিচিত কণ্ঠ
শুনতে পেলাম।আওয়াজটা কিচেেনর দিক থেকে
আসছিল।তাই আমি কিচেন এ গেলাম।শুনতে পেলাম
কেউ যেন বলছে,”পরশু দিনই সেই দিন যার
জন্য আমি শত বছর অপেক্ষা করেছি।পরশু দিনই
আমি আমার উদ্দেশ্যে সফল হব।”কে সেখানে
জানতে যখন আমি কিচেনে ঢুকলাম তখন দেখলাম
আম্মু একা দাড়িয়ে।আমাকে দেখে আম্মু হচকিয়ে
গেল।“কিছু লাগবে,মামনি?”আমি বললাম,“হ্যা,আমার
রুমে পানি নেই।”আমি পানির বোতল নিয়ে রুমে
চলে এলাম।ভাবতে লাগলাম, কিচেন থেকে কার
কণ্ঠ শুনতে পেলাম।আর পরশুদিনই কি হতে
যাচ্ছে? এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরের দিন সকালে টেবিলে ব্রেকফাস্ট করার
সময় বাবা আর আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম।
বাবা বলল,“কেমন কাটছে দিনকাল?পড়াশুনা কেমন
চলছে? আমি বললাম,“ভালো,আমার টেস্ট এর
রেজাল্ট দিয়েছে।আমি ফোর্থ হায়ারিং স্কোর
করেছি। বাবা বলল,“ভালো কিন্তু পরবর্তীতে
আরও ভাল করবে।আমি বললাম,“অবশ্যই করব।”আমি
বললাম,“তোমার লুসি কেমন আছে?”বাবা
বলল,“সে খুব ভালো তার বাচ্চাগুলো তার মত
ভালো শিকারী হয়েছে।”আমি বললাম,“খুবই
অবাক বিষয়,কিছুদিন আগেই তো দেখলাম তারা
জন্ম নিল।”বাবা বলল,“এর চেয়ে ও অবাক জিনিস
আমি গতকালকে ফরেস্টে দেখলাম।দেখলাম
প্রায় শখানেক বাদুড় মাটিতে পড়ে আছে এবং
তাদের কারো চোখ নেই যেন কেউ তুলে
ফেলেছে। ব্রেকফাস্ট করার পর আমি
সারাদিনব্যাপী ভাবতে লাগলাম যে কিছু অশুভ হতে
চলেছে যা আমরা বুঝতে পারছিনা।আমার সেদিন
লেকের ঘটনাটিও বিরাট কোন বিপদের ইঙ্গিত
দিচ্ছে।রাত ১১ টার পর আমি যখন ঘুমাতে যাব তখন
হঠাৎ একটা দমকা বাতাসে আমার দরজা খুলে গেল।
তাই আমি যখন দরজা বন্ধ করতে গেলাম আমি
অনুভব করলাম কিছু যেন পুড়ছে।তাই মনে মনে
ভাবলাম হয়ত কিচেনে কিছু পুড়ছে।তাই আমি দৌড়ে
গেলাম য়েয়ে দেখলাম স্টোভে কিছুই নেই।
কিন্তু সেই গন্ধটা কিচেন থেকেই আসছে।তখন
হঠাৎ করে আমার হাতের দিকে চোখ পরতেই
দেখলাম আমার আংটিটা নেই।তাই ফ্লোরে আংটি
খুঁজতে লাগলাম।ভাবলাম হয়ত কার্পেটের নিচে
চলে গেছে।তাই কার্পেট উঠালাম আমি।কার্পেট
উঠানোর পর আমি যা দেখলাম তা দেখে আমি নিজ
চোখে বিশ্বাস করতে পারলাম না। দেখলাম একটি
বেসমেন্ট। এই গুপ্ত কক্ষটি এতদিন আমাদের
দৃষ্টির অগোচরে ছিল।তার চেয়েও বেশী ভয়
পেলাম
(চলবে)
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...