বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
বর্তমানে মায়ারা এখনো নাছোড়বান্দার মতো আগলে রেখেছে তাদের অনেক পুরোনো সংস্কৃতিকে।চিয়াপাস এবং গুয়াতেমালার উচ্চভূমিতে বসবাস করছে মায়াদের একটি জনপদ।তাদের নিজস্ব ঢঙের পোষাক শুধু মায়া বংশধর হিসেবে স্বীকৃতিই দেয়না বরং ইংগিত দেয় একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের যেখানে তারা হাজার বছর থেকে বসবাস করে আসছে।
প্রবাদ আছে,মায়ান নারীরা যখন তাদের ঐতিহ্যবাহী ‘হুইপিল’ ব্লাউজ পড়ে তখন তাদের মাথা পৃথিবীর দিকে নুয়ে থাকে যেমন ফলবান বৃক্ষ নুয়ে থাকে।ম্যাক্সিকোর উচ্চভূমি চিয়াপাসে মায়া গবেষক চিপ মরিস দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বস্ত্রবুননকারী মায়াদের নিয়ে কাজ করছেন।তিনি বলেন,মায়ানরা মনে করে তাদের পোষাকের কারুকায একই রকম ভাবে চলে আসছে যেমনটা তাদের সভ্যতার শুরুতে ছিলো।তিনি আরো বলেন,যখন আমি ওদের ভাস্কর্য,স্ট্যাচুএবং তাদের পরিহিত বস্ত্র নিয়ে গবেষনা করি তখন তাদের বস্ত্রের কারুকাজের সাথে ধ্বংশ হয়ে যাওয়া নিদর্শনের হুবহু মিল খুঁজে পাই।তাদের কারুকাজ এতটাই নিজস্ব যে পৃথিবীর আর কোনো হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার সাথে মিল নেই।মায়ানরা দাবী করে,তাদের এই কারুকাজ,প্রকৌশল,স্থাপত্য কলা কোনো মানুষের মস্তিষ্ক থেকে আসে নি বরং তারা এগুলো তাদের স্বপ্নের মাধ্যমে ঈশ্বর থেকে পেয়েছে।মায়ানরা বিশ্বাস করে তারা যেখানেই বসবাস করুক না কেন ঈশ্বর সেখানেই করুনা বর্ষন করেন।দেবদূতরা নিয়োজিত আছেন বৃষ্টিপাত,সূর্যালোক আর ফসলের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে।
তারা বিশ্বাস করে পবিত্রতা একটি অতিন্দ্রেয়ীয় ব্যাপার,এমন কিছু যা আমরা সচরাচয় দেখি কিন্তূ তার চেয়েও বেশি কিছু।তাদের পিরামিড আকৃতির মন্দিরগুলো পবিত্র পর্বতের নির্দেশ দেয় যেখানে তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মা ঘোরাফেরা করে।দরজা গুলো নির্দেশ করে পবিত্রভূমি এবং নরকের রাস্তা হিসেবে।মায়ানরা বিশ্বাস করে তাদের মৃত্যুর পর তারা শিবলবা (Xibalba) নামক নরকে পতিত হবে।শিবলবাএমন একটি জলপূর্ন রাজত্ব যেখানে রোগব্যাধি অপেক্ষা করে থাকে।কোপান শহর থেকে ১৩০ মাইল উত্তরে ক্যারাকল নামক এক ধ্বংশপ্রায় মায়া শহরে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিলো মায়ারা মৃত্যুকে কীভাবে বিবেচনা করতো এটা জানার জন্য।একসময় ক্যারাকল সমৃদ্ধশালী প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিলো।এখানে একটি কোর্ট পাওয়া যায় যেখানে বসে মায়ান রাজা রাজ্য পরিচালনা করতো।বর্তমানে গবেষকদের কাছে ক্যারাকল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্নকারন এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সমাধি পাওয়া গিয়েছে।আর্লেন চেইজ একজন পটার (Potter) এবং তার স্ত্রী ডায়ান চেইজ একজন কঙ্কালবিধ।তারা দুজন চেষ্টা করছেন মৃত্যু সম্পর্কে মায়ারা কী ভাবতো এটা বের করার জন্য।
আর্লেন বলেন,আমরা সবসময় পশ্চিমা ধ্যানধারনা নিয়ে মায়ানদের বিচার করি।কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে মায়ারা এমন একটা জাতিগোষ্ঠী ছিলো যাদের সাথে ইউরোপ বা অন্য কোথাকার প্রাচীন সভ্যতার কোনো মিল নেই।মায়ারা তাদের আত্মীয় স্বজনদের মৃতদেহ একটা ঘরের মধ্যে সমাধি দিতো।মায়ারা মৃতব্যাক্তির সমাধিতে তার ব্যাবহার্য্য সবকিছু রেখে দিতো।একই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সমাধিস্থ করা হতো ।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ...