বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
মায়ারা মৃতব্যাক্তির সমাধিতে তার ব্যাবহার্য্য সবকিছু রেখে দিতো।একই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সমাধিস্থ করা হতো।রাজ পরিবারের কেউ মারা গেলে তাকে বিশেষ মর্যাদায় সমাধি দেয়া হতো।সমাধির পাশে তারা রঙিন পাথরের ফলক রেখে দিতোযাতে মৃত্যুর দিনক্ষন লেখা থাকতো।গবেষকদের মতে মায়াদের কবর ছিলো ক্যাপসুলের মত।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা শহরগুলো থেকে মাঝে মাঝে এমন কিছু জিনিস খুঁজে পান যা সত্যি অসাধারন এবং অবিশ্বাস্য।ক্যারাকলের মতো কোপানের দালান গুলোর নীচেও কিছু নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়।প্রত্নতত্ত্ববিদ রিকার্গে আগারকা কোপানে কাজ করছেন ১৯৭৮ সাল থেকে।তিনি বলেন,আমার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে মায়ানদের ভাগ্যে কী ঘটেছিলো তা খুঁজে বের করা।গত চার বছরে আগারকা একটি পিরামিড আকৃতির মন্দির খনন করে বের করেছেন যা মায়াদের জীবন যাপন সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়।কোপানের ১৬ নম্বর মন্দিরটিকে এটার আকৃতির জন্য প্রধান মন্দির বলে ধারনা করা হয়।মন্দিরগুলো ছিলো তাদের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান এবং শহরের সবচেয়ে উঁচু ভবন।পিরামিড আকৃতির এই মন্দিরগুলোর ভেতরটা পুরোপুরি ঢালাই করে বন্ধ করা।যখন আগারকার কর্মীরা মন্দিরের ঢালাই ভেঙ্গে ফেললো তখন গোলকধাঁধার মতো একটি টিউব আকৃতির টানেল তৈরী হলো।টানেলটি বেশ রহস্যজনক।বাইরে থেকে মন্দিরের ভেতরটা বেশী বড় না হলেও মাঝে মাঝেই কর্মীরা টানেলের ভেতর রাস্তা হারিয়েফেলে।
মন্দিরগুলোর ভিতরে অদ্ভুত কিছু দেয়াল রয়েছে যা মন্দিরে ছাড়া আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায়নি।দেয়াল জুড়েটানা অনেকগুলো মুখোশ আঁকা রয়েছে।ধারনা করা হয় এগুলো তাদের দেবতাদের কল্পিত প্রতিবিম্ব।মন্দিরের প্রবেশমুখে দুটি দৈত্যাকার পাখির মুখোশ বসানো রয়েছে পূর্ব দিকে মুথ করে।চোখ ধা ধা করা রঙ আর নিঁখুত সব পেইনটিং সমৃদ্ধ মন্দিরগুলো বর্তমান সভ্যতাকে যেন বুড়ো আঙুল দেখায়।….
১৫১৯ সালের ৪ মার্চ ভেরাক্রজে অবতরন করেছিলেন স্পেনীয় দলপতি কোর্টেজ।ওই বছরেই কিউবা থেকে ধরে আনা এক নিগ্রো ক্রীতদাসের শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল ভয়ংকর বসন্ত রোগ।আমেরিন্ডদের কাছে অপরিচিত এই রোগ।এর প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তাদের শরীরে ছিল না।আজটেকদেরমোট জনসংখ্যার অর্ধেকই মারা পড়েছিল।১৫৩১ সালে বিজেতারা উপহার দিয়েছিল আর এক মহামারী।এবার সম্ভবত হাম।১৫৪৫ সালে মহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাইফয়েড।লাসকালাতে দেড় লক্ষ এবংচোলুলাতে এক লক্ষ অধিবাসীর মৃত্যু হয়।১৫৬৪,১৫৭৬,১৫৮৮ এবং ১৫৯৫ সালে একের পর এক মহামারীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...